
ু সংগ্রহ করতে কেউবা ইটভাটায়। পিতা, ভাই অথবা এলাকার প্রতিবেশীদের সাথে রেনু পোনা সংগ্রহ করে দাদনকারীদের কাছে নিয়ে গেলে ৩০/৪০ টাকা দেয়। ফলে পরিবারের আর্থিক অনটন কিছুটা কমিয়ে আনছে ঐ শিশুরা। চরফ্যাশন এলাকার পর্যটনীয় এলাকা হিসেবে পরিচিত চর কুকরী-মুকরী ইউনিয়নের চর পাতিলা গ্রাম। এ গ্রামে ২০ বর্গমাইল এলাকা রয়েছে স্কুলবিহীন। যেখানে ৫ হাজার লোকের বসবাস। এ গ্রামে স্কুলগামী ছেলে মেয়ের সংখ্যা প্রায় ৫/৭ শতাধীক। বসবাসকারীদের প্রধান জীবিকা নদীতে মাছ শিকার ও চাষাবাদ। বর্ষা মৌসুমে নৌকা তাদের একমাত্র চলাচলের বাহন। এলাকায় কোন স্কুল না থাকায় ছেলে মেয়েরা উপার্জনের তাগিদে চলে যাচ্ছে জীবনের ঝুকিপূর্ণ শিশুশ্রম কাজে। একই গ্রামের শিক্ষিত যুবক মোঃ আবুল কাশেম ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শরীফপাড়া অস্থায়ী জেঃ বেঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রায় ৩ বছর ধরে তিন জন সহকর্মী শিক্ষিকা নিয়ে বিনা বেতনে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে উক্ত স্কুলে প্রায় ৩ শতাধীক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে। বিগত বছরগুলোতে (পিএসসি) পরীক্ষায় পাশের হার ১০০% বলে জানালেন প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম। একই এলকার আলাউদ্দিন মাঝির স্ত্রী বলেন, প্রায় ৩ কিঃমিঃ দুরে স্কুল হওয়ার কারণে আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারি না। তিনি আরো জানান, বর্ষা মৌসুমে প্রায় তারা আইলা, বন্যা, সিডর, ও জলোচ্ছাস সহ বিভিন্ন প্রতিকুল পরিবেশে লড়াই করে বেচেঁ থাকেন। এমকে
No comments:
Post a Comment