রে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। আদালতের খাচার ভেতরে মুরসিকে কয়েদীর নীল পোশাকে বসিয়ে রাখা হয়। রায় ঘোষণার পর প্রতিবাদে তিনি মুষ্টি উঁচুতে তুলে ধরেন। মুরসির পাশাপাশি ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ বাদি এবং ব্রাদারহুড নেতা খয়রাত আল শাতেরকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া সাজা দেয়া হয়েছে বিশিষ্ট ইসলামী পন্ডিত ইউসুফ আল-কারজাবিতে, যিনি বর্তমানে কাতারে বসবাস করেন। বিস্তারিত রায় ২ জুন প্রকাশ করা হবে। মুরসির আইনজীবী আবদেল মোনিম আবদেল মাকসুদ বলেছেন, মুরসি যদি আপিল করার সিদ্ধান্ত নেন তবে আপিল করা হবে। আর তিনি যদি এই আদালত অস্বীকার করেন তবে আপিল করা হবে না। এর আগে মুরসি এ ধরনের বিচারকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন তিনি এখনো মিশরের বৈধ প্রেসিডেন্ট। এ মামলায় গাজার ইসলামপন্থী দল হামাস এবং লেবাননের শিয়া সংগঠন হেজবুল্লাহর অর্ধডজন নেতাও আসামি ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের সাজা দেয়া হয়েছে। মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির এ নেতাকে ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এর পর থেকে মিশর শাসন করছেন সেনাশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। মুরসির পতনের পর থেকে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালাচ্ছে স্বৈরশাসক সিসির সরকার। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে শত শত গণতন্ত্রকামীকে হত্যা ও হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাবন্দী করার পর এখন প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ইসলামপন্থী নেতাকর্মীদের মৃত্যদণ্ড ও দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড দেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট সিসি আদালতকে নিপীড়নের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। ২০১২ সালে পতিত স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে বিপ্লব চলাকালে সহিংতার অভিযোগে গত মাসে মুরসিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মিশরের একটি আদালত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যানশাল এই রায়কে ‘প্রহসনের বিচার’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। মুরসির বিরুদ্ধে দায়ের কারা আরো দুটি মামলায় শনিবার রায় ঘোষণা করা। তবে তাতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি। এর একটি হচ্ছে বিচার বিভাগকে তাচ্ছিল্য করা এবং অপরটি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কাতারের পক্ষে ‘গুপ্তচরবৃত্তি’। মিশরের ইতিতাসে মুরসি ছিলেন প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, হোসনি মোবারকের পতনে পর সিসির ক্ষমতা দখলের আগ পর্যন্ত মিশরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার প্রতিটিতে জয়লাভ করেছে ৮৭ বছরের পুরনো রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুড। সেসব নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্নও ওঠেনি। অথচ সিসি এই দলটিকে উৎখাত করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং একে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছেন। শোচনীয় বিচার বিভাগ শনিবারের রায় ঘোষণার পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই রায় ‘দেশটির ক্রিমিনাল অপরাধীদের বিচার ব্যবস্থার শোচনীয় অবস্থার প্রতিফলন’। ‘মিশরের বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দমন করার জন্য মৃত্যুদণ্ডদেশটির কর্তৃপক্ষের একটি জনপ্রিয় হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে,’ বলা হয় লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটির বিবৃতিতে। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স মন্তব্য
Sunday, May 17, 2015
এক মামলায় মুরসি, বাদিসহ শতাধিক নেতার মৃত্যুদণ্ড:আরটিএনএন
রে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। আদালতের খাচার ভেতরে মুরসিকে কয়েদীর নীল পোশাকে বসিয়ে রাখা হয়। রায় ঘোষণার পর প্রতিবাদে তিনি মুষ্টি উঁচুতে তুলে ধরেন। মুরসির পাশাপাশি ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ বাদি এবং ব্রাদারহুড নেতা খয়রাত আল শাতেরকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া সাজা দেয়া হয়েছে বিশিষ্ট ইসলামী পন্ডিত ইউসুফ আল-কারজাবিতে, যিনি বর্তমানে কাতারে বসবাস করেন। বিস্তারিত রায় ২ জুন প্রকাশ করা হবে। মুরসির আইনজীবী আবদেল মোনিম আবদেল মাকসুদ বলেছেন, মুরসি যদি আপিল করার সিদ্ধান্ত নেন তবে আপিল করা হবে। আর তিনি যদি এই আদালত অস্বীকার করেন তবে আপিল করা হবে না। এর আগে মুরসি এ ধরনের বিচারকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন তিনি এখনো মিশরের বৈধ প্রেসিডেন্ট। এ মামলায় গাজার ইসলামপন্থী দল হামাস এবং লেবাননের শিয়া সংগঠন হেজবুল্লাহর অর্ধডজন নেতাও আসামি ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের সাজা দেয়া হয়েছে। মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির এ নেতাকে ২০১৩ সালের জুলাইয়ে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এর পর থেকে মিশর শাসন করছেন সেনাশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। মুরসির পতনের পর থেকে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালাচ্ছে স্বৈরশাসক সিসির সরকার। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে শত শত গণতন্ত্রকামীকে হত্যা ও হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাবন্দী করার পর এখন প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ইসলামপন্থী নেতাকর্মীদের মৃত্যদণ্ড ও দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড দেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট সিসি আদালতকে নিপীড়নের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। ২০১২ সালে পতিত স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে বিপ্লব চলাকালে সহিংতার অভিযোগে গত মাসে মুরসিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মিশরের একটি আদালত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যানশাল এই রায়কে ‘প্রহসনের বিচার’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। মুরসির বিরুদ্ধে দায়ের কারা আরো দুটি মামলায় শনিবার রায় ঘোষণা করা। তবে তাতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি। এর একটি হচ্ছে বিচার বিভাগকে তাচ্ছিল্য করা এবং অপরটি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কাতারের পক্ষে ‘গুপ্তচরবৃত্তি’। মিশরের ইতিতাসে মুরসি ছিলেন প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, হোসনি মোবারকের পতনে পর সিসির ক্ষমতা দখলের আগ পর্যন্ত মিশরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার প্রতিটিতে জয়লাভ করেছে ৮৭ বছরের পুরনো রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুড। সেসব নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্নও ওঠেনি। অথচ সিসি এই দলটিকে উৎখাত করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং একে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছেন। শোচনীয় বিচার বিভাগ শনিবারের রায় ঘোষণার পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই রায় ‘দেশটির ক্রিমিনাল অপরাধীদের বিচার ব্যবস্থার শোচনীয় অবস্থার প্রতিফলন’। ‘মিশরের বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দমন করার জন্য মৃত্যুদণ্ডদেশটির কর্তৃপক্ষের একটি জনপ্রিয় হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে,’ বলা হয় লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটির বিবৃতিতে। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment