Tuesday, May 5, 2015

ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও অন্য শাস্তি দেয়া যাবে :নতুন বার্তা

ঢাকা: ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের তিনটি ধারা ও পুরনো আইন চালানোর বৈধতা দিয়ে ২০০০ সালের আইনে আরেকটি ধারা সংযোজনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।  ফলে ধর্ষণের বিচারের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও অন্য শাস্তি দিতে পারবেন বিচারক। হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। নারী ও শিশু নির্য
াতন দমন আইন ১৯৯৫-এর ৬ (২), (৩) ও (৪) ধারায় ধর্ষণের বিচারের ক্ষেত্রে শুধু মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছিল। ২০০০ সালের আইনের ৩৪ (২) ধারায় পুরনো আইনের ধারাগুলোতে বিচার চলার বৈধতা দেয়া হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জে ১৯৯৬ সালে শুক্কুর আলী (১৪) নামের এক কিশোর সুমি (৭) নামের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। বিচারিক আদালত ২০০১ সালে তার মৃত্যুদণ্ড দেয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ১৯৯৫-এর ৬ (২)-এ বলা ছিল, ধর্ষণ করে হত্যা করলে অপরাধীর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এরপর ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তার রায় বহাল রাখে। আপিল বিভাগও ওই রায় বহাল রেখেছিলেন। শুক্কুর আলীর বিরুদ্ধে ওই রায়ের পর ২০০৫ সালে ব্লাস্টসহ দুটি মানবাধিকার সংগঠন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের উল্লেখিত ধারাগুলো চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন দায়ের করে। হাইকোর্ট এই ধারাগুলো অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে ঘোষণা করেন। এরপর আপিল বিভাগে গেলে মঙ্গলবার আপিল বিভাগও সেই রায় বহাল রাখেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম আই ফারুকী। রাষ্টপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। নতুন বার্তা/মোআ

No comments:

Post a Comment