
জিয়া আদালত ত্যাগ করেন। খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরের আগেই সোমবার সকালে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এদিকে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে যে সব সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন তা বাতিল চেয়ে নতুন করে সাক্ষ্য নেয়ার আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। এ নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া চারবার বিশেষ জজ আদালতে হাজিরা দিতে উপস্থিত হন। ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর ও ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল তিনি বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়েছিলেন। এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। নতুন বার্তা/কেএমআর
No comments:
Post a Comment