Monday, April 27, 2015

রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়:টাইমনিউজ

রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় স্টাফ রিপাের্টার টাইম নিউজ বিডি, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫ ১৮:৫৮:২০ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। কেবল পুলিশেরই ৩১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। পাশাপাশি যুগ্ম কমিশনারগণ, উপকমিশনারগণ ও ইন্সপেক্টরগণ দায়িত্বপালনে সদা প্রস্তুত থাকবে। পুলিশের কয়েক হাজার সদস্য নির্বাচনে কাজ করতে এরই মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন। অন্যদিকে র‍্যা
বেরও প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো সদস্য মোতায়েন থাকবে ঢাকার দুই সিটিতে। এরই মধ্যে র‍্যাবের সদস্যরা ভোট কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে গেছে বলে র‍্যাব সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে। একইভাবে ৭০ প্লাটুন বিজিবি ও কয়েক হাজার আনসার সদস্য নির্বাচনে কাজ করতে ভোট কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে গেছে। গত ২৫ এপ্রিল আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ভোটকেন্দ্রের বেশিরভাগই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘দুই ধরনের কেন্দ্র রয়েছে। একটি একককেন্দ্র, অন্যটি যৌথকেন্দ্র। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২৩১টি একককেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৮৩টি সাধারণ অর্থাৎ ঝুঁকিপূর্ণ নয়। আর ১৫৬৮টি যৌথকেন্দ্রের মধ্যে ১১৯৮টিই ঝুঁকিপূর্ণ। মোট ১৭৯৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’ ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বলবৎ থাকবে। র্যা ব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের সদস্যদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত সদস্যরা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাস্তায় টহলে থাকবে। কোথাও কোনো ঝামেলা হলে তাৎক্ষনিকভাবে তারা ব্যবস্থা নেবেন।’ তিনি জানান, ঢাকা শহরে বিজিবির ৭০ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন থাকবে। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে নয়জন ম্যাজিস্ট্রেট ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে পুলিশ নিরাপত্তা দেবে। কেউ আইন ভঙ্গ করতে চাইলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গেও আলাদাভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।’ এরই মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ২৫ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে ২৯ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যারা মোটরসাইকেল চালিয়েছেন, সেই সেসব মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। তবে নির্বাচন কমিশনের সরবরাহকৃত স্টিকারযুক্ত গাড়ি চলাচল করতে পারবে। ওইসব গাড়ি পুলিশের নজরদারিতে থাকবে। যাতে কেউ নাশকতার সুযোগ নিতে না পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘মোটরসাইকেলের ওপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আজ রাত ১২টা থেকে ২৮ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা শহরে কোনো প্রকার বাস চলাচল করতে পারবে না। তবে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া স্টিকারযুক্ত গাড়িগুলো চলাচল করতে পারবে। অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই রাজধানী থেকে গণপরিবহণ হাওয়া হয়ে গেছে। কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠতে দেখা গেছে।’ এর আগে সোমবার সকালের দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়। সেই সঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসারগণ, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারগণ ও পুলিং অফিসারগণ স্ব-স্ব কেন্দ্রে পৌঁছেছেন। জেআই    

No comments:

Post a Comment