ার নির্দেশে এখন সব কিছু চলে। তার (শেখ হাসিনা) নির্দেশে পিন্টুকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই হত্যার জন্য হাসিনাই দায়ী।’’ সকালে পিন্টু রাজশাহী কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। রাজশাহীর কারা কতৃর্পক্ষ জানায়, বুকে ব্যথা অনুভব করায় পিন্টুকে দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১২টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে পিন্টুর পরিবার অভিযোগ করেছে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তাকে চিকিৎসা করা হয়নি। রাতে গুলশান কাযার্লযে বিএনপির এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। পিন্টুকে একজন ত্যাগী সংগঠক অভিহিত করে খালেদা জিয়া বলেন, “সে একজন দক্ষ ও ভালো সংগঠক ছিল। চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে পিন্টুকে জেলে রাখা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ তারা(সরকার) মানেনি।’’ ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, “আমরা শুনেছি, পিন্টুর চিকিৎসার জন্য রাজশাহী কারাগারে একজন ডাক্তার এসেছিলেন, তাকে দেখতে দেয়া হয়নি। অসুস্থ ছেলেটাকেও এরা ডাক্তার দেখাতে দেয়নি। এদেরকে কি আপনারা মানুষ বলবেন ? এরা নরপিশাচ।’’ ২০০১ সালে ঢাকা-৮ আসন থেকে নিবার্চিত সংসদ সদস্য পিন্টুর জানাজা সংসদ ভবনে করতে সরকারের অপরাগতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, “পিন্টু একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী তার জানাজা সংসদ প্লাজায় হওয়ার নিয়ম। এখন শুনলাম তার মরদেহ সংসদে নিতে দিতে চায় না তারা। আল্লাহ এর বিচার করবে।’’ দলের নিখোঁজ যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে অবিলম্বে তার পরিবারের কাছে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার আবারো দাবি জানিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা জানতে চাই সালাহউদ্দিন কোথায়। তাকে র্যাজবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। আমি বলব, তাকে তার পরিবারের কাছে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া হোক।’’ তিনি বলেন, “সালাহউদ্দিনকে সুস্থ ফিরিয়ে না দিলে বা তার কোনো ক্ষতি হলে কেউ রক্ষা পাবে না। আমাদের নেতাদের আমাদের চোখের সামনে একের পর এক হত্যা করা হবে, আর আমরা চুপ করে বসে থাকবো- তা হতে পারে না।’’ খালেদা জিয়া বলেন, “আমরা শান্তি চাই। আমরা গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন চাই। মানুষের নিরাপত্তা চাই। এসব করতে হবে।” তিনি বলেন, “অন্যথায় দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে তারা কোন পথে এগুবে। কিভাবে তারা এরকম জালেম খুনি লেডি হিটলারের হাত থেকে রক্ষা পাবে।’’ দেশবাসীকে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সকলকে রাস্তায় নেমে এসে নিবর প্রতিবাদ জানাতে হবে।’’ খালেদা জিয়া বলেন, “আমরা বলে দিতে চাই, আমরা সরকারের বিরুদ্ধে এ্ভাবে নিরব প্রতিবাদ করতেই থাকবো। তারা (সরকার) বলছে, অমুক সাল, তুমক সাল পযর্ন্ত ক্ষমতায় থাকবে। এসব বলে লাভ হবে না। এমন একদিন আসবে তাদের সৃষ্টি ফ্রাঙ্কেস্টাইনের হাতেই তারা শেষ হয়ে যাবে। আমাদের কোনো কিছু করতে হবে না।’’ সিটি নিবার্চন সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “কেন আমরা ৫ জানুয়ারি নিবার্চনে যাইনি, তা ২৮ এপ্রিলের সিটি নিবার্চন হয়েছে, আপনারা দেখেছেন। কিভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও গুন্ডালীগ ভোট জালিয়াতি করেছে।’’ “কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নিবার্চনে আমরা অংশ না নেয়ায় ওই সময়ে আমাদের সহকর্মীরাও অনেকে মনে করেছিল, আমাদের জনপ্রিয়তা আছে. ভোটে গেলে জিতো যেতো। ২৮ এপ্রিল এর প্রমাণ মেলেছে।’’ আজম নাছির উদ্দিনের সম্পর্কে তিনি বলেন, “সে চট্ট্রগ্রামের একজন নামকরা সন্ত্রাসী। খুনের মামলার আছে তার বিরুদ্ধে। ১৪ বছর সে লুকিয়ে নিবার্চনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর জামিন পায় এই ব্যক্তি।” “অথচ মির্জা আব্বাসকে জামিন দেয়া হয়নি। সরকারি দলের সন্ত্রাসী হলে তারা জামিন পাবে আর বিরোধী দলের কাউকে জামিন দেয়া হবে না। আমাদের কাউন্সিলররা প্রচারণায় গেলে আটক করা হয়েছে।’’ বর্তমান প্রধান নিবার্চন কমিশনার রকিব উদ্দিন আহমদের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, “এই সিইসি অথর্ব, মেরুদণ্ডহীন। মনে হয়, সে চোখে দেখে না। সিটি নিবার্চন নিয়ে পত্রিকায় এতো কিছু প্রকাশ পেলো, তার পরও কি সে বলতে পারে, নিবার্চন সুষ্ঠু হয়েছে। সে নিবোর্ধ লোক। তার কাছ থেকে সুষ্ঠু নিবার্চন করা যায় না।” সিটি নিবার্চন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, “আজ দেশে কোনো সরকার নেই। জবরদখলকারী অবৈধ একটি সরকার রয়েছে। বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার নেই। এটি একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’’ “পুলিশরা বলে তারাই নাকি এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। ‘আমরা(পুলিশ )যা ইচ্ছা তাই করব। যাকে ইচ্ছা তাকে মারবো।’ দেশের মানুষের আজ কোনো নিরাপত্তা নেই। হাসিনা সিটি নিবার্চনের পর বলেছে, তারা ভালো কাজ করেছে। এটা তো সে বলবেই। কারণ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনীর ওপর তিনি টিকে আছে।” গত মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণের মাঝপথে কারচুপির অভিযোগ তুলে নিবার্চন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ বসতিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা স্মরণ করে খালেদা জিয়া বলেন, “স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রামুসহ সেখানে মন্দির প্যাগাডো হামলা নাকি বিরোধী দল করেছে। তার একটুও লজ্জা করল না এতবড় মিথ্যা কথা বলতে। সে (প্রধানমন্ত্রী) নিলর্জ্জ মিথ্যাবাদী। তার দলের লোকরাই ওই হামলা করেছিল।” সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, আসম হান্নান শাহ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সুশীল বড়ুয়া ও সনত তালুকদার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী, বুদ্ধ ভিক্ষু প্রিয়বোধিব ভিক্ষু, সুনাম দীপ্তসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নতুন বার্তা/এসএ
Monday, May 4, 2015
পিন্টুকে হত্যার পেছনে হাসিনা স্বয়ং জড়িত: খালেদা :নতুন বার্তা
ার নির্দেশে এখন সব কিছু চলে। তার (শেখ হাসিনা) নির্দেশে পিন্টুকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই হত্যার জন্য হাসিনাই দায়ী।’’ সকালে পিন্টু রাজশাহী কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। রাজশাহীর কারা কতৃর্পক্ষ জানায়, বুকে ব্যথা অনুভব করায় পিন্টুকে দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১২টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে পিন্টুর পরিবার অভিযোগ করেছে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তাকে চিকিৎসা করা হয়নি। রাতে গুলশান কাযার্লযে বিএনপির এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। পিন্টুকে একজন ত্যাগী সংগঠক অভিহিত করে খালেদা জিয়া বলেন, “সে একজন দক্ষ ও ভালো সংগঠক ছিল। চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে পিন্টুকে জেলে রাখা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ তারা(সরকার) মানেনি।’’ ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, “আমরা শুনেছি, পিন্টুর চিকিৎসার জন্য রাজশাহী কারাগারে একজন ডাক্তার এসেছিলেন, তাকে দেখতে দেয়া হয়নি। অসুস্থ ছেলেটাকেও এরা ডাক্তার দেখাতে দেয়নি। এদেরকে কি আপনারা মানুষ বলবেন ? এরা নরপিশাচ।’’ ২০০১ সালে ঢাকা-৮ আসন থেকে নিবার্চিত সংসদ সদস্য পিন্টুর জানাজা সংসদ ভবনে করতে সরকারের অপরাগতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, “পিন্টু একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী তার জানাজা সংসদ প্লাজায় হওয়ার নিয়ম। এখন শুনলাম তার মরদেহ সংসদে নিতে দিতে চায় না তারা। আল্লাহ এর বিচার করবে।’’ দলের নিখোঁজ যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে অবিলম্বে তার পরিবারের কাছে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার আবারো দাবি জানিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা জানতে চাই সালাহউদ্দিন কোথায়। তাকে র্যাজবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। আমি বলব, তাকে তার পরিবারের কাছে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া হোক।’’ তিনি বলেন, “সালাহউদ্দিনকে সুস্থ ফিরিয়ে না দিলে বা তার কোনো ক্ষতি হলে কেউ রক্ষা পাবে না। আমাদের নেতাদের আমাদের চোখের সামনে একের পর এক হত্যা করা হবে, আর আমরা চুপ করে বসে থাকবো- তা হতে পারে না।’’ খালেদা জিয়া বলেন, “আমরা শান্তি চাই। আমরা গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন চাই। মানুষের নিরাপত্তা চাই। এসব করতে হবে।” তিনি বলেন, “অন্যথায় দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে তারা কোন পথে এগুবে। কিভাবে তারা এরকম জালেম খুনি লেডি হিটলারের হাত থেকে রক্ষা পাবে।’’ দেশবাসীকে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সকলকে রাস্তায় নেমে এসে নিবর প্রতিবাদ জানাতে হবে।’’ খালেদা জিয়া বলেন, “আমরা বলে দিতে চাই, আমরা সরকারের বিরুদ্ধে এ্ভাবে নিরব প্রতিবাদ করতেই থাকবো। তারা (সরকার) বলছে, অমুক সাল, তুমক সাল পযর্ন্ত ক্ষমতায় থাকবে। এসব বলে লাভ হবে না। এমন একদিন আসবে তাদের সৃষ্টি ফ্রাঙ্কেস্টাইনের হাতেই তারা শেষ হয়ে যাবে। আমাদের কোনো কিছু করতে হবে না।’’ সিটি নিবার্চন সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “কেন আমরা ৫ জানুয়ারি নিবার্চনে যাইনি, তা ২৮ এপ্রিলের সিটি নিবার্চন হয়েছে, আপনারা দেখেছেন। কিভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও গুন্ডালীগ ভোট জালিয়াতি করেছে।’’ “কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নিবার্চনে আমরা অংশ না নেয়ায় ওই সময়ে আমাদের সহকর্মীরাও অনেকে মনে করেছিল, আমাদের জনপ্রিয়তা আছে. ভোটে গেলে জিতো যেতো। ২৮ এপ্রিল এর প্রমাণ মেলেছে।’’ আজম নাছির উদ্দিনের সম্পর্কে তিনি বলেন, “সে চট্ট্রগ্রামের একজন নামকরা সন্ত্রাসী। খুনের মামলার আছে তার বিরুদ্ধে। ১৪ বছর সে লুকিয়ে নিবার্চনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর জামিন পায় এই ব্যক্তি।” “অথচ মির্জা আব্বাসকে জামিন দেয়া হয়নি। সরকারি দলের সন্ত্রাসী হলে তারা জামিন পাবে আর বিরোধী দলের কাউকে জামিন দেয়া হবে না। আমাদের কাউন্সিলররা প্রচারণায় গেলে আটক করা হয়েছে।’’ বর্তমান প্রধান নিবার্চন কমিশনার রকিব উদ্দিন আহমদের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, “এই সিইসি অথর্ব, মেরুদণ্ডহীন। মনে হয়, সে চোখে দেখে না। সিটি নিবার্চন নিয়ে পত্রিকায় এতো কিছু প্রকাশ পেলো, তার পরও কি সে বলতে পারে, নিবার্চন সুষ্ঠু হয়েছে। সে নিবোর্ধ লোক। তার কাছ থেকে সুষ্ঠু নিবার্চন করা যায় না।” সিটি নিবার্চন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, “আজ দেশে কোনো সরকার নেই। জবরদখলকারী অবৈধ একটি সরকার রয়েছে। বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার নেই। এটি একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’’ “পুলিশরা বলে তারাই নাকি এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। ‘আমরা(পুলিশ )যা ইচ্ছা তাই করব। যাকে ইচ্ছা তাকে মারবো।’ দেশের মানুষের আজ কোনো নিরাপত্তা নেই। হাসিনা সিটি নিবার্চনের পর বলেছে, তারা ভালো কাজ করেছে। এটা তো সে বলবেই। কারণ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনীর ওপর তিনি টিকে আছে।” গত মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণের মাঝপথে কারচুপির অভিযোগ তুলে নিবার্চন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ বসতিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা স্মরণ করে খালেদা জিয়া বলেন, “স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রামুসহ সেখানে মন্দির প্যাগাডো হামলা নাকি বিরোধী দল করেছে। তার একটুও লজ্জা করল না এতবড় মিথ্যা কথা বলতে। সে (প্রধানমন্ত্রী) নিলর্জ্জ মিথ্যাবাদী। তার দলের লোকরাই ওই হামলা করেছিল।” সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, আসম হান্নান শাহ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সুশীল বড়ুয়া ও সনত তালুকদার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী, বুদ্ধ ভিক্ষু প্রিয়বোধিব ভিক্ষু, সুনাম দীপ্তসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নতুন বার্তা/এসএ
Labels:
নতুন বার্তা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment