মনে মানত করেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে তিনি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দশ দুর্গার পূজা দিবেন’। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও অর্থ সংকটে পূজার আয়োজন করতে পারেনি রূপমালা। অবশেষে নিজ নামে ৪ কাঠা জমি বিক্রি করে মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। পূজারিনী রূপমালা বলেন, ‘আমি যখন এই পূজার কথা এলাকাবাসীর কাছে প্রকাশ করি তখন অনেকেই হাসি ঠাট্টা করেছে। কিন্তু এতে আমি পিছপা হইনি। আমার ইচ্ছা ছিল যেভাবেই হোক এই পূজা আমি করবো। ইতোমধ্যে আমি আমবাড়ী গ্রামের শ্রীবাস গাইন পালকে দিয়ে মূর্তি তৈরির কাজ শেষ করেছি।’ রূপমালার ছেলে যতীন বৈরাগী বলেন, ‘আমি আমার মাকে ৪ কাঠা জমি কিনে দিয়েছিলাম। মা সেই জমি বিক্রি করে পূজার আয়োজন করেছেন। এই জমি বিক্রির টাকা দিয়ে এতো বড় পূজানুষ্ঠান শেষ করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের যে যতসামান্য জমি আছে তা বিক্রি করতে হবে। তার পরেও আমরা দুই ভাই মায়ের ইচ্ছা পূরণ করবো।’ পাল শ্রীবাস গাইন বলেন, ‘দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমি প্রতিমা তৈরির কাজ করি। এর আগে আমি নড়াইল ও পিরোজপুরে নব দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছি। দশ দুর্গা প্রতিমা তৈরি আমার জীবনে এটাই প্রথম। এই প্রতিমার মাটির কাজ শেষ করতে আমার প্রায় ১ মাস সময় লেগেছে। দু’এক দিনের মধ্যে রং তুলির কাজ শুরু করবো। আগামী ২৫ মার্চ ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে পূজা শুরু হবে।’ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কোটালীপাড়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক গৌরাঙ্গ লাল দাস বলেন, ‘দেবী দুর্গার ১০৮টি রূপ রয়েছে। এর মধ্যে এখানে নব দুর্গা, স্কন্দমাতা, কুশমাণ্ডা, চন্দ্রঘণ্টা, মহাগৌরী, কাত্যায়নী, ব্রহ্মচারিণী, শৈলপুত্র, সিদ্ধিদাত্রী, কালরাত্রী এই দশটি রূপের পূজা অনুষ্ঠিত হবে।’ উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘কোটালীপাড়া উপজেলার অধিকাংশ জনগণ তাদের জান ও মালের চেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বেশি ভালবাসেন। এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রূপমালা। আমরা রূপমালার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। জেএ
Tuesday, March 10, 2015
প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনায় ১০ দুর্গাপূজা:Time News
প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনায় ১০ দুর্গাপূজা গোপালগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ১০ মার্চ, ২০১৫ ১৮:৪৩:০৯ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দশ দুর্গাপূজার আয়োজন করেছেন রূপমালা নামে এক পূজারিণী। কোটালীপাড়া উপজেলায় এক মন্দিরে এ পূজার আয়োজন করা হয়। উপজেলার ধারাবাইশ গ্রামের গনেশ পাগল সেবাশ্রমের পূজারিণী রূপমালা ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ধারাবাশাইল কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে সবার সা
মনে মানত করেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে তিনি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দশ দুর্গার পূজা দিবেন’। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও অর্থ সংকটে পূজার আয়োজন করতে পারেনি রূপমালা। অবশেষে নিজ নামে ৪ কাঠা জমি বিক্রি করে মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। পূজারিনী রূপমালা বলেন, ‘আমি যখন এই পূজার কথা এলাকাবাসীর কাছে প্রকাশ করি তখন অনেকেই হাসি ঠাট্টা করেছে। কিন্তু এতে আমি পিছপা হইনি। আমার ইচ্ছা ছিল যেভাবেই হোক এই পূজা আমি করবো। ইতোমধ্যে আমি আমবাড়ী গ্রামের শ্রীবাস গাইন পালকে দিয়ে মূর্তি তৈরির কাজ শেষ করেছি।’ রূপমালার ছেলে যতীন বৈরাগী বলেন, ‘আমি আমার মাকে ৪ কাঠা জমি কিনে দিয়েছিলাম। মা সেই জমি বিক্রি করে পূজার আয়োজন করেছেন। এই জমি বিক্রির টাকা দিয়ে এতো বড় পূজানুষ্ঠান শেষ করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের যে যতসামান্য জমি আছে তা বিক্রি করতে হবে। তার পরেও আমরা দুই ভাই মায়ের ইচ্ছা পূরণ করবো।’ পাল শ্রীবাস গাইন বলেন, ‘দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমি প্রতিমা তৈরির কাজ করি। এর আগে আমি নড়াইল ও পিরোজপুরে নব দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছি। দশ দুর্গা প্রতিমা তৈরি আমার জীবনে এটাই প্রথম। এই প্রতিমার মাটির কাজ শেষ করতে আমার প্রায় ১ মাস সময় লেগেছে। দু’এক দিনের মধ্যে রং তুলির কাজ শুরু করবো। আগামী ২৫ মার্চ ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে পূজা শুরু হবে।’ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কোটালীপাড়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক গৌরাঙ্গ লাল দাস বলেন, ‘দেবী দুর্গার ১০৮টি রূপ রয়েছে। এর মধ্যে এখানে নব দুর্গা, স্কন্দমাতা, কুশমাণ্ডা, চন্দ্রঘণ্টা, মহাগৌরী, কাত্যায়নী, ব্রহ্মচারিণী, শৈলপুত্র, সিদ্ধিদাত্রী, কালরাত্রী এই দশটি রূপের পূজা অনুষ্ঠিত হবে।’ উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘কোটালীপাড়া উপজেলার অধিকাংশ জনগণ তাদের জান ও মালের চেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বেশি ভালবাসেন। এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রূপমালা। আমরা রূপমালার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। জেএ
মনে মানত করেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে তিনি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দশ দুর্গার পূজা দিবেন’। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও অর্থ সংকটে পূজার আয়োজন করতে পারেনি রূপমালা। অবশেষে নিজ নামে ৪ কাঠা জমি বিক্রি করে মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। পূজারিনী রূপমালা বলেন, ‘আমি যখন এই পূজার কথা এলাকাবাসীর কাছে প্রকাশ করি তখন অনেকেই হাসি ঠাট্টা করেছে। কিন্তু এতে আমি পিছপা হইনি। আমার ইচ্ছা ছিল যেভাবেই হোক এই পূজা আমি করবো। ইতোমধ্যে আমি আমবাড়ী গ্রামের শ্রীবাস গাইন পালকে দিয়ে মূর্তি তৈরির কাজ শেষ করেছি।’ রূপমালার ছেলে যতীন বৈরাগী বলেন, ‘আমি আমার মাকে ৪ কাঠা জমি কিনে দিয়েছিলাম। মা সেই জমি বিক্রি করে পূজার আয়োজন করেছেন। এই জমি বিক্রির টাকা দিয়ে এতো বড় পূজানুষ্ঠান শেষ করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের যে যতসামান্য জমি আছে তা বিক্রি করতে হবে। তার পরেও আমরা দুই ভাই মায়ের ইচ্ছা পূরণ করবো।’ পাল শ্রীবাস গাইন বলেন, ‘দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমি প্রতিমা তৈরির কাজ করি। এর আগে আমি নড়াইল ও পিরোজপুরে নব দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছি। দশ দুর্গা প্রতিমা তৈরি আমার জীবনে এটাই প্রথম। এই প্রতিমার মাটির কাজ শেষ করতে আমার প্রায় ১ মাস সময় লেগেছে। দু’এক দিনের মধ্যে রং তুলির কাজ শুরু করবো। আগামী ২৫ মার্চ ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে পূজা শুরু হবে।’ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কোটালীপাড়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক গৌরাঙ্গ লাল দাস বলেন, ‘দেবী দুর্গার ১০৮টি রূপ রয়েছে। এর মধ্যে এখানে নব দুর্গা, স্কন্দমাতা, কুশমাণ্ডা, চন্দ্রঘণ্টা, মহাগৌরী, কাত্যায়নী, ব্রহ্মচারিণী, শৈলপুত্র, সিদ্ধিদাত্রী, কালরাত্রী এই দশটি রূপের পূজা অনুষ্ঠিত হবে।’ উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘কোটালীপাড়া উপজেলার অধিকাংশ জনগণ তাদের জান ও মালের চেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বেশি ভালবাসেন। এর একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রূপমালা। আমরা রূপমালার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। জেএ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment