ট-৩ এ রয়েছে ৬০টি ইউনিয়ন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ২৪৫টি ইউনিয়নকেও তিনটি লটে ভাগ করে কাজ করা হচ্ছে। এর মধ্যে লট-১ এ ৮১, লট-২ এ ৮৬ ও লট-৩ এ ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৯৪টি ইউনিয়নকে ২টি লটে ভাগ করে কাজ করা হচ্ছে। লট-১ এ রয়েছে ৯৭ ও লট-২ এ ৯৭টি ইউনিয়ন পরিষদ। সিলেট বিভাগ, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলায় ১৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদকে এর আওতায় আনা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম লটে ৮৯ ও দ্বিতীয় লটে ৮৪টি ইউনিয়ন পরিষদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সবক’টি ইউনিয়ন পরিষদের কাজই আগামী বছরের মধ্যে শেষ হবে। এসব ইউনিয়নে ইন্টারনেট সুবিধা চালু হলে গ্রামে বসেই মানুষ দেখবে দুনিয়া। শহর আর গ্রামের পার্থক্য ঘুচে যাবে অনেকখানি। ইতিমধ্যে এসব ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আর এমনটি হলে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে গ্রাহকরা ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পটি ২০১২ সালে হাতে নেয়া হয়। ২০১৩ সালে এসব কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্থ সংকটে মাঝপথে এসে এর কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। পরে সংকট কাটিয়ে ওঠে ফের এর কাজ শুরু হয়। জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে আগামী বছরের মধ্যে ১০০৬টি ইউনিয়ন পরিষদ ইন্টারনেট সুবিধার আওতাভুক্ত হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গ্রাম পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা সম্প্রসারিত হবে। ৭১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে বয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড বিটিসিএল। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অপটিক্যাল ফাইবার সেল গঠনের মাধ্যমে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে। দেশের ৯৮টি উপজেলা থেকে ১০০৬টি ইউনিয়ন বাছাই করা হয়েছে। গ্রাম পর্যায়ে আইসিটি সেবা প্রদান ও ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগের ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপনই এর লক্ষ্য। ইতিমধ্যে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ ও স্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় করা হয়েছে অপটিক্যাল ফাইবার। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, ওইসব ইউনিয়নের মধ্যে যেখানে বিদ্যুৎ ছিল না সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে বিটিসিএলের পরিচালক (গণসংযোগ) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, গ্রাম ও শহরের বৈষম্য দূর করতেই এ মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ২৯০টি উপজেলায় দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিসিএল। চলতি বছরই এর কাজ শেষ হবে। বিটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটিতে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৬১ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২২৫ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৯৬ কোটি টাকা এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় টার্মিনাল নির্মাণের কাজও করা হচ্ছে। বিটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেট ব্যবহারে শহরের সঙ্গে গ্রামের পার্থক্য অনেকখানি দূর হবে। একই সঙ্গে বিপুলসংখ্যক গ্রামীণ মানুষ তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় চলে আসবে। দ্রুতগতির ই-সেবা ছড়িয়ে পড়বে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের কারণে তাদের জীবনমানের উন্নতি হবে। পাশাপাশি নতুন এ অপটিক্যাল ক্যাবল সম্প্রসারণের ফলে বিদ্যমান ক্যাবলের ওপর চাপ কমবে। তথ্যপ্রযুক্তির চরম বিকাশের পরেও দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী এখনও ইন্টারনেট সেবার বাইরে রয়েছে। দেশে বিদ্যমান ৪৮৬টি উপজেলার মধ্যে ৪টি মেট্রোপলিটন শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ছাড়া ৪৮২টি উপজেলাকে বিবেচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৯টি উপজেলার বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ রয়েছে। বাকি ৩০৩টি উপজেলার মধ্যে ১৩টি উপজেলায় এ মুহূর্তে ভৌগোলিক কারণে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়। অবশিষ্ট ২৯০টি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হবে। যে ১৩টি উপজেলায় নেটওয়ার্ক সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়, সেগুলো হলো— ভোলা সদর, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঘাইছড়ি, লংদু, জুরাইছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল, বরিশালের মুলাদী, মেহেদীগঞ্জ ও হিজলা। মন্তব্য আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনমস্কো: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা হওয়া একটি রুশ মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান নিয় . . . বিস্তারিত আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কিছু ইমেইল হাতিয়ে নিয়েছে রাশিয়ান হ্যাকাররা। গত . . . বিস্তারিত
Wednesday, May 6, 2015
জুলাই থেকে ১০০৬ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা:আরটিএনএন
ট-৩ এ রয়েছে ৬০টি ইউনিয়ন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ২৪৫টি ইউনিয়নকেও তিনটি লটে ভাগ করে কাজ করা হচ্ছে। এর মধ্যে লট-১ এ ৮১, লট-২ এ ৮৬ ও লট-৩ এ ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৯৪টি ইউনিয়নকে ২টি লটে ভাগ করে কাজ করা হচ্ছে। লট-১ এ রয়েছে ৯৭ ও লট-২ এ ৯৭টি ইউনিয়ন পরিষদ। সিলেট বিভাগ, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলায় ১৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদকে এর আওতায় আনা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম লটে ৮৯ ও দ্বিতীয় লটে ৮৪টি ইউনিয়ন পরিষদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সবক’টি ইউনিয়ন পরিষদের কাজই আগামী বছরের মধ্যে শেষ হবে। এসব ইউনিয়নে ইন্টারনেট সুবিধা চালু হলে গ্রামে বসেই মানুষ দেখবে দুনিয়া। শহর আর গ্রামের পার্থক্য ঘুচে যাবে অনেকখানি। ইতিমধ্যে এসব ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আর এমনটি হলে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে গ্রাহকরা ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পটি ২০১২ সালে হাতে নেয়া হয়। ২০১৩ সালে এসব কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্থ সংকটে মাঝপথে এসে এর কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। পরে সংকট কাটিয়ে ওঠে ফের এর কাজ শুরু হয়। জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে আগামী বছরের মধ্যে ১০০৬টি ইউনিয়ন পরিষদ ইন্টারনেট সুবিধার আওতাভুক্ত হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গ্রাম পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা সম্প্রসারিত হবে। ৭১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে বয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড বিটিসিএল। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অপটিক্যাল ফাইবার সেল গঠনের মাধ্যমে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে। দেশের ৯৮টি উপজেলা থেকে ১০০৬টি ইউনিয়ন বাছাই করা হয়েছে। গ্রাম পর্যায়ে আইসিটি সেবা প্রদান ও ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগের ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপনই এর লক্ষ্য। ইতিমধ্যে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ ও স্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় করা হয়েছে অপটিক্যাল ফাইবার। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, ওইসব ইউনিয়নের মধ্যে যেখানে বিদ্যুৎ ছিল না সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে বিটিসিএলের পরিচালক (গণসংযোগ) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, গ্রাম ও শহরের বৈষম্য দূর করতেই এ মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ২৯০টি উপজেলায় দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিসিএল। চলতি বছরই এর কাজ শেষ হবে। বিটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটিতে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৬১ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২২৫ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৯৬ কোটি টাকা এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় টার্মিনাল নির্মাণের কাজও করা হচ্ছে। বিটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেট ব্যবহারে শহরের সঙ্গে গ্রামের পার্থক্য অনেকখানি দূর হবে। একই সঙ্গে বিপুলসংখ্যক গ্রামীণ মানুষ তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় চলে আসবে। দ্রুতগতির ই-সেবা ছড়িয়ে পড়বে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের কারণে তাদের জীবনমানের উন্নতি হবে। পাশাপাশি নতুন এ অপটিক্যাল ক্যাবল সম্প্রসারণের ফলে বিদ্যমান ক্যাবলের ওপর চাপ কমবে। তথ্যপ্রযুক্তির চরম বিকাশের পরেও দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী এখনও ইন্টারনেট সেবার বাইরে রয়েছে। দেশে বিদ্যমান ৪৮৬টি উপজেলার মধ্যে ৪টি মেট্রোপলিটন শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ছাড়া ৪৮২টি উপজেলাকে বিবেচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৯টি উপজেলার বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ রয়েছে। বাকি ৩০৩টি উপজেলার মধ্যে ১৩টি উপজেলায় এ মুহূর্তে ভৌগোলিক কারণে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়। অবশিষ্ট ২৯০টি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হবে। যে ১৩টি উপজেলায় নেটওয়ার্ক সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়, সেগুলো হলো— ভোলা সদর, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঘাইছড়ি, লংদু, জুরাইছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল, বরিশালের মুলাদী, মেহেদীগঞ্জ ও হিজলা। মন্তব্য আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনমস্কো: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা হওয়া একটি রুশ মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান নিয় . . . বিস্তারিত আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কিছু ইমেইল হাতিয়ে নিয়েছে রাশিয়ান হ্যাকাররা। গত . . . বিস্তারিত
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment