শনার মনিরুল ইসলাম জানান। এসব আলামতের মধ্যে হামলাস্থল থেকে পাওয়া দুটো চাপাতি, ব্যাগ ও রক্তের নমুনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, “এফবিআই সদস্যরা পরীক্ষার জন্য আলামতগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবেন। তারা ঢাকায় থাকছেন। পরীক্ষার ফল অপরাধী শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের আবেদনে মঙ্গলবার এফবিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের আলামত পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। অভিজিৎ হত্যায় জড়িতদের সনাক্ত করতে গোয়েন্দা পুলিশ এফবিআইয়ের সঙ্গে তথ্য ও মতবিনিময় করছে বলেও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে সঙ্গে নিয়ে একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ের কাছে জঙ্গি কায়দায় হামলায় নিহত হন অভিজিৎ। বন্যার একটি আঙুল চাপাতির আঘাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই হামলার পর টিএসসির ৫০ গজ উত্তরে ঘটনাস্থল থেকে দুটি চাপাতি ও একটি ব্যাগ আলামত হিসাবে সংগ্রহ করে পুলিশ। ল্যাপটপের ওই ব্যাগে কয়েকটি পত্রিকা ভাঁজ করা ছিল, যা চাপাতিগুলো মোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা। এছাড়া একটি জিন্স প্যান্ট ও কয়েকটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেটও পাওয়া যায় ব্যাগের ভেতরে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ প্রকৌশলী হিসেবে সেখানে কর্মরত ছিলেন। বইমেলার মাঝামাঝি স্ত্রীকে নিয়ে দেশে হামলায় নিহত হন তিনি। তার এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তে সহযোগিতার প্রস্তাব দিলে তাতে সাড়া দেয় বাংলাদেশ সরকার। এরপর এফবিআইয়ের একটি দল ঢাকায় এসে তদন্ত শুরু করে।এ দলের চার সদস্য গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ছবি সংগ্রহ করে। তারা অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন। মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত শাফিউর রহমান ফারাবী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যার বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে লেখালেখির জন্য অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এসএইচ
Wednesday, March 11, 2015
এফবিআইর হাতে অভিজিৎ হত্যার আলামত:Time News
এফবিআইর হাতে অভিজিৎ হত্যার আলামত স্টাফ রিপাের্টার টাইম নিউজ বিডি, ১১ মার্চ, ২০১৫ ১৬:৫৮:০৭ অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে আদালতের অনুমতির পর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের প্রতিনিধিদের কাছে লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের আলামত তুলে দিয়েছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ড তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশ বুধবার দুপুরে এফবিআই সদস্যদের কাছে ১২ থেকে ১৩টি আলামত হস্তান্তর করে বলে মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমি
শনার মনিরুল ইসলাম জানান। এসব আলামতের মধ্যে হামলাস্থল থেকে পাওয়া দুটো চাপাতি, ব্যাগ ও রক্তের নমুনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, “এফবিআই সদস্যরা পরীক্ষার জন্য আলামতগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবেন। তারা ঢাকায় থাকছেন। পরীক্ষার ফল অপরাধী শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের আবেদনে মঙ্গলবার এফবিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের আলামত পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। অভিজিৎ হত্যায় জড়িতদের সনাক্ত করতে গোয়েন্দা পুলিশ এফবিআইয়ের সঙ্গে তথ্য ও মতবিনিময় করছে বলেও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে সঙ্গে নিয়ে একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ের কাছে জঙ্গি কায়দায় হামলায় নিহত হন অভিজিৎ। বন্যার একটি আঙুল চাপাতির আঘাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই হামলার পর টিএসসির ৫০ গজ উত্তরে ঘটনাস্থল থেকে দুটি চাপাতি ও একটি ব্যাগ আলামত হিসাবে সংগ্রহ করে পুলিশ। ল্যাপটপের ওই ব্যাগে কয়েকটি পত্রিকা ভাঁজ করা ছিল, যা চাপাতিগুলো মোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা। এছাড়া একটি জিন্স প্যান্ট ও কয়েকটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেটও পাওয়া যায় ব্যাগের ভেতরে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ প্রকৌশলী হিসেবে সেখানে কর্মরত ছিলেন। বইমেলার মাঝামাঝি স্ত্রীকে নিয়ে দেশে হামলায় নিহত হন তিনি। তার এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তে সহযোগিতার প্রস্তাব দিলে তাতে সাড়া দেয় বাংলাদেশ সরকার। এরপর এফবিআইয়ের একটি দল ঢাকায় এসে তদন্ত শুরু করে।এ দলের চার সদস্য গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ছবি সংগ্রহ করে। তারা অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন। মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত শাফিউর রহমান ফারাবী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যার বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে লেখালেখির জন্য অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এসএইচ
শনার মনিরুল ইসলাম জানান। এসব আলামতের মধ্যে হামলাস্থল থেকে পাওয়া দুটো চাপাতি, ব্যাগ ও রক্তের নমুনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, “এফবিআই সদস্যরা পরীক্ষার জন্য আলামতগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবেন। তারা ঢাকায় থাকছেন। পরীক্ষার ফল অপরাধী শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের আবেদনে মঙ্গলবার এফবিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের আলামত পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। অভিজিৎ হত্যায় জড়িতদের সনাক্ত করতে গোয়েন্দা পুলিশ এফবিআইয়ের সঙ্গে তথ্য ও মতবিনিময় করছে বলেও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে সঙ্গে নিয়ে একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ের কাছে জঙ্গি কায়দায় হামলায় নিহত হন অভিজিৎ। বন্যার একটি আঙুল চাপাতির আঘাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই হামলার পর টিএসসির ৫০ গজ উত্তরে ঘটনাস্থল থেকে দুটি চাপাতি ও একটি ব্যাগ আলামত হিসাবে সংগ্রহ করে পুলিশ। ল্যাপটপের ওই ব্যাগে কয়েকটি পত্রিকা ভাঁজ করা ছিল, যা চাপাতিগুলো মোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা। এছাড়া একটি জিন্স প্যান্ট ও কয়েকটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেটও পাওয়া যায় ব্যাগের ভেতরে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ প্রকৌশলী হিসেবে সেখানে কর্মরত ছিলেন। বইমেলার মাঝামাঝি স্ত্রীকে নিয়ে দেশে হামলায় নিহত হন তিনি। তার এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তে সহযোগিতার প্রস্তাব দিলে তাতে সাড়া দেয় বাংলাদেশ সরকার। এরপর এফবিআইয়ের একটি দল ঢাকায় এসে তদন্ত শুরু করে।এ দলের চার সদস্য গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ছবি সংগ্রহ করে। তারা অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন। মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত শাফিউর রহমান ফারাবী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যার বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে লেখালেখির জন্য অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এসএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment