
নিশ্চিত করেছে দায়িত্বশীল সূত্র। তিস্তার পানির মূল সূত্র সিকিম রাজ্য ও বাংলাদেশে আসার আগে ভারতে প্রবাহিত দুই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের প্রতিনিধি এ কমিটিতে রয়েছে। আগামী ৬ জুন দুদিনের সফরে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্ভাব্য তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সফরের আগেই নিজ দেশে ফয়সালা করে নিতে চান তিনি। এদিকে, ঢাকার সূত্রগুলো জানাচ্ছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সফরের আগেই ভারত যেন একটি পরিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে আসে তার তাগাদা আগে থেকে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টিকে এখন দুই দেশের নেতার জন্য রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবেও দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগে অংশ নিতে বর্তমানে নয়াদিল্লি রয়েছেন। সেখানেও তিনি ভারতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে তিস্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের মন্ত্রীকে ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, এবার তিস্তা চুক্তি হচ্ছেই। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ভারতের সঙ্গে বহুল প্রত্যাশিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ভারতের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন সময় আমরা এ চুক্তির বিষয়ে প্রত্যাশার কথা শুনেছি। আর এখন আমি জেনেছি সেটা বেশি দূরের বিষয় নয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফর এবং সম্প্রতি কলকাতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতার বৈঠকে তিস্তা চুক্তি বিষয়ে আলোচনা হয়। ভেতরের খবর হচ্ছে এবার মমতাও সবুজ সংকেত দিয়েছেন। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরকালে তিস্তা চুক্তি সই করার কথা ছিল। কিন্তু সেসময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা ও শেষ মুহূর্তে আপত্তি তুলে মনমোহনের সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করায় তখন তিস্তা চুক্তি হয়নি। তবে এবার মোদি শুধু মমতা নয় বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী সবকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ঢাকা সফরে আসছেন বলে জানা গেছে। জেআই
No comments:
Post a Comment