Sunday, May 24, 2015

‘সাগরে ভাসমানদের অধিকাংশই বাংলাদেশি’:টাইমনিউজ

‘সাগরে ভাসমানদের অধিকাংশই বাংলাদেশি’ ইন্টারন্যাশনাল েডস্ক টাইম নিউজ বিডি, ২৩ মে, ২০১৫ ১৭:৫০:৫৮ অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ বলেছেন, ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাগরে ভাসমান অভিবাসন প্রত্যাশীদের অধিকাংশ মিয়ানমারের জাতিগত সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা নয়। বরং এদের অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক। অষ্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্যা উইকএন্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন জুলি। চল
তি মাসে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ৩২টি কবরের সন্ধান পাওয়ার পর আর্ন্তজাতিক চাপের মুখে মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় দেশটি। এরপর পাচারকারীরা থাই উপকূলে মালেয়শিয়ায় অভিবাসন প্রত্যাশীবাহী নৌকাগুলি থাই উপকূলে না ভেড়াতে পারায় এগুলো সাগরে উদ্দেশ্যহীন ভাসতে থাকে। পরবর্তীতে খাদ্য ও পানীয়বিহীন কয়েকটি নৌকা থেকে ইন্দোনেশিয়া ও মালেয়শিয়া সাড়ে তিন হাজারের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে। আর্ন্তজাতিক সংস্থাগুলির দেয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও সাগরে ভাসছে ৭ হাজারের বেশি অভিবাস প্রত্যাশী। পরবর্তীতে ইন্দোনেশিয়া ও মালেয়শিয়া কর্তৃপক্ষ আর কোন অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকা তাদের উপকূলে ভীড়তে দেবে না বলে ঘোষণা দেয়। আর্ন্তজাতিক সমালোচনা ও নিন্দার মুখে শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে দেশ দুটি। উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের অধিকাংশই মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা। অবশ্য তাদের সঙ্গে এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছে। উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় এরা সবাই মালেয়শিয়া যাওয়ার জন্য মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়েছিলেন। জুলি বিশপ বলেন, ‘তাদের (ইন্দোনেশিয়া) বিশ্বাস সাগরে এখনও প্রায় সাত হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী রয়েছে । তাদের ধারণা এদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রোহিঙ্গা, বাকীরা বাংলাদেশি। ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষের ভাষায় তারা আশ্রয় প্রার্থী নয়, তারা শরণার্থি নয়-তারা অবৈধ শ্রমিক। তাদেরকে মালেয়শিয়ায় চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে অথবা তারা চাকরি সেখানে চাকরি খুঁজবে।’ অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলছে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলে গেছে এবং মালেয়শিয়ায় যারা চাকরির জন্য আসছে তারা বাংলাদেশিদের সঙ্গে মিশে গেছে।’ বিশপ বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বহুপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ক সংস্থার মহাপরিচালক হাসান ক্লেইব তাকে জানিয়েছেন, একটি নৌকা থেকে ৬শ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৪শ জনই বাংলাদেশি। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হামলা ও নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক বলে শিকার করে না দেশটি। তাদের দাবি এরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে মিয়ানমারে এসেছিল। তাই মিয়ানমার তাদের ‘বাঙ্গালি’ বলে পরিচয় দেয়। জেআই  

No comments:

Post a Comment