Sunday, April 12, 2015

'আস্থা ও বিশ্বাসই বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার সম্পর্কের ভিত্তি':Time News

'আস্থা ও বিশ্বাসই বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার সম্পর্কের ভিত্তি' ডিপ্লমেটিক করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ১২ এপ্রিল, ২০১৫ ১৪:৩৮:২৮ পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের ওপরই বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারের সম্পর্ক অটুট রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা। আজ (রোববার) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আয়োজিত "International Symposium; Bangladesh's Engagement with In
dia & Myanmar"-শীর্ষক দুই দিনের সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এ মন্তব্য করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজ, রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কালেকটিভ এবং বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, ভারতীয় হাই-কমিশনার পঙ্কজ শরন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ মাইয়ো মাইত থান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী এবং মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজের চেয়ারম্যান সিতারাম শরমা। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, ভুটান, নেপাল এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রদেশের অনেকটাই সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। শুধু তাই নয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কানেকটিং পয়েন্ট বা সংযোগ সড়কে বাংলাদেশ অবস্থিত। এই তাৎপর্যপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে আরও জোরালো সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকট প্রতিবেশী ভারত এবং তারপরে মিয়ানমার যাদের সাথে অভিন্ন সীমানা রয়েছে। তাই এই দুই দেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ বিশেষভাবে আগ্রহী। তিনি বলেন, কোন দেশই একা উন্নতি করতে পারেনা। তাই সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক রাখাই হওয়া উচিত একটি দেশের কুটনৈতিক নীতিমালা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অঞ্চলের অভিন্ন শত্রু  হিসেবে অসমতা, বঞ্চনা ও দারিদ্রকে চিহ্নিত করে এর বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে দুই প্রতিবেশী দেশের প্রতি আহবান জানান।   বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসনে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা লাভ করেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি নিরাপদ, সুখী ও উন্নত এশিয়া গঠনই আমাদের লক্ষ্য। ভারতের রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ বলেন, বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারের মধ্যে বর্তমানে একটি চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। এরইমধ্যে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা সংক্রান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে আমাদের একসাথে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, এখনও এশিয়ার এই তিন দেশের মধ্যে যেসব অমীমাংসিত ইস্যু রয়েছে তা দ্রুত সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, এসব সমস্যার সমাধান না হলে একযোগে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে। আর সেক্ষেত্রে সমন্বিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা আরও সৃদৃঢ় করার আহবান জানিয়ে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্যতম পূর্বশর্তই হলো বিশ্বাস ও আস্থা। কেবি      

No comments:

Post a Comment