Tuesday, May 26, 2015

মিশর: আবার ফারাও-তন্ত্র কায়েম:আরটিএনএন

মিশর: আবার ফারাও-তন্ত্র কায়েম আন্তর্জাতিক ডেস্ক আরটিএনএন কলকাতা:  অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির জন্য মৃত্যুদণ্ডের পরওয়ানা ইতিহাসের পথ ধরিয়া মিশরের পিছন দিকে হাঁটার পরম্পরায় একটি মাইলফলক। দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অপসারণে উল্টারথের যাত্রার সূচনা। আরব বসন্তের খোলা হাওয়ায় দেশব্যাপী জন-আন্দোলনে সামরিক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের বিদায়ের
মধ্য দিয়া শুরু হওয়া পরিবর্তনে যে সামরিক অন্তর্ঘাত করা হইতেছে, মিশরের প্রগতিশীল গণতন্ত্রীরা তাহা বুঝিতে পারেন নাই। তাহারা সে দিন মুসলিম ব্রাদারহুডের আধিপত্য হ্রাস করার তাড়নায় জেনারেল আল-সিসির পিছনে সমবেত হন। আজ মুরসির প্রাণদণ্ড ঘোষণার পাশাপাশি যখন তাহ্‌রির স্কোয়ারের আন্দোলনের সঞ্চালক গণতন্ত্রীদেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হইতেছে, তখন তাহাদের ঘুম ভাঙিয়া থাকিবে। কিন্তু ইতিমধ্যে দেরি হইয়া গিয়াছে। এক প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী চাটুকার আহমদ আল জেন্দ্‌কে দেশের বিচারমন্ত্রী পদে নিয়োগ করিয়া প্রেসিডেন্ট আল-সিসি বুঝাইয়া দিয়াছেন, তিনি কেবল ব্রাদারহুড নয়, মিশর হইতে যাবতীয় বিরুদ্ধ মত, ভিন্ন কণ্ঠস্বর, প্রতিবাদী উচ্চারণ নির্বাসিত করিয়াই তাহার সাধের ফারাও-তন্ত্র কায়েম করিবেন। তাই কেবল ২২ হাজার ব্রাদারহুড সদস্যকে গ্রেপ্তার করা, ১২০০ সদস্যকে প্রাণদণ্ড দেওয়া, পুলিশ-মিলিটারি দিয়া হাজার-হাজার প্রতিবাদী দেশবাসীকে হত্যা করাই নয়, তাহার সরকার একদা-মিত্র গণতন্ত্রীদেরও সমান নিষ্ঠুরতায় দমন করিতেছে। যে কোনো প্রতিবাদ ও আন্দোলনকে সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়া সামরিক বুটের তলায় নিষ্পেষিত করাই আল-সিসির শাসননীতি। পরিস্থিতি দ্রুত এমন দাঁড়াইতেছে যে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের যাবতীয় পথ রুদ্ধ হইয়া পড়িতেছে। ইতিমধ্যেই সিনাই উপত্যকায় সক্রিয় জঙ্গিরা সেই পথের কার্যকারিতা হাতে-কলমে পরখ করিয়া দেখাইতেছে। বিচারের নামে প্রহসনের বিস্তৃত আয়োজন এবং গণ-মৃত্যুদণ্ডের বিধান দেখিয়া জঙ্গি নেতৃত্ব দেশের বিচারপতিদের উপরেই ফিদাইন হামলা চালাইবার ডাক দিয়াছে। মিশর অতএব তাহার আধুনিক ফারাওদের শাসনেই ফিরিতেছে। কিন্তু ফারাওদের যে ঐশ্বরিক মহিমা ছিল, জেনারেলদের তাহা থাকিতে পারে না। তাহারা সকলেই খড়ের মানুষ, যাহাদের পা মাটি দিয়া তৈরি। উত্তাল জনবিক্ষোভ সৃষ্টি হইলে তাহার আগুনে তাহারা ভস্মীভূত হইবেন, জনপ্লাবনে তাহাদের মৃন্ময় পা গলিয়া যাইবে। তত দিন জেহাদি সন্ত্রাস তাহার গুপ্তহত্যার সংস্কৃতি চালাইয়া যাইবে। মিশরের এই অমাবস্যায় তাহার সাহায্যকারী পাশ্চাত্য দুনিয়া যৎপরোনাস্তি ‘উদ্বিগ্ন’। কিন্তু গভীর উদ্বেগ জ্ঞাপনের অতিরিক্ত আর কোনো উপায় তাহাদের নজরে পড়িতেছে না। মিশরের সামরিক বাহিনী তথা জেনারেলদের হাত শক্ত করিতে অভ্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম এশিয়ায় তাহার বৃহত্তম সমরাস্ত্র রপ্তানি নিয়ন্ত্রিত করার কথা ভাবিতেছে না, অন্যান্য আর্থিক সহায়তা স্থগিত রাখার কথাও নয়। আল-সিসির মতো স্বৈরাচারীদের ইহা বৈধতাই দিতেছে, গ্রহণযোগ্যতাও। পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি তাহাদের যথেচ্ছাচারের পক্ষে বিশেষ অনুকূল। ‘ইসলামী রাষ্ট্রবাদী’রা সিনাই উপত্যকায় প্রবেশ করিলে মার্কিন পক্ষপাতের বৈধতা আরো বাড়িয়া যাইবে। মিশরের জনসাধারণ অতএব এক দীর্ঘ অমারাত্রির জন্য প্রস্তুত থাকিতে পারেন। মঙ্গলবার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সম্পাদকীয় মন্তব্য ইয়াভুজ সেলিম সংঘাত-সংশয়-বিশৃঙ্খলার প্রথম শিকার হয় সত্য। কারণ কোনো জালিম অত্যাচারীর সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে সত্যকে বিকৃত ক . . . বিস্তারিত আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনঢাকা: ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিদার উগ্রপন্থী ‘ইসলামিক স্টেট’ (আইএস) এবার গ্রুপট . . . বিস্তারিত            

No comments:

Post a Comment