Monday, May 4, 2015

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে দুই বন্দুকধারী নিহত:আরটিএনএন

নবীকে (সা.) নিয়ে কার্টুন প্রদর্শনী যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে দুই বন্দুকধারী নিহত আন্তর্জাতিক ডেস্ক আরটিএনএন টেক্সাস: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)- কে নিয়ে কার্টুন প্রদর্শনীর বাইরে গোলাগুলি শুরুর পর পুলিশের গুলিতে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়েছেন। গোলাগুলির ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। হামলার পর সবাইকে সরিয়ে নিয়ে ওই প্রদর্শনী কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। গারল্যান
্ডের ডালাসে কার্টিস কুলওয়েল সেন্টারের বাইরে স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নবী মুহাম্মদের (সা.) কার্টুন নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাম্প্রতিক হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে এ ঘটনা ঘটল। মহানবীকে (সা.) নিয়ে আঁকা কার্টুনের এই প্রদর্শনীতে নেদারল্যান্ডসের ইসলামবিরোধী রাজনীতিবিদ গির্ট ওয়াইল্ডার্সও অংশ নিতে এসেছিলেন। পুলিশের সহায়তায় নিরাপদে ভবন থেকে বের হওয়ার পর নিজেই তা টুইট করে জানিয়েছেন। বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, দুই অস্ত্রধারী একটি গাড়িতে করে এসে প্রদর্শনী কেন্দ্রের বাইরে নামে এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তার দিকে গুলি শুরু করে। এরপর গারল্যান্ড পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়। ফেসবুক পেজে শহর কর্তৃপক্ষের দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়, এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য আশঙ্কামুক্ত। তবে হামলাকারীদের পরিচয় বা তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধারণা দিতে পারেনি গারল্যান্ড পুলিশ। ডালাসে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে আমেরিকান ফ্রিডম ডিফেন্স ইনিশিয়েটিভ নামের একটি সংগঠন, যারা নিউ ইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাছে ইসলামিক সেন্টার নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল। গারল্যান্ডের যে প্রদর্শনী কেন্দ্রে রবিবারের কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, সেখানেই গত জানুয়ারিতে স্থানীয় একটি ইসলামিক সেন্টারের জন্য তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান হয়েছিল। সে সময়ও এর বিরোধীরা কার্টিস কুলওয়েল সেন্টারের বাইরে বিক্ষোভ করেছিল। ২০০৬ সালে ডেনমার্কের জাইল্যান্ডস-পোস্টেন নামের একটি পত্রিকা মুহাম্মদকে (স.) নিয়ে কার্টুন প্রকাশ করলে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। চলতি মাসের জানুয়ারিতে প্যারিসে একই ধরনের কার্টুন প্রকাশ করায় ফরাসি বিদ্রুপ ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোতে হামলা চালিয়ে ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করে দুই বন্দুকধারী। সূত্র: বিবিসি মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment