রাজপথে এদের রাজপথের ভুমিকা প্রশংসনীয় হলেও সাম্প্রতিক সরকার বিরোধী আন্দোলনে তাদের তৎপরতা দৃশ্যমান ছিল না। আবার অনেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। আমানুল্লাহ আমান ছাড়া বাকি দুজনের সঙ্গেই কথা হয় আরটিএনএন-এর এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। তারা বলেন, ৯০-এর আন্দোলনে তারা একটি ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন। তারা যেভাবে বলেছেন লাখ লাখ নেতাকর্মীরা সেটাই শুনেছেন। এর ফলে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সফল করতে পেরেছেন। এখন তারা কোনো সহযোগী বা মূল সংগঠনের শীর্ষ পদে নেই তাই তাদের ওই ভূমিকা রাখারও সুযোগ নেই। আমানুল্লাহ আমান এখন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে ‘দায়িত্ব পালন’ করছেন। ৯০-এর আন্দোলনে তিনি ডাকসুর ভিপি ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলেন। তাকে খালেদা জিয়ার কামান বলেও ডাকেন অনেকে। কিন্তু বিগত ৫ জানুয়ারির আন্দোলন থেকে চলতি বছরের টানা আন্দোলনে তার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। আর এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। ১৮ ডিসেম্বর ৯০-এর ছাত্রঐক্যের কনভেনশনে গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমানুল্লাহ আমান। তবে সাম্প্রতিক আন্দোলন শুরু হলে আমানকে আর পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, আন্দোলনের পুরো সময়টাতেই তিনি কলকাতায় অবস্থান করেছেন। আন্দোলন শেষ হলেও এখনো দেখা মেলেনি তার। হাবিবুর রহমান হাবিব বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক। তৎকালীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৬ মে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৯১ সালে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। মনোনয়ন দাখিলের পর আওয়ামী লীগ থেকে তাকে রিজাইন করতে করতে বলা হয়। এসব বিষয়ে জমে থাকা ক্ষোভ থেকেই বিএনপি তিনি যোগ দেন। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন আর এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এক নয়। এরশাদের সময়ে এভাবে গুলির নির্দেশ ছিল না। এখন গুলি করা হয়। অলিতে গলিতে সরকারের নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরে আটক করে। রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। একারণেই অনেকে বের হতে পারেন নাই।’ আন্দোলনে তাদের অর্জনের বিষয়ে হাবিব বলেন, ‘৯০ এর আন্দোলনে ছিলাম, নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু এখন কোনো সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ে তো নেই যে ডাক দিলেই নেতাকর্মীরা আসবেন। তাই ৯০ এর মতো নেতৃত্ব দিতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘তবে টানা আন্দোলনে কম হলেও আমি রাজপথে ছিলাম। গ্রেপ্তার হয়েছি। রিমান্ড গিয়েছি। নির্যাতন সহ্য করেছি। অনেকেই তা করেননি। বিএনপির প্রতি এবং খালেদা জিয়ার প্রতি আমার যথেষ্ট আনুগত্য আছে। তিনি যদি সুযোগ দেন, আমার বিশ্বাস, যোগ্যতা ও সততা নিয়ে তার মর্যাদা রাখতে পারব।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাবিবকে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই দেখা যায়। বিএনপির নেতারাও তাকে ভালোই জানেন। মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল এখন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ২০০০ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে ছাত্রত্ব শেষ করেন এবং ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিরও সমাপ্তি করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেধা, যোগ্যতা ও সততা দিয়ে ৯০ এর আন্দোলন করেছি। এখন বড় দায়িত্বে নেই। তাই সেভাবে কাজ করার সুযোগ নেই।’ বিগত আন্দোলন প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘টানা আন্দোলনে আমাদের অনেকেই সঠিকভাবে দায়িতব পালন করতে পারিনি- এটা স্বীকার করতে হবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি, চেষ্টা করেছি আন্দোলন কর্মসূচিতে থাকতে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের বৈরি আচরণের কারণে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে তার মাজারে কোনো সিনিয়র নেতা আসতে পারেন নাই। আমি ঝুঁকি নিয়ে গিয়েছি এবং আমার নেতৃত্বেই ওইদিন মাজারে শ্রদ্ধা জানানো হয়।’ বাবুল দাবি করেন, ‘দলের প্রতি আনুগত্য, যোগ্যতা ও সততার পরীক্ষায় আমরা উত্তীর্ণ। আমাদের সুযোগ দেয়া হলে আবারো যোগ্যতা ও আনুগত্যের প্রমাণ দিব।’ মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল বিগত আন্দোলনে দুই বার আটক হয়েছেন। বিএনপির বেশিরভাগ কর্মসূচিতেই তাকে দেখা যায়। তার বিরুদ্ধে এখনো ৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৪টির। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে জামালপুর তিন আসন থেকে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেয়াল ঘরি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ১ লাখ ১৮ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর চারদলের প্রার্থী মাত্র ১১ হাজার ভোট পান। বাবুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হন। মন্তব্য
Tuesday, May 26, 2015
তারা সবাই এখন বিএনপি নেতা, প্রশ্ন সক্রিয়তা নিয়ে:আরটিএনএন
রাজপথে এদের রাজপথের ভুমিকা প্রশংসনীয় হলেও সাম্প্রতিক সরকার বিরোধী আন্দোলনে তাদের তৎপরতা দৃশ্যমান ছিল না। আবার অনেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। আমানুল্লাহ আমান ছাড়া বাকি দুজনের সঙ্গেই কথা হয় আরটিএনএন-এর এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। তারা বলেন, ৯০-এর আন্দোলনে তারা একটি ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন। তারা যেভাবে বলেছেন লাখ লাখ নেতাকর্মীরা সেটাই শুনেছেন। এর ফলে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সফল করতে পেরেছেন। এখন তারা কোনো সহযোগী বা মূল সংগঠনের শীর্ষ পদে নেই তাই তাদের ওই ভূমিকা রাখারও সুযোগ নেই। আমানুল্লাহ আমান এখন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হিসেবে ‘দায়িত্ব পালন’ করছেন। ৯০-এর আন্দোলনে তিনি ডাকসুর ভিপি ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলেন। তাকে খালেদা জিয়ার কামান বলেও ডাকেন অনেকে। কিন্তু বিগত ৫ জানুয়ারির আন্দোলন থেকে চলতি বছরের টানা আন্দোলনে তার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। আর এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। ১৮ ডিসেম্বর ৯০-এর ছাত্রঐক্যের কনভেনশনে গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমানুল্লাহ আমান। তবে সাম্প্রতিক আন্দোলন শুরু হলে আমানকে আর পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, আন্দোলনের পুরো সময়টাতেই তিনি কলকাতায় অবস্থান করেছেন। আন্দোলন শেষ হলেও এখনো দেখা মেলেনি তার। হাবিবুর রহমান হাবিব বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক। তৎকালীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৬ মে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৯১ সালে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। মনোনয়ন দাখিলের পর আওয়ামী লীগ থেকে তাকে রিজাইন করতে করতে বলা হয়। এসব বিষয়ে জমে থাকা ক্ষোভ থেকেই বিএনপি তিনি যোগ দেন। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন আর এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এক নয়। এরশাদের সময়ে এভাবে গুলির নির্দেশ ছিল না। এখন গুলি করা হয়। অলিতে গলিতে সরকারের নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরে আটক করে। রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। একারণেই অনেকে বের হতে পারেন নাই।’ আন্দোলনে তাদের অর্জনের বিষয়ে হাবিব বলেন, ‘৯০ এর আন্দোলনে ছিলাম, নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু এখন কোনো সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ে তো নেই যে ডাক দিলেই নেতাকর্মীরা আসবেন। তাই ৯০ এর মতো নেতৃত্ব দিতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘তবে টানা আন্দোলনে কম হলেও আমি রাজপথে ছিলাম। গ্রেপ্তার হয়েছি। রিমান্ড গিয়েছি। নির্যাতন সহ্য করেছি। অনেকেই তা করেননি। বিএনপির প্রতি এবং খালেদা জিয়ার প্রতি আমার যথেষ্ট আনুগত্য আছে। তিনি যদি সুযোগ দেন, আমার বিশ্বাস, যোগ্যতা ও সততা নিয়ে তার মর্যাদা রাখতে পারব।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাবিবকে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই দেখা যায়। বিএনপির নেতারাও তাকে ভালোই জানেন। মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল এখন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ২০০০ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে ছাত্রত্ব শেষ করেন এবং ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিরও সমাপ্তি করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেধা, যোগ্যতা ও সততা দিয়ে ৯০ এর আন্দোলন করেছি। এখন বড় দায়িত্বে নেই। তাই সেভাবে কাজ করার সুযোগ নেই।’ বিগত আন্দোলন প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘টানা আন্দোলনে আমাদের অনেকেই সঠিকভাবে দায়িতব পালন করতে পারিনি- এটা স্বীকার করতে হবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি, চেষ্টা করেছি আন্দোলন কর্মসূচিতে থাকতে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের বৈরি আচরণের কারণে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে তার মাজারে কোনো সিনিয়র নেতা আসতে পারেন নাই। আমি ঝুঁকি নিয়ে গিয়েছি এবং আমার নেতৃত্বেই ওইদিন মাজারে শ্রদ্ধা জানানো হয়।’ বাবুল দাবি করেন, ‘দলের প্রতি আনুগত্য, যোগ্যতা ও সততার পরীক্ষায় আমরা উত্তীর্ণ। আমাদের সুযোগ দেয়া হলে আবারো যোগ্যতা ও আনুগত্যের প্রমাণ দিব।’ মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল বিগত আন্দোলনে দুই বার আটক হয়েছেন। বিএনপির বেশিরভাগ কর্মসূচিতেই তাকে দেখা যায়। তার বিরুদ্ধে এখনো ৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৪টির। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে জামালপুর তিন আসন থেকে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেয়াল ঘরি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ১ লাখ ১৮ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর চারদলের প্রার্থী মাত্র ১১ হাজার ভোট পান। বাবুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হন। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment