Monday, May 18, 2015

মিশরে গণবিচারে মৃত্যুদণ্ড ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন’:আরটিএনএন

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র উদ্বেগ মিশরে গণবিচারে মৃত্যুদণ্ড ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন’ আন্তর্জাতিক আরটিএনএন কায়রো: মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ও তার সমর্থক বহু লোককে গণবিচারে মৃত্যুদণ্ড দেয়াকে ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। গণবিচারে পাইকারি মৃত্যুদণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গণবিচারের রায়কে মুরসির দল মুসলিম ব্রাদা
রহুডের প্রতি ‘সার্বিক যুদ্ধ’ ঘোষণা বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১১ সালে অভ্যূত্থানের সময় কারাগার ভেঙে কয়েদিদের বের করে আনার ঘটনায় ভূমিকার জন্য শনিবার মুরসিসহ একশ’র বেশি লোককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় বসেন মুরসি। মুরসি কেবল এক বছর দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর ২০১৩ সালের জুলাই মাসে পরিকল্পিত বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে তৎকালীন সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। এরপর ২০১৪ সালে পাতানো এক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হন সিসি। ওয়াশিংটন শনিবারের রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, তারা গণবিচার ও রায়ের বির্বদ্ধে বারবারই বলে আসছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিচার ব্যবস্থার স্বার্থে বিচারের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ এবং সকল মিশরীয়র জন্য আলাদা বিচার প্রক্রিয়া সম্পাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর অব্যাহতভাবে গুরুত্বারোপ করছি।’ ইইউ’র শীর্ষ কূটনীতিক ফেডারিকা মগহেরেনি বলেন, বিচার ত্রুটিপূর্ণ এবং জোটের বিশ্বাস আপিলে রায়ের পরিবর্তন ঘটবে। গণবিচার শেষে মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আদালত যা আন্তর্জাতিক আইনে মিশরের দায়বদ্ধতার সঙ্গে সঙ্গতিহীন। সিসি প্রশাসনের ব্যাপক দমনপীড়নে মুরসির শত শত সমর্থক নিহত, কয়েক হাজার লোককে কারারুদ্ধ ও গণবিচারে পর পাইকারি হারে তার সমর্থকদের মৃত্যুদণ্ড দেয়াকে ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। কারাগার ভেঙে পালানো ও গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে মিশরের ক্ষমতাচ্যুত ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিসহ আরো অন্তত ১০০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন একটি আদালতের বিচারক শাবান আল-শামি। আদালতের বিচারক রায় পড়ে শোনানোর সময় কাঠগড়ায় স্থাপিত খাঁচায় বসা মুরসি মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে ধরে বিচার প্রত্যাখ্যান করেন। সহিংসতায় উস্কানি দেয়ার দায়ে আরেকটি মামলায় ইতিমধ্যে তার ২০ বছরের সাজা হয়েছে। শনিবারের রায়ে আরো মৃত্যুদণ্ড হয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ বাদি এবং তার সহকারী খয়রাত আল-শাতেরের। হত্যা এবং পুলিশ অপহরণের দায়ে বাদিও আরেকটি মামলার বিচারে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন। রায়ে সাজাপ্রাপ্তদের অনেকে পলাতক। তাদের মধ্যে রয়েছেন কাতারে বসবাসরত ইসলামি নেতা ইউসুফ আল-কারজাবি। মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment