ে জানাতে চাই, ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন ও কমিউটারদের স্বল্প সময় এবং নিরাপদ ভ্রমণে আমাদের স্বপ্নের প্রকল্প মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের প্যাকেজ-৮’র দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্যাকেজ-৮’র আওতায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রোলিং স্টক এবং ডিপো ইক্যুপমেন্ট ও ডিপো রোলিং স্টক সংগ্রহ করা হবে। এর আওতায় যাত্রাবিরতিতে ট্রেন রাখার স্থান, মেট্রোরেল প্ল্যান্ট, ওয়ার্কসশ, অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার, ইলেক্ট্রিক্যাল ভবন, ওয়াশিং প্ল্যান্ট, ট্রেনিং সেন্টারসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। প্যাকেজ-৭’র প্রাকযোগ্যতা যাচাইয়ে দরপত্র এবং প্যাকেজ-১’র আন্তর্জাতিক দরপত্র আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি-২০১৫) আহ্বান করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। ২০১৫ সালের মধ্যে ৮টি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান সম্পন্ন হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। আগামী ২০১৯ সালে মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হবে। এখন চলছে সয়েল টেস্টের (মাটির ভৌত গুণাগুণ পরীক্ষা) কাজ। এর ভিত্তিতেই চূড়ান্ত করা হবে বিস্তারিত নকশা। এরপর প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ। এখনো এসবের কিছুই হয়নি। অথচ শুরু করা হয়েছে ইঞ্জিন-কোচ কেনার তোড়জোড়। মেট্রোরেল চলাচলের জন্য উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে উত্তরা অংশের ৩.৯ কিলোমিটার হবে মাটির সমতলে। আর পল্লবী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬.২ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। উত্তরা তৃতীয় পর্বে নির্মিত হবে মেট্রোরেলের ডিপো। যাত্রী ওঠানামায় পথিমধ্যে থাকবে ১৬টি স্টেশন। মেট্রোরেলের ডিপো নির্মাণে মাটি পরীক্ষা শুরু হয় গত বছরের জুনে। এজন্য গত অক্টোবরেই দরপত্র আহ্বানের কথা ছিল। তবে মাটি পরীক্ষা প্রতিবেদন ভালো না আসায় ডিপো নির্মাণের দরপত্র পিছিয়ে গেছে। ডিপো এলাকার মাটি নরম হওয়ায় করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মতামত চাওয়া হয়েছে। এদিকে মেট্রোরেলের জন্য রেলপথ নির্মাণে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সয়েল টেস্ট শুরু হয়েছে। উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে রোকেয়া সরণি পর্যন্ত প্রকল্পের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় এ কাজ চলছে। অবশিষ্ট পথের সয়েল টেস্ট এখনো শুরুই হয়নি। প্রতি স্থানের সয়েল টেস্টের প্রতিবেদন বুয়েটে পাঠানো হবে মতামতের জন্য। প্রকল্প এলাকায় ভূগর্ভস্থ পরিষেবা সংযোগ লাইন নিয়েও রয়েছে জটিলতা। এগুলো শনাক্তে বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার কাছে পরিষেবা সংযোগ লাইনের বিস্তারিত নকশা চাওয়া হয়েছে। তবে কোনো কোনো স্থানে নকশা অনুযায়ী পরিষেবা সংযোগ লাইন নেই। বরং এগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুরো এলাকার সয়েল টেস্ট সম্পন্ন হলে বিস্তারিত নকশা চূড়ান্ত করা হবে। এর পর প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে উড়াল রেলপথ নির্মাণে। আর ট্রেন চালাতে মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল ব্যবস্থার জন্যও পৃথক দরপত্র আহ্বান করা হবে। নির্মিত রেলপথে এর পর চলবে মেট্রোরেল। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই এখনো শুরু হয়নি। তার আগেই আহ্বান করা হয়েছে ইঞ্জিন-কোচ কেনার দরপত্র। মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক ও ঢাকা গণপরিবহন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, মেট্রোরেলের ইঞ্জিন-কোচ সরবরাহ পেতে প্রায় ৩৬ মাস লেগে যাবে। রেলপথ নির্মাণ শুরুর পর দরপত্র আহ্বান করতে গেলে দেরি হয়ে যাবে। তাই আগেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এগুলো সরবরাহ পাওয়ার সময় রেলপথ নির্মাণ মোটামুটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। আশা করা যাচ্ছে, ২০১৯ সালেই ঢাকায় মেট্রোরেল চলবে। উল্লেখ্য, ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল নির্মাণে চারটি দরপত্র আহ্বান করা হবে। এর মধ্যে ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) ও ১৬টি স্টেশন থাকবে। মূলত প্রতি ৫ কিলোমিটারের জন্য একটি করে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এছাড়া ভূমি উন্নয়ন, ইঞ্জিন-কোচ কেনা, ডিপো অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল লাইন স্থাপনে আরো চারটিসহ মোট আটটি দরপত্র আহ্বান করা হবে এ প্রকল্পে। প্রসঙ্গত, উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেলের স্টেশন থাকবে ১৬টি। এগুলো হচ্ছে— উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, আইএমটি, মিরপুর সেকশন-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, চন্দ্রিমা উদ্যান, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, বাংলা একাডেমি, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক। মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা; যার মধ্যে ১৬,৫৯৫ কোটি টাকা দেবে জাইকা। বাকি ৫,৩৯০ কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। মন্তব্য
Sunday, February 1, 2015
মেট্রোরেলের প্রথম দরপত্র আহ্বান, কোচ কেনার তোড়জোড়:RTNN
মেট্রোরেলের প্রথম দরপত্র আহ্বান, কোচ কেনার তোড়জোড় নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের প্রথম দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রবিবার সচিবালয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্যাকেজ-৮’র সম্ভাব্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে প্রাকযোগ্যতা যাচাইয়ে এ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয় গত শুক্রবার। মন্ত্রী বলেন, আনন্দের সঙ্গ
ে জানাতে চাই, ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন ও কমিউটারদের স্বল্প সময় এবং নিরাপদ ভ্রমণে আমাদের স্বপ্নের প্রকল্প মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের প্যাকেজ-৮’র দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্যাকেজ-৮’র আওতায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রোলিং স্টক এবং ডিপো ইক্যুপমেন্ট ও ডিপো রোলিং স্টক সংগ্রহ করা হবে। এর আওতায় যাত্রাবিরতিতে ট্রেন রাখার স্থান, মেট্রোরেল প্ল্যান্ট, ওয়ার্কসশ, অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার, ইলেক্ট্রিক্যাল ভবন, ওয়াশিং প্ল্যান্ট, ট্রেনিং সেন্টারসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। প্যাকেজ-৭’র প্রাকযোগ্যতা যাচাইয়ে দরপত্র এবং প্যাকেজ-১’র আন্তর্জাতিক দরপত্র আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি-২০১৫) আহ্বান করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। ২০১৫ সালের মধ্যে ৮টি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান সম্পন্ন হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। আগামী ২০১৯ সালে মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হবে। এখন চলছে সয়েল টেস্টের (মাটির ভৌত গুণাগুণ পরীক্ষা) কাজ। এর ভিত্তিতেই চূড়ান্ত করা হবে বিস্তারিত নকশা। এরপর প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ। এখনো এসবের কিছুই হয়নি। অথচ শুরু করা হয়েছে ইঞ্জিন-কোচ কেনার তোড়জোড়। মেট্রোরেল চলাচলের জন্য উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে উত্তরা অংশের ৩.৯ কিলোমিটার হবে মাটির সমতলে। আর পল্লবী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬.২ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। উত্তরা তৃতীয় পর্বে নির্মিত হবে মেট্রোরেলের ডিপো। যাত্রী ওঠানামায় পথিমধ্যে থাকবে ১৬টি স্টেশন। মেট্রোরেলের ডিপো নির্মাণে মাটি পরীক্ষা শুরু হয় গত বছরের জুনে। এজন্য গত অক্টোবরেই দরপত্র আহ্বানের কথা ছিল। তবে মাটি পরীক্ষা প্রতিবেদন ভালো না আসায় ডিপো নির্মাণের দরপত্র পিছিয়ে গেছে। ডিপো এলাকার মাটি নরম হওয়ায় করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মতামত চাওয়া হয়েছে। এদিকে মেট্রোরেলের জন্য রেলপথ নির্মাণে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সয়েল টেস্ট শুরু হয়েছে। উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে রোকেয়া সরণি পর্যন্ত প্রকল্পের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় এ কাজ চলছে। অবশিষ্ট পথের সয়েল টেস্ট এখনো শুরুই হয়নি। প্রতি স্থানের সয়েল টেস্টের প্রতিবেদন বুয়েটে পাঠানো হবে মতামতের জন্য। প্রকল্প এলাকায় ভূগর্ভস্থ পরিষেবা সংযোগ লাইন নিয়েও রয়েছে জটিলতা। এগুলো শনাক্তে বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার কাছে পরিষেবা সংযোগ লাইনের বিস্তারিত নকশা চাওয়া হয়েছে। তবে কোনো কোনো স্থানে নকশা অনুযায়ী পরিষেবা সংযোগ লাইন নেই। বরং এগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুরো এলাকার সয়েল টেস্ট সম্পন্ন হলে বিস্তারিত নকশা চূড়ান্ত করা হবে। এর পর প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে উড়াল রেলপথ নির্মাণে। আর ট্রেন চালাতে মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল ব্যবস্থার জন্যও পৃথক দরপত্র আহ্বান করা হবে। নির্মিত রেলপথে এর পর চলবে মেট্রোরেল। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই এখনো শুরু হয়নি। তার আগেই আহ্বান করা হয়েছে ইঞ্জিন-কোচ কেনার দরপত্র। মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক ও ঢাকা গণপরিবহন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, মেট্রোরেলের ইঞ্জিন-কোচ সরবরাহ পেতে প্রায় ৩৬ মাস লেগে যাবে। রেলপথ নির্মাণ শুরুর পর দরপত্র আহ্বান করতে গেলে দেরি হয়ে যাবে। তাই আগেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এগুলো সরবরাহ পাওয়ার সময় রেলপথ নির্মাণ মোটামুটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। আশা করা যাচ্ছে, ২০১৯ সালেই ঢাকায় মেট্রোরেল চলবে। উল্লেখ্য, ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল নির্মাণে চারটি দরপত্র আহ্বান করা হবে। এর মধ্যে ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) ও ১৬টি স্টেশন থাকবে। মূলত প্রতি ৫ কিলোমিটারের জন্য একটি করে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এছাড়া ভূমি উন্নয়ন, ইঞ্জিন-কোচ কেনা, ডিপো অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল লাইন স্থাপনে আরো চারটিসহ মোট আটটি দরপত্র আহ্বান করা হবে এ প্রকল্পে। প্রসঙ্গত, উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেলের স্টেশন থাকবে ১৬টি। এগুলো হচ্ছে— উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, আইএমটি, মিরপুর সেকশন-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, চন্দ্রিমা উদ্যান, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, বাংলা একাডেমি, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক। মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা; যার মধ্যে ১৬,৫৯৫ কোটি টাকা দেবে জাইকা। বাকি ৫,৩৯০ কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। মন্তব্য
ে জানাতে চাই, ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন ও কমিউটারদের স্বল্প সময় এবং নিরাপদ ভ্রমণে আমাদের স্বপ্নের প্রকল্প মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের প্যাকেজ-৮’র দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্যাকেজ-৮’র আওতায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রোলিং স্টক এবং ডিপো ইক্যুপমেন্ট ও ডিপো রোলিং স্টক সংগ্রহ করা হবে। এর আওতায় যাত্রাবিরতিতে ট্রেন রাখার স্থান, মেট্রোরেল প্ল্যান্ট, ওয়ার্কসশ, অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার, ইলেক্ট্রিক্যাল ভবন, ওয়াশিং প্ল্যান্ট, ট্রেনিং সেন্টারসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। প্যাকেজ-৭’র প্রাকযোগ্যতা যাচাইয়ে দরপত্র এবং প্যাকেজ-১’র আন্তর্জাতিক দরপত্র আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি-২০১৫) আহ্বান করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। ২০১৫ সালের মধ্যে ৮টি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান সম্পন্ন হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। আগামী ২০১৯ সালে মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হবে। এখন চলছে সয়েল টেস্টের (মাটির ভৌত গুণাগুণ পরীক্ষা) কাজ। এর ভিত্তিতেই চূড়ান্ত করা হবে বিস্তারিত নকশা। এরপর প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ। এখনো এসবের কিছুই হয়নি। অথচ শুরু করা হয়েছে ইঞ্জিন-কোচ কেনার তোড়জোড়। মেট্রোরেল চলাচলের জন্য উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে উত্তরা অংশের ৩.৯ কিলোমিটার হবে মাটির সমতলে। আর পল্লবী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬.২ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। উত্তরা তৃতীয় পর্বে নির্মিত হবে মেট্রোরেলের ডিপো। যাত্রী ওঠানামায় পথিমধ্যে থাকবে ১৬টি স্টেশন। মেট্রোরেলের ডিপো নির্মাণে মাটি পরীক্ষা শুরু হয় গত বছরের জুনে। এজন্য গত অক্টোবরেই দরপত্র আহ্বানের কথা ছিল। তবে মাটি পরীক্ষা প্রতিবেদন ভালো না আসায় ডিপো নির্মাণের দরপত্র পিছিয়ে গেছে। ডিপো এলাকার মাটি নরম হওয়ায় করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মতামত চাওয়া হয়েছে। এদিকে মেট্রোরেলের জন্য রেলপথ নির্মাণে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সয়েল টেস্ট শুরু হয়েছে। উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে রোকেয়া সরণি পর্যন্ত প্রকল্পের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় এ কাজ চলছে। অবশিষ্ট পথের সয়েল টেস্ট এখনো শুরুই হয়নি। প্রতি স্থানের সয়েল টেস্টের প্রতিবেদন বুয়েটে পাঠানো হবে মতামতের জন্য। প্রকল্প এলাকায় ভূগর্ভস্থ পরিষেবা সংযোগ লাইন নিয়েও রয়েছে জটিলতা। এগুলো শনাক্তে বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার কাছে পরিষেবা সংযোগ লাইনের বিস্তারিত নকশা চাওয়া হয়েছে। তবে কোনো কোনো স্থানে নকশা অনুযায়ী পরিষেবা সংযোগ লাইন নেই। বরং এগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুরো এলাকার সয়েল টেস্ট সম্পন্ন হলে বিস্তারিত নকশা চূড়ান্ত করা হবে। এর পর প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে উড়াল রেলপথ নির্মাণে। আর ট্রেন চালাতে মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল ব্যবস্থার জন্যও পৃথক দরপত্র আহ্বান করা হবে। নির্মিত রেলপথে এর পর চলবে মেট্রোরেল। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই এখনো শুরু হয়নি। তার আগেই আহ্বান করা হয়েছে ইঞ্জিন-কোচ কেনার দরপত্র। মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক ও ঢাকা গণপরিবহন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, মেট্রোরেলের ইঞ্জিন-কোচ সরবরাহ পেতে প্রায় ৩৬ মাস লেগে যাবে। রেলপথ নির্মাণ শুরুর পর দরপত্র আহ্বান করতে গেলে দেরি হয়ে যাবে। তাই আগেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এগুলো সরবরাহ পাওয়ার সময় রেলপথ নির্মাণ মোটামুটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। আশা করা যাচ্ছে, ২০১৯ সালেই ঢাকায় মেট্রোরেল চলবে। উল্লেখ্য, ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল নির্মাণে চারটি দরপত্র আহ্বান করা হবে। এর মধ্যে ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) ও ১৬টি স্টেশন থাকবে। মূলত প্রতি ৫ কিলোমিটারের জন্য একটি করে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এছাড়া ভূমি উন্নয়ন, ইঞ্জিন-কোচ কেনা, ডিপো অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল লাইন স্থাপনে আরো চারটিসহ মোট আটটি দরপত্র আহ্বান করা হবে এ প্রকল্পে। প্রসঙ্গত, উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেলের স্টেশন থাকবে ১৬টি। এগুলো হচ্ছে— উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, আইএমটি, মিরপুর সেকশন-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, চন্দ্রিমা উদ্যান, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, বাংলা একাডেমি, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক। মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা; যার মধ্যে ১৬,৫৯৫ কোটি টাকা দেবে জাইকা। বাকি ৫,৩৯০ কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment