েন্টকে এখন মনে হচ্ছে অনেকটা দুর্বল। ক্ষমতারোহনের পর সংবাদমাধ্যমের দেবতুল্য সমর্থন পাওয়া সিসির বিরুদ্ধে এখন সেইসব পত্র-পত্রিকাই সরব হচ্ছে। এতে করে নিজস্ব স্টাইলে নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্টের পদ দখল করা এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে জনরোষ আরো বাড়তে পারে। অবশ্য ইয়েমেনে ইরানের সমর্থনপূষ্ট হুথি বিদ্রোহীদের দমনে এবং ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর বিরুদ্ধে লড়তে যৌথ আরব সামরিক বাহিনী গঠনে সৌদি আরবকে অগ্রগণ্যভাবে সহায়তা করে আঞ্চলিকভাবে নিজের অবস্থান সংহত করে নিয়েছেন। ২০১১ সালে আরব বসন্তের শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মিশরে দুই প্রেসিডেন্টকে উৎখাতের ঘটনা ঘটেছে। সিসি বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারলেও আবারো ধীরে ধীরে জনগনের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এবং দারিদ্রপিড়ীত দেশটির মানুষ স্বাস্থ্যখাত এবং প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় আছে। সম্প্রতি সরকারপন্থি আল-ওয়াতান পত্রিকা সিসির সংস্কার পরিকল্পনার পথে বাধাগুলো চিহিৃত করে বেশ কিছু লেখা প্রকাশ করেছে। দেশটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামরিক এবং রাজনৈতিক অভিজাত সম্প্রদায়ের দাপটকে পত্রিকাটি সামনে নিয়ে এসেছে। সরকারের দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতিকে সিসির সাফ্যলের পথে বাধা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সংবাদমাধ্যমটি। এছাড়া পুলিশের সীমালঙ্ঘনেরও সমালোচনা করেছে। মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সিসি ব্রাদারহুডের কয়েক হাজার কর্মীকে হত্যা করেন এবং আরো কয়েক হাজারকে বন্দি করে রেখেছেন। এর বাইরেও সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং ধর্মনিরপেক্ষ কর্মীদেরকেও নির্যাতন করেছে পুলিশ। কিছুদিন আগে ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। তবে বিরোধী কর্মীদের হত্যার অভিযোগগুলো বরারবরই অস্বীকার করে আসছেন মন্ত্রীরা। আল বুরসা নামে অর্থনীতি বিষয়ক একটি পত্রিকা সম্প্রতি শিরোনাম করেছে- ‘সরকার কেন কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে?’। পত্রিকাটি বলেছে, প্রধানমন্ত্রীকে আরো ফলপ্রসূ কিছু করে দেখাতে। আল মানরিয়ুন নামে অন্য একটি পত্রিকার একটি উপসম্পাদকীয়র শিরোনাম ছিল- ‘মিশরে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে’। কলামটির লেখক গামাল সুলতান লিখেছেন, সিসির শাসন মিশরকে স্থিতিশীল করার পরিবর্তে আরো বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স মন্তব্য
Tuesday, May 12, 2015
স্বৈরশাসক সিসির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে মিশরের গণমাধ্যম:আরটিএনএন
েন্টকে এখন মনে হচ্ছে অনেকটা দুর্বল। ক্ষমতারোহনের পর সংবাদমাধ্যমের দেবতুল্য সমর্থন পাওয়া সিসির বিরুদ্ধে এখন সেইসব পত্র-পত্রিকাই সরব হচ্ছে। এতে করে নিজস্ব স্টাইলে নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্টের পদ দখল করা এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে জনরোষ আরো বাড়তে পারে। অবশ্য ইয়েমেনে ইরানের সমর্থনপূষ্ট হুথি বিদ্রোহীদের দমনে এবং ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর বিরুদ্ধে লড়তে যৌথ আরব সামরিক বাহিনী গঠনে সৌদি আরবকে অগ্রগণ্যভাবে সহায়তা করে আঞ্চলিকভাবে নিজের অবস্থান সংহত করে নিয়েছেন। ২০১১ সালে আরব বসন্তের শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মিশরে দুই প্রেসিডেন্টকে উৎখাতের ঘটনা ঘটেছে। সিসি বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারলেও আবারো ধীরে ধীরে জনগনের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এবং দারিদ্রপিড়ীত দেশটির মানুষ স্বাস্থ্যখাত এবং প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় আছে। সম্প্রতি সরকারপন্থি আল-ওয়াতান পত্রিকা সিসির সংস্কার পরিকল্পনার পথে বাধাগুলো চিহিৃত করে বেশ কিছু লেখা প্রকাশ করেছে। দেশটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামরিক এবং রাজনৈতিক অভিজাত সম্প্রদায়ের দাপটকে পত্রিকাটি সামনে নিয়ে এসেছে। সরকারের দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতিকে সিসির সাফ্যলের পথে বাধা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সংবাদমাধ্যমটি। এছাড়া পুলিশের সীমালঙ্ঘনেরও সমালোচনা করেছে। মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সিসি ব্রাদারহুডের কয়েক হাজার কর্মীকে হত্যা করেন এবং আরো কয়েক হাজারকে বন্দি করে রেখেছেন। এর বাইরেও সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং ধর্মনিরপেক্ষ কর্মীদেরকেও নির্যাতন করেছে পুলিশ। কিছুদিন আগে ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। তবে বিরোধী কর্মীদের হত্যার অভিযোগগুলো বরারবরই অস্বীকার করে আসছেন মন্ত্রীরা। আল বুরসা নামে অর্থনীতি বিষয়ক একটি পত্রিকা সম্প্রতি শিরোনাম করেছে- ‘সরকার কেন কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে?’। পত্রিকাটি বলেছে, প্রধানমন্ত্রীকে আরো ফলপ্রসূ কিছু করে দেখাতে। আল মানরিয়ুন নামে অন্য একটি পত্রিকার একটি উপসম্পাদকীয়র শিরোনাম ছিল- ‘মিশরে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে’। কলামটির লেখক গামাল সুলতান লিখেছেন, সিসির শাসন মিশরকে স্থিতিশীল করার পরিবর্তে আরো বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment