Monday, May 18, 2015

আট সপ্তাহে যমুনা রিসোর্ট রুল নিষ্পত্তির আদেশ:আরটিএনএন

আট সপ্তাহে যমুনা রিসোর্ট রুল নিষ্পত্তির আদেশ নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: যমুনা রিসোর্ট লিমিটেডের (জেআরএল) সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্পাদিত চুক্তি বাতিল সংক্রান্ত খারিজাদেশ নিয়ে হাইকোর্টের রুল আট সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। সে সময় পর্যন্ত বিষয়টিতে চেম্বার বিচারপতির দেওয়া স্থিতাবস্থা বহাল থাকবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে। সোমবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপ
তি এসকে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। আদালতে যমুনা রিসোর্টের পক্ষে শুনানি করেন- ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আব্দুন নূর। গত ২৩ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে গড়ে তোলা যমুনা রিসোর্ট অবকাশ যাপন কেন্দ্রের বিষয়ে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল সংক্রান্ত নোটিশের কার্যকারিতা ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। ২৬ এপ্রিল শুনানি শেষে বিষয়টিতে স্থিতাবস্থা জারি করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আপিল পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। মামলার বিবরণে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও কালিহাতী উপজেলার প্রায় ১,২০০ একর জমির ওপর আন্তর্জাতিক মানের অবকাশ যাপন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ১৯৯৯ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৩০ বছর মেয়াদী জমি ও স্থাপনার লিজ নেয় যমুনা রিসোর্ট লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী সেতু কর্তৃপক্ষকে ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা ছিল, তা পরিশোধ না করায় বকেয়া পড়ে। বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও যমুনা রিসোর্ট লিমিটেডের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। বকেয়া টাকা পরিশোধ না করা এবং চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সার্টিফিকেট অব সেটিসফেকশনে (সিএস) স্বাক্ষর না করায় জেআরএল ও সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে মতানৈক্য চরম আকার ধারণ করে। সর্বশেষ সেতু কর্তৃপক্ষের ১০৪তম বোর্ড সভায় জেআরএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পাদিত ৩০ বছর মেয়াদী চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী গত ১ এপ্রিল চুক্তি বাতিলের চিঠি দেওয়া হয় জেআরএল কর্তৃপক্ষকে।   এ চিঠি পাওয়ার পর চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা জজ আদালতে দায়ের করা আরবিট্রেশন মিস কেস করে যমুনা রিসোর্ট লিমিটেড। আদালত ওই সিদ্ধান্তের ওপর স্থিতাবস্থা প্রদান করেন। কিন্তু পরে গত ২ এপ্রিল বিচারিক আদালত এ আবেদনটি খারিজ করে দেন।   মিস কেসটি খারিজাদেশের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অনুরোধে টাঙ্গাইল কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমি মো. সায়েফ জেআরএল’র লিজকৃত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সিলগালা ও সিজার লিস্ট করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটির কাছে বুঝিয়ে দেন। এরপর যমুনা কর্তৃপক্ষ বিচারিক আদালতের আদেশের পর হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে গড়ে তোলা অবকাশ যাপন কেন্দ্রের বিষয়ে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল সংক্রান্ত নোটিশের কার্যকারিতা ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যমুনা রিসোর্টের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা প্রদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া চুক্তি বাতিল সংক্রান্ত খারিজাদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এরপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। রবিবার শুনানি শেষে বিষয়টিতে স্থিতাবস্থা জারি করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আপিল পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। মন্তব্য নিউজ ডেস্কআরটিএনএনঢাকা: বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে যেসব অবৈধ অভিবাসী ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন, তা . . . বিস্তারিত নিজস্ব প্রতিবেদকআরটিএনএনঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র আব্দুল কাদেরকে থানায় এনে পিটিয়ে জখম করার মামলায় খিলগাঁও . . . বিস্তারিত            

No comments:

Post a Comment