সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ এসআই'র যশোর করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ০৯ মার্চ, ২০১৫ ১২:২২:২২ যশোরের শার্শা থানার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ খায়রুল আলম'র বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সংবাদ বন্ধ করতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে এ কর্মকর্তা। গত ৮ মার্চ রোববার বিভিন্ন পত্রিকায় এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দূর্ণীতি-বানিজ্যের উপর সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সকাল থেকেই তিনি বিভিন্ন নেতার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সংশ্লিষ্ঠ সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে সংবাদ বন্ধের জন্য। এ সাথে পকেটে টাকা নিয়ে ঘুরছেন কোন সাংবাদিককে কত টাকা দিতে হবে তার জন্য। সুত্র জানায়, রোববার সকালে গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ খায়রুল আলম'র বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তিনি সকালেই দোকানে দোকানে গিয়ে তার নামে অর্থবানিজ্যের সংবাদ প্রকাশিত সংবাদপত্র গুলো খুজে ম্যানেজ করেন। পরে সংশ্লিষ্ঠ সাংবাদিকদের কাছে গিয়ে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য মোটা অংকের টাকার প্রস্তাব দেন। গত ৫মার্চ শার্শা উপজেলার পলীতে দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়। প্রাথমিক ভাবে শুক্রবার সকালে ওই স্কুল ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করে যশোর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। এ কাজে ব্যবহৃত ভাড়ায় মটরসাইকেল চালক নিজে না থাকলেও তাকে ঐ মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শনিবার দুপুরে আটক করে। পরে ৩০ হাজার টাকার নগদ নারায়নে ছাড়া পায় সে। স্থানীয় সাধারন জনগন বলেন, গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ খায়রুল আলম'র দূর্ণীতি যে পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে এলাকা বাসি অতিষ্ঠ । তার এ ফাঁড়িতে যোগদানের পর থেকে এলাকার চোরাকারবারী, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, খুন, গুম, হত্যা, অপহরণ, নারী নির্যাতন, নারী-শিশু ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ সব ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। যার এখনি প্রতিকার না হলে এলাকাবাসি আরো ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে জানান তারা। এ জন্য এই দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তার এখই অপসারণ দাবি করেন শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী। যশোর পুলিশের (এ,এস,পি) মিলু মিয়া বিশ্বাসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খায়রুল আলম দূর্ণীতি ও চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে সেটা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে সে যদি দোষী প্রমানিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইআর
No comments:
Post a Comment