সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির টিআইবি অফিসে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সংস্থাটির এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। এ সময় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদাও উপস্থিত ছিলেন। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এই নির্বাচনে ব্যাপকভাবে কারচুপি হয়েছে। ভোটের ব্যবধান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন কমিশন সরকার দলীয় প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নমনীয় ছিল। সরকার সমর্থিত লোকদের বিজয়ী করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত কর্মকর্তারাও পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। কোনো কোনো জায়গায় তারা জাল ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্র দখলে ছিলেন নিশ্চুপ। এতে ভোটরারা হতাশ হয়েছেন এবং প্রতারিত হয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা সমানভাবে গ্রহণে ব্যর্থতা, ভোট জালিয়াতি, কারচুপি এবং ভোটকেন্দ্র দখলে সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই দায়ী।’ ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও শক্তিশালী ছিল কিন্তু নেতৃত্বের কারণেই এ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এটাকে সুষ্ঠু নির্বাচন বলা যায় না।’ ড. এটিএম শামছুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল, জালভোট, কারচুপি, সহিংসতা এবং প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কেন্দ্র দখল হওয়া, কারচুপি ও জালভোট নির্বাচন থেকে সরে গেছে ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন দেখি এসব বেশি সংখায় হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। এর দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।’ শামছুল হুদা বলেন, ‘আমাদের সময় যেসব কেন্দ্রে সমস্যা হয়েছে আমরা সেইসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে দিয়েছি। এই নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল বিতর্কিত ভোট বাতিল করা।’ আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্বে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় কিন্তু বাংলাদেশে হচ্ছে না। এটা জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জার বিষয়। সব ঝামেলা আমাদের এখানে। নির্বাচনটি যেভাবে হওয়া দরকার ছিল সেভাবে হয় নাই। যেটুকু হয়েছে তা মঙ্গলজনক নয়। জাতি হিসেবে আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগুচ্ছিলাম। এখন আবার পিছিয়ে গেলাম এই নির্বাচনের কারণে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার নির্বাচন কমিশনের।’ মন্তব্য
Monday, May 18, 2015
সিটি নির্বাচনে ‘ব্যাপক কারচুপি হয়েছে’:আরটিএনএন
সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির টিআইবি অফিসে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সংস্থাটির এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। এ সময় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদাও উপস্থিত ছিলেন। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এই নির্বাচনে ব্যাপকভাবে কারচুপি হয়েছে। ভোটের ব্যবধান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন কমিশন সরকার দলীয় প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নমনীয় ছিল। সরকার সমর্থিত লোকদের বিজয়ী করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত কর্মকর্তারাও পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। কোনো কোনো জায়গায় তারা জাল ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্র দখলে ছিলেন নিশ্চুপ। এতে ভোটরারা হতাশ হয়েছেন এবং প্রতারিত হয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা সমানভাবে গ্রহণে ব্যর্থতা, ভোট জালিয়াতি, কারচুপি এবং ভোটকেন্দ্র দখলে সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই দায়ী।’ ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও শক্তিশালী ছিল কিন্তু নেতৃত্বের কারণেই এ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এটাকে সুষ্ঠু নির্বাচন বলা যায় না।’ ড. এটিএম শামছুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল, জালভোট, কারচুপি, সহিংসতা এবং প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কেন্দ্র দখল হওয়া, কারচুপি ও জালভোট নির্বাচন থেকে সরে গেছে ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন দেখি এসব বেশি সংখায় হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। এর দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।’ শামছুল হুদা বলেন, ‘আমাদের সময় যেসব কেন্দ্রে সমস্যা হয়েছে আমরা সেইসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে দিয়েছি। এই নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল বিতর্কিত ভোট বাতিল করা।’ আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্বে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় কিন্তু বাংলাদেশে হচ্ছে না। এটা জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জার বিষয়। সব ঝামেলা আমাদের এখানে। নির্বাচনটি যেভাবে হওয়া দরকার ছিল সেভাবে হয় নাই। যেটুকু হয়েছে তা মঙ্গলজনক নয়। জাতি হিসেবে আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগুচ্ছিলাম। এখন আবার পিছিয়ে গেলাম এই নির্বাচনের কারণে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার নির্বাচন কমিশনের।’ মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment