সিটি নির্বাচনের অনিয়ম বিচারে ট্রাইবুনাল নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: তিন সিটি নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে প্রার্থীদের অভিযোগের বিচার করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এর জন্য একজন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজকে (ঢাকা) নিয়ে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ঢাকা) নিয়ে গঠন করা হয়েছে আপিল ট্রাইব্যুনাল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেও (ডিএসসিসি) নির্বাচনের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একজন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজকে (ঢাকা) নিয়ে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ঢাকার সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে আপিল ট্রাইব্যুনাল। এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনেও (চসিক) নির্বাচনের জন্য যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ চট্টগ্রামকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। এখানেও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়) চট্টগ্রাম এর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে আপিল ট্রাইব্যুনাল। তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তি এ ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারবেন। সিটি নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বা ব্যক্তিকে মামলা করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল মামলা হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে অভিযোগ চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করবেন। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তুষ্ট না হলে আপিল ট্রাইব্যুনালেও আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে চূড়ান্তভাবে মামলা নিষ্পত্তি করবেন। ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল অর্থাৎ বিজয়ী প্রার্থীর ফলাফল বাতিল, কোনো প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল ও নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করা, সামগ্রিকভাবে পুরো নির্বাচন বাতিল অর্থাৎ পুনরায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা এই তিন ধরনের প্রতিকারের জন্য ট্রাইব্যুনালের আশ্রয় নিতে পারবেন প্রার্থীরা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠসহ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment