Tuesday, May 12, 2015

আটকের পর যুবদল নেতাকে গুলির অভিযোগ:আরটিএনএন

আটকের পর যুবদল নেতাকে গুলির অভিযোগ নিজস্ব প্রতিনিধি আরটিএনএন লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে পুলিশ আটকের পর এক যুবদল নেতার পায়ে গুলি করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তবে পুলিশের দাবি, পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবদলের নেতাসহ  দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্য। সোমবার দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ও পার্বতীনগরের সোনাপুর এলাকায় পৃথক এ কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। গুলিবি
দ্ধ বাবু (১৮) ও আরিফ হোসেন (২৫) ডাকাতদলের সদস্য বলে পুলিশ দাবি করেছে। তাঁদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ আরিফের পরিবার দাবি করেছে, সোমবার দুপুরে আরিফ হোসেনকে সোনাপুর এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে। পরে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে পায়ে গুলি করে বন্দুকযুদ্ধর নাটক সাজিয়েছে পুলিশ। কোনো বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি। লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন দাবি করেন, আরিফ পার্বতীনগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। তিনি ডাকাত নন, কোনো বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, গতকাল রাতে ১০ থেকে ১২ জনের ডাকাতদল চরশাহী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে  ডাকাতদলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। তখন বাবু নামের এক ডাকাত সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বন্দুক, তিনটি গুলি, চারটি ছুরি, একটি চাপাতি, ১০টি ককটেল, চার টি মুখোশ উদ্ধার করা হয়। বাবুর বাড়ি কল্যাণপুর গ্রামে। লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জুনায়েত কাউসার বলেন, রাতে পার্বতীনগরের সোনাপুরে কালিমন্দিরের পাশে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে আরিফ নামের এক ডাকাত সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। উদ্ধার করা হয়েছে  একটি এলজি ও দুটি গুলি। গুলিবিদ্ধ আরিফ সন্ত্রাসী বাশার বাহিনীর সদস্য। তার বিরুদ্ধে নয়টি মামলা রয়েছে বলে জানান এএসপি। মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment