বার বার রিমান্ডে নেয়ার ফলে এবং সু-চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’ তিনি বলেন. ‘নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সব নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তখন তাদের সকলকে সুস্থ অবস্থায়ই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অথচ এদের মধ্যে কেউ কারাগার থেকে লাশ হয়ে ফিরছেন, কেউ হুইল চেয়ারে করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন।’ বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হুইল চেয়ারে বসে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করে পুনরায় কারাগারে প্রেরণ করার ঘটনায় আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছি।’ তিনি বলেন, ‘মির্জা আলমগীর হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস্ ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লকসহ নানা জটিল রোগে অনেক দিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। এ অবস্থায় পাঁচ মাসাধিক সময় কারাগারে আটক রয়েছেন তিনি। তিনি ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন।’ ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, শমশের মবিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান, উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ও যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসত অনেক নেতাকর্মী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে রয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘সুচিকিৎসার অভাবে শঙ্কটাপন্ন হয়ে উঠছেন ক্রমাগত। এ পরিস্থিতি তাদের পরিবারের যেমন উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে, একইভাবে দলও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।’ বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা অনতিবিলম্বে দলের অসুস্থ নেতৃবৃন্দের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরসহ আটক সকল নেতৃবৃন্দ-কর্মীদের মুক্তিদানের মাধ্যমে সরকারের মানবিক আচরণের প্রত্যাশা করছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় শক্তিশালী ও কার্যকর বিরোধী দল থাকা অত্যাবশ্যক শর্ত। রাজনীতিতে ভিন্ন মত ও পথ থাকবে এবং তা পরিচালিত হবে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী।’ ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিরোধী নেতারা বেঁচে থাকলেই শুধু সরকার তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধিতায় অবতীর্ণ হতে পারবেন। কিন্তু বিরোধী নেতৃবর্গকে সুচিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে রেখে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া চরম অমানবিকতার চিত্র ফুটে উঠছে।’ তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতির চির অবসান হোক, এটাই দেশের সকল মানুষের প্রত্যাশা। মন্তব্য
Tuesday, May 5, 2015
কারাগারে নেতাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া অমানবিক: বিএনপি:আরটিএনএন
বার বার রিমান্ডে নেয়ার ফলে এবং সু-চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’ তিনি বলেন. ‘নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সব নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তখন তাদের সকলকে সুস্থ অবস্থায়ই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অথচ এদের মধ্যে কেউ কারাগার থেকে লাশ হয়ে ফিরছেন, কেউ হুইল চেয়ারে করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন।’ বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হুইল চেয়ারে বসে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করে পুনরায় কারাগারে প্রেরণ করার ঘটনায় আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছি।’ তিনি বলেন, ‘মির্জা আলমগীর হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস্ ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লকসহ নানা জটিল রোগে অনেক দিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। এ অবস্থায় পাঁচ মাসাধিক সময় কারাগারে আটক রয়েছেন তিনি। তিনি ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন।’ ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, শমশের মবিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান, উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ও যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসত অনেক নেতাকর্মী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কারাগারে রয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘সুচিকিৎসার অভাবে শঙ্কটাপন্ন হয়ে উঠছেন ক্রমাগত। এ পরিস্থিতি তাদের পরিবারের যেমন উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে, একইভাবে দলও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।’ বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা অনতিবিলম্বে দলের অসুস্থ নেতৃবৃন্দের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরসহ আটক সকল নেতৃবৃন্দ-কর্মীদের মুক্তিদানের মাধ্যমে সরকারের মানবিক আচরণের প্রত্যাশা করছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় শক্তিশালী ও কার্যকর বিরোধী দল থাকা অত্যাবশ্যক শর্ত। রাজনীতিতে ভিন্ন মত ও পথ থাকবে এবং তা পরিচালিত হবে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী।’ ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিরোধী নেতারা বেঁচে থাকলেই শুধু সরকার তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধিতায় অবতীর্ণ হতে পারবেন। কিন্তু বিরোধী নেতৃবর্গকে সুচিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে রেখে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া চরম অমানবিকতার চিত্র ফুটে উঠছে।’ তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতির চির অবসান হোক, এটাই দেশের সকল মানুষের প্রত্যাশা। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment