'বিএনপি হারবে তা তো জানা কথা' ইয়াছিন রানা টাইম নিউজ বিডি, ৩০ এপ্রিল, ২০১৫ ২০:১৬:৫৪ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা যে হারবে- তা তো জানা কথা। বিএনপি সমর্থিতরা হারবে- এটা তারাও জানে। তারা জেনে বুঝেই নির্বাচনে এসেছে।ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার রাফিউল আজাদ এসব কথা বলেছেন। সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রদের কাছে কোনো প্রত্যাশাও করেন না রাফিউল আজাদ। তিন
ি বলেন, অতীতেও মেয়র প্রার্থীরা ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করেছেন কিন্তু জয় লাভের পর তাদেরকে আর রাস্তায় দেখা যায়নি। তাদের ইশতেহার তো জোলাবাতি খেলা, ইশতেহার দিতে হবে তাই দিয়েছেন। জয়ের পর কে তাদের দেখা পায়। এদিকে আশাহত নন ব্যাবসায়ী রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, নতুন মেয়রদের যোগ্যতা নিয়ে কারোরই প্রশ্ন নেই। মেয়ররা চাইলে অবশ্যই আমাদের শহরের চিত্র পাল্টে যাবে। তাই আমাদের উচিত তাদের সমালোচনা না করে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। আর শহরকে সুন্দর করার দায়িত্ব তো শুধু মেয়রদের না, আমাদেরও। আরেক বাসিন্দা ডা. কামরুল ইসলাম ভোট কারচুপির কথা উল্লেখ করে বলেন, রাত থেকেই জাল ভোট দেয়া শুরু হয়েছিল।সকাল সাড়ে ৮টায় কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট দিতে গিয়ে দেখলেন তার ভোট দেয়া শেষ। রাতেই যদি জাল ভোট দেয়া না হতো, তাহলে এটা সম্ভব হতো না। তাই ভোট চুরি করে নির্বাচনে যারা জয় লাভ করেছে তারা জনগণের কি সেবা করবেন তা নিয়ে সবাই সন্দিহান। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিমল চন্দ্র বলেন, জাল ভোটের ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনই করে দিয়েছে।জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া ভোট দিতে পারলে ভোটার আসল নাকি নকল তা যাচাই-বাছাই করার সুযোগ থাকে না। তাই যে কেউ ইচ্ছে করলেই আরেক জনের ভোট দিতে পেরেছেন। তিনি আরো বলেন, আমার ক্ষেত্রে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের দিন সরকার সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলেন আমার এক পরিচিত লোক। কেন্দ্রে তার সঙ্গে দেখা হতেই জানতে চাইলেন ভোট দিয়েছি কিনা। 'না' বলার পর সে আমার নাম না খুঁজেই একটা ভোটার স্লিপ হাতে ধরিয়ে দিলেন। বললেন, দাদা ভোটটা দিয়ে আসেন। আমি বললাম আমার স্লিপ কই? বললেন, লাগবে না, যে কয়টা দিতে মন চায়, দেন। সমস্যা নাই। নির্বাচন সম্পর্কে সাংবাদিক ইসমাইল চঞ্চল বলেন, আমি এক কেন্দ্রে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রায় ৪০ মিনিট পর দরজা খুলে তিনি বললেন, ভাই, সমস্যা আছে চলে যান, না হয় বিপদে পড়বেন। আর উত্তরাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হাতে সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি অমিতোষ পালকে মার খেতে দেখছিলাম অসহায়ের মতো, কিছুই করার ছিল না। এত জন পুলিশের সামনে একজন সাংবাদিক মার খেল, অথচ পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তা দেখে নিজের প্রতিই ধিক্কার আসল, কিছুই না করতে পেরে প্রাণ ভয়ে চলে এলাম। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ যার যেমনই হোক না কেনো জনগণ রাজনীতির বলি হতে চায় না। চায় না দেশে অস্থিরতা। চায় না হরতালে কাজ না করে ঘরে বসে থাকতে। তাই নতুন মেয়র-কাউন্সিলর ও রাজনীবিদদের প্রতি জনগণের একটাই প্রত্যাশা দেশ যেন শান্তিপূর্ণ থাকে, থাকে জীবনের নিরাপত্তা। ইআর/জেডআই
No comments:
Post a Comment