ং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা অনাদায়ে কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, যিনি এই আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে আসছেন। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘বার্গম্যানের বিরুদ্ধে ‘জাতির আকাঙ্খা ও পবিত্র আবেগে’র অবমাননা ও তাচ্ছিল্য করার অভিযোগ এনেছে আদালত। এটা আদালতের অন্যায়। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বৈধ সাংবাদিকতা এবং ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের ওপর আদালতে আক্রমণ, যা বাংলাদেলের বিপন্ন গণতন্ত্রকেই অবমাননা ও তাচ্ছিল্য করছে।’ Muzzling Speech in Bangladesh শীর্ষক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতা একটি বিপজ্জনক পেশা। সরকার বা ইসলামী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে স্থানীয় সাংবাদিকররা নির্যাতন এমনকি হত্যার শিকার হচ্ছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ইকোনমিস্টের সাংবাদিকেরও বিচার করা হয়েছে।’ ‘বস্তুত ট্রাইব্যুনাল সাংবাদিকসুললভ অনুসন্ধানের ওপর যে বাধা আরোপ করেছে তা এতোটাই হীন এবং এর বর্ণনা এতোটাই অষ্পষ্ট যে আদালতের গোপনীয়তা এবং স্বৈচ্ছাধীন মানদণ্ডের জন্য সমালোচনামূলক কোনো বক্তব্য বা লেখার জন্য ফৌজদারী অভিযোগের ঝুঁকি রয়েছে। এর ফল হচ্ছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অনুসন্ধানের ওপর গভীর শীতলতা।’ সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সরকারিভাবে বলা হয় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ। এই সংখ্যা নিয়ে কোনো প্রশ্ন সহ্য করতে রাজি নয় ট্রাইব্যুনাল। অথচ বার্গম্যান বলেছিলেন নিহতের সংখ্যা ৩ লাখ থেকে ৩০ লাখের মধ্যে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘সরকারি ভাষ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের নাগরিক এবং বাসিন্দাদের রয়েছে। কোনো ধরনের শাস্তির আশঙ্কা ছাড়াই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক রেকর্ড নিয়ে বৈধ অনুসন্ধানের সুযোগ সাংবাদিক এবং গবেষকদের অবশ্যই থাকতে হবে। ট্রাইব্যুনাল যদি সত্যিই ন্যায়বিচার করতে চায় তবে বার্গম্যানের সাজা বাতিল করতে হবে।’ মন্তব্য
Wednesday, December 24, 2014
অন্যায় করেছে ট্রাইব্যুনাল:RTNN
অন্যায় করেছে ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক ডেস্ক আরটিএনএন নিউইয়র্ক: ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে সাজা দিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ‘অন্যায় করেছে’ বলে মন্তব্য করেছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস। বুধবার প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, এটা বৈধ সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আদালতের আক্রমণ। অনুসন্ধানী সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে গত ২ ডিসেম্বর প্রতীকি সাজা এব
ং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা অনাদায়ে কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, যিনি এই আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে আসছেন। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘বার্গম্যানের বিরুদ্ধে ‘জাতির আকাঙ্খা ও পবিত্র আবেগে’র অবমাননা ও তাচ্ছিল্য করার অভিযোগ এনেছে আদালত। এটা আদালতের অন্যায়। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বৈধ সাংবাদিকতা এবং ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের ওপর আদালতে আক্রমণ, যা বাংলাদেলের বিপন্ন গণতন্ত্রকেই অবমাননা ও তাচ্ছিল্য করছে।’ Muzzling Speech in Bangladesh শীর্ষক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতা একটি বিপজ্জনক পেশা। সরকার বা ইসলামী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে স্থানীয় সাংবাদিকররা নির্যাতন এমনকি হত্যার শিকার হচ্ছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ইকোনমিস্টের সাংবাদিকেরও বিচার করা হয়েছে।’ ‘বস্তুত ট্রাইব্যুনাল সাংবাদিকসুললভ অনুসন্ধানের ওপর যে বাধা আরোপ করেছে তা এতোটাই হীন এবং এর বর্ণনা এতোটাই অষ্পষ্ট যে আদালতের গোপনীয়তা এবং স্বৈচ্ছাধীন মানদণ্ডের জন্য সমালোচনামূলক কোনো বক্তব্য বা লেখার জন্য ফৌজদারী অভিযোগের ঝুঁকি রয়েছে। এর ফল হচ্ছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অনুসন্ধানের ওপর গভীর শীতলতা।’ সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সরকারিভাবে বলা হয় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ। এই সংখ্যা নিয়ে কোনো প্রশ্ন সহ্য করতে রাজি নয় ট্রাইব্যুনাল। অথচ বার্গম্যান বলেছিলেন নিহতের সংখ্যা ৩ লাখ থেকে ৩০ লাখের মধ্যে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘সরকারি ভাষ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের নাগরিক এবং বাসিন্দাদের রয়েছে। কোনো ধরনের শাস্তির আশঙ্কা ছাড়াই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক রেকর্ড নিয়ে বৈধ অনুসন্ধানের সুযোগ সাংবাদিক এবং গবেষকদের অবশ্যই থাকতে হবে। ট্রাইব্যুনাল যদি সত্যিই ন্যায়বিচার করতে চায় তবে বার্গম্যানের সাজা বাতিল করতে হবে।’ মন্তব্য
ং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা অনাদায়ে কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, যিনি এই আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে আসছেন। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘বার্গম্যানের বিরুদ্ধে ‘জাতির আকাঙ্খা ও পবিত্র আবেগে’র অবমাননা ও তাচ্ছিল্য করার অভিযোগ এনেছে আদালত। এটা আদালতের অন্যায়। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বৈধ সাংবাদিকতা এবং ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের ওপর আদালতে আক্রমণ, যা বাংলাদেলের বিপন্ন গণতন্ত্রকেই অবমাননা ও তাচ্ছিল্য করছে।’ Muzzling Speech in Bangladesh শীর্ষক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতা একটি বিপজ্জনক পেশা। সরকার বা ইসলামী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে স্থানীয় সাংবাদিকররা নির্যাতন এমনকি হত্যার শিকার হচ্ছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ইকোনমিস্টের সাংবাদিকেরও বিচার করা হয়েছে।’ ‘বস্তুত ট্রাইব্যুনাল সাংবাদিকসুললভ অনুসন্ধানের ওপর যে বাধা আরোপ করেছে তা এতোটাই হীন এবং এর বর্ণনা এতোটাই অষ্পষ্ট যে আদালতের গোপনীয়তা এবং স্বৈচ্ছাধীন মানদণ্ডের জন্য সমালোচনামূলক কোনো বক্তব্য বা লেখার জন্য ফৌজদারী অভিযোগের ঝুঁকি রয়েছে। এর ফল হচ্ছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অনুসন্ধানের ওপর গভীর শীতলতা।’ সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সরকারিভাবে বলা হয় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ। এই সংখ্যা নিয়ে কোনো প্রশ্ন সহ্য করতে রাজি নয় ট্রাইব্যুনাল। অথচ বার্গম্যান বলেছিলেন নিহতের সংখ্যা ৩ লাখ থেকে ৩০ লাখের মধ্যে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘সরকারি ভাষ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের নাগরিক এবং বাসিন্দাদের রয়েছে। কোনো ধরনের শাস্তির আশঙ্কা ছাড়াই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক রেকর্ড নিয়ে বৈধ অনুসন্ধানের সুযোগ সাংবাদিক এবং গবেষকদের অবশ্যই থাকতে হবে। ট্রাইব্যুনাল যদি সত্যিই ন্যায়বিচার করতে চায় তবে বার্গম্যানের সাজা বাতিল করতে হবে।’ মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment