কবির রিজভী। মঙ্গলবার বিকালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে দলের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কারারুদ্ধ দলের নেতৃবৃন্দের অনেকেই বার বার রিমান্ডে নেয়া ও কারাগারে সুচিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। নেতৃবৃন্দ সুস্থ অবস্থায়ই গ্রেপ্তার হলেও এদের মধ্যে কেউ এখন কারাগার থেকে লাশ হয়ে ফিরছেন। কেউ হুইল চেয়ারে করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। অন্যরা রোগ যন্ত্রণায় কারাভ্যন্তরে কাতর হয়ে পড়ছেন।’’ ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ (মঙ্গলবার) গুরুতর অসুস্থ হয়ে হুইল চেয়ারেবসে চিকিৎসা নিতে বিএসএমএমইউ নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ছাড়া পুনরায় কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছি। আমরা অবিলম্বে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ অসুস্থ নেতাদের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরসহ আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তিদানের মাধ্যমে সরকারের মানবিক আচরণের প্রত্যাশা করছি।’’ নয় পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে এই জরুরি সংবাদ ব্রিফিং হয়। সকালে গাজীপুরের কাশিপুর কারাগার থেকে অসুস্থ মির্জা ফখরুলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আনা হয়। অধ্যাপক রফিকুল আলমের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কয়েকটি টেস্ট করার সুপারিশ করেন।হুইল চেয়ারে করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে বর্হিঃবিভাগের নিয়ে তার পরীক্ষাগুলো করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ বিকালে তাকে আবার কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস, চ্যারোটিভ আর্টারিড আটারীতে ব্লকসহ নানা জটিল রোগে অনেকদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাঁচ মাস যাবত কারাগারে রয়েছেন। আজকে আমরা মিডিয়াকে দেখেছি, তিনি হুইল চেয়ারে বসিয়ে হাসপাতালে আনা হয়েছে।’’ ‘‘ওই সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুইল চেয়ারে বসে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। গ্রেপ্তারের পর তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। পরিনামে এখন তিনি হুইল চেয়ারে বসেছেন। এ বিষয়টি স্পর্শকাতর ও মানবিক।’’ ‘‘সকল নাগরিক সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এটা তার সাংবিধানিক অধিকার।’’ রাজশাহী কারাগারে বন্দি অবস্থায় অসুস্থ দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যু চিকিৎসার অভাবে হয়েছে বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘পিন্টু লাশ হয়ে কারাগার থেকে ফিরেছেন। তিনি সুচিকিৎসা পাননি। উচ্চ আদালত তার চিকিৎসা বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে করার আদেশ দিলেও তা কারা কর্তৃপক্ষ উপেক্ষা করেছে।’’ আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় শক্তিশালী ও কাযর্কর বিরোধী দল থাকা অত্যবশ্যক শর্ত। রাজনীতিতে ভিন্ন মত ও পথ থাকবে। তা পরিচালিত হতে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী।বিরোধী নেতারা বেঁচে থাকলেই শুধু সরকার তাদের সাথে রাজনৈতিক বিরোধিতা অবর্তীর্ণ হতে পারে। কিন্তু বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে সুচিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে রেখে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া চরম অমানবিকতার চিত্র ফুটে উঠেছে।’’ ‘‘এসব হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতির চির অবসান হউক এটা দেশবাসীর প্রত্যাশা।’’ সংবাদ ব্রিফিঙে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা আসদুল করীম শাহিন, আবদুস সালাম আজাদ, শামসুল আলম তোফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নতুস বার্তা/এসএ
Tuesday, May 5, 2015
‘গ্রেফতারের সময় সুস্থ, এখন কারাগারে বিএনপির ৮ নেতা গুরুতর অসুস্থ’ :নতুন বার্তা
কবির রিজভী। মঙ্গলবার বিকালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে দলের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কারারুদ্ধ দলের নেতৃবৃন্দের অনেকেই বার বার রিমান্ডে নেয়া ও কারাগারে সুচিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। নেতৃবৃন্দ সুস্থ অবস্থায়ই গ্রেপ্তার হলেও এদের মধ্যে কেউ এখন কারাগার থেকে লাশ হয়ে ফিরছেন। কেউ হুইল চেয়ারে করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। অন্যরা রোগ যন্ত্রণায় কারাভ্যন্তরে কাতর হয়ে পড়ছেন।’’ ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ (মঙ্গলবার) গুরুতর অসুস্থ হয়ে হুইল চেয়ারেবসে চিকিৎসা নিতে বিএসএমএমইউ নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ছাড়া পুনরায় কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছি। আমরা অবিলম্বে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ অসুস্থ নেতাদের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরসহ আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তিদানের মাধ্যমে সরকারের মানবিক আচরণের প্রত্যাশা করছি।’’ নয় পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে এই জরুরি সংবাদ ব্রিফিং হয়। সকালে গাজীপুরের কাশিপুর কারাগার থেকে অসুস্থ মির্জা ফখরুলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আনা হয়। অধ্যাপক রফিকুল আলমের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কয়েকটি টেস্ট করার সুপারিশ করেন।হুইল চেয়ারে করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে বর্হিঃবিভাগের নিয়ে তার পরীক্ষাগুলো করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ বিকালে তাকে আবার কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস, চ্যারোটিভ আর্টারিড আটারীতে ব্লকসহ নানা জটিল রোগে অনেকদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাঁচ মাস যাবত কারাগারে রয়েছেন। আজকে আমরা মিডিয়াকে দেখেছি, তিনি হুইল চেয়ারে বসিয়ে হাসপাতালে আনা হয়েছে।’’ ‘‘ওই সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুইল চেয়ারে বসে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। গ্রেপ্তারের পর তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। পরিনামে এখন তিনি হুইল চেয়ারে বসেছেন। এ বিষয়টি স্পর্শকাতর ও মানবিক।’’ ‘‘সকল নাগরিক সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এটা তার সাংবিধানিক অধিকার।’’ রাজশাহী কারাগারে বন্দি অবস্থায় অসুস্থ দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যু চিকিৎসার অভাবে হয়েছে বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘পিন্টু লাশ হয়ে কারাগার থেকে ফিরেছেন। তিনি সুচিকিৎসা পাননি। উচ্চ আদালত তার চিকিৎসা বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে করার আদেশ দিলেও তা কারা কর্তৃপক্ষ উপেক্ষা করেছে।’’ আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় শক্তিশালী ও কাযর্কর বিরোধী দল থাকা অত্যবশ্যক শর্ত। রাজনীতিতে ভিন্ন মত ও পথ থাকবে। তা পরিচালিত হতে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী।বিরোধী নেতারা বেঁচে থাকলেই শুধু সরকার তাদের সাথে রাজনৈতিক বিরোধিতা অবর্তীর্ণ হতে পারে। কিন্তু বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে সুচিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে রেখে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া চরম অমানবিকতার চিত্র ফুটে উঠেছে।’’ ‘‘এসব হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতির চির অবসান হউক এটা দেশবাসীর প্রত্যাশা।’’ সংবাদ ব্রিফিঙে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা আসদুল করীম শাহিন, আবদুস সালাম আজাদ, শামসুল আলম তোফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নতুস বার্তা/এসএ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment