Wednesday, March 18, 2015

ব্লগার রাজীব হত্যার বিচার শুরু:Time News

ব্লগার রাজীব হত্যার বিচার শুরু স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১৮ মার্চ, ২০১৫ ১৩:১৬:১৮ ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। বুধবার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন এ মামলার চার্জ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়েই আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো। আগামী ২১ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন বিচারক। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট
আবদুল্লাহ আবু আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য শুনানি করেন। এপর আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট এম এ খায়রুল হক লিটন ও অ্যাডভোকেট মো. ফারুকসহ অন্যান্য আইনজীবীরা শুনানি করেন। শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন না করে তাদেরকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদন জানান। গত ৮ মার্চ চার্জ গঠনের শুনানি শেষ হয়। এদিকে গত ২৮ জানয়ারি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান শায়খুল হাদীস মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু, মাকসুদুল হাসান অনিক, এহসানুর রেজা রুম্মান, মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ, নাফির ইমতিয়াজ, সাদমান ইয়াছির মাহমুদ। মুফতী জসীম ছাড়া অন্য আসামিরা সবাই নর্থ সাউথের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বহিষ্কার করেছে। ১১ মাসের মাথায় মামলার তদন্ত শেষে মাথায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. মাইনুল ইসলাম। মামলা ভিন্ন খাতে নেওয়ার অভিযোগে তদন্তভার থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাত শিক্ষার্থী ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানীর জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। গ্রেপ্তার হওয়া নর্থ সাউথের ছয় শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ, আদালতে দেয়া তাদের জবানবন্দি ও তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, আসামিরা জসীমউদ্দিন রাহমানীর বই পড়ে, সরাসরি তার বয়ান ও খুতবায় অংশ নিয়ে ‘নাস্তিক ব্লগার’দের খুন করতে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হন। জেলহাজতে থাকা আসামিরা সবাই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মুফতি জসীম তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও স্বীকারোক্তি দেয়া অন্য আসামিরা রাহমানীর নির্দেশেই রাজীবকে হত্যা করে হয়েছে বলে উল্লেখ করায় তাকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী ও নিহতের বাবা নিজামউদ্দিন, ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজন, পুলিশ ও চিকিৎসকসহ ৫৫ জনকে মামলার অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে। ৭৮ প্রকার আলামতের উদ্ধারের কথা উল্লেখ রয়েছে। জেএ


No comments:

Post a Comment