চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল আজ মঙ্গলবার। এদিন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকেও আসামিপক্ষের জেরা করতে তাকে রি-কল করার কথা রয়েছে। সকাল সাড়ে দশটার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। খালেদা জিয়া আসছেন না বলে নিশ্চিত করে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেছেন, আমরা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন জানাবো। তবে অপর আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আগের মতোই তারা হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাদী ও প্রথম হারুন-অর-রশিদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কোনো আসামি না থাকায় আসামিপক্ষের জেরা বাতিল করেছিলেন আদালত। ৫ এপ্রিল খালেদার পক্ষে তাকে জেরা করতে রি-কলের আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে মঙ্গলবার হারুন-অর-রশিদকে খালেদা ও তারেকসহ অন্য আসামিদের পক্ষে জেরার দিন ধার্য করেন আদালত। হারুন-অর-রশিদকে জেরা শেষ হলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণেরও দিন ধার্য করা হয় আজ। গত ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির জামিনসহ আসামিপক্ষের চারটি আবেদন মঞ্জুর করে মামলা দু’টির শুনানি ৫ মে পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত। ওইদিন খালেদার উপস্থিতিতে তার সঙ্গে জামিন পেয়েছেন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্য দুই আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। ৪ মার্চ এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রাখেন আদালত। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়। অন্যদিকে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়। দুই মামলারই বাদী হয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান। মন্তব্য
Tuesday, May 5, 2015
আদালতে যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া:আরটিএনএন
চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল আজ মঙ্গলবার। এদিন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকেও আসামিপক্ষের জেরা করতে তাকে রি-কল করার কথা রয়েছে। সকাল সাড়ে দশটার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। খালেদা জিয়া আসছেন না বলে নিশ্চিত করে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেছেন, আমরা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন জানাবো। তবে অপর আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আগের মতোই তারা হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাদী ও প্রথম হারুন-অর-রশিদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কোনো আসামি না থাকায় আসামিপক্ষের জেরা বাতিল করেছিলেন আদালত। ৫ এপ্রিল খালেদার পক্ষে তাকে জেরা করতে রি-কলের আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে মঙ্গলবার হারুন-অর-রশিদকে খালেদা ও তারেকসহ অন্য আসামিদের পক্ষে জেরার দিন ধার্য করেন আদালত। হারুন-অর-রশিদকে জেরা শেষ হলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণেরও দিন ধার্য করা হয় আজ। গত ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির জামিনসহ আসামিপক্ষের চারটি আবেদন মঞ্জুর করে মামলা দু’টির শুনানি ৫ মে পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত। ওইদিন খালেদার উপস্থিতিতে তার সঙ্গে জামিন পেয়েছেন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্য দুই আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। ৪ মার্চ এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রাখেন আদালত। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়। অন্যদিকে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়। দুই মামলারই বাদী হয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment