
বলা হয়নি। এর আগে দেশটির স্টার পত্রিকা ১০০টি লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মানবপাচারকারীরা বাংলাদেশী ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওই বন্দীশিবিরগুলোতে রাখত এবং লাশগুলো তাদেরই। দেশটির পুলিশ প্রধান খালিদ আবু বকর জানিয়েছেন, কোনো কোনো কবরে একাধিক লাশ রয়েছে। এ ছাড়া কোনো বন্দীশিবিরে একসঙ্গে ৩ শ’য়েরও বেশি লোককে রাখার মতো জায়গা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বন্দীশিবির ও কবর পাওয়ার ঘটনার তদন্তকালে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের আটকের ঘোষণা দিয়েছেন। বেশ কিছুদিন আগে মালয়েশিয়ার উত্তরের পারলিস প্রদেশের পাশে অবস্থিত থাইল্যান্ডের সঙ্খলা প্রদেশে মানবপাচারকারীদের ব্যবহৃত ১৭টি নির্যাতন শিবির ও ২৬টি লাশ খুঁজে পায় দেশটির পুলিশ। এ ঘটনার পর থাই পুলিশ মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু করে। অভিযানের কারণে পাচারকারীরা থাইল্যান্ডে না গিয়ে বিদেশগামীদের নিয়ে সমুদ্রে ভেসে বেড়াচ্ছে ও উপকূলে ছেড়ে দিচ্ছে। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া উপকূল থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই প্রথম থাইল্যান্ডের বাইরে পাচার হওয়াদের কবর ও বন্দীশিবিরের সন্ধান পাওয়া গেল। সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি। এআর
No comments:
Post a Comment