
আসাদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তার পুরো নাম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তার আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে বেগবান হয়েছিল তৎকালীন স্বৈরাচার আইয়ুববিরোধী আন্দোলন। আসাদের রক্তাক্ত শার্ট হয়ে ওঠে বাঙালির প্রাণের পতাকা। আসাদ শহীদ হওয়ার মাত্র ৩ দিনের মাথায় ২৪ জানুয়ারি পতন ঘটে আইয়ুব সরকারের। ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাস। আইয়ুববিরোধী গণবিক্ষোভে সমগ্র পূর্ব বাংলা ফেটে পড়েছিল। সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ডাকসুর পক্ষ থেকেই ৬৯-এর ১ জানুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভায় ঐতিহাসিক এগার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এগার দফার ভিত্তিতে গোটা পূর্ব বাংলায় স্বাধিকারের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে ওঠে। সৃষ্টি হয় এক অভূতপূর্ব গণআন্দোলন। ওই আন্দোলন ক্রমান্বয়ে চরমে ওঠে। স্বৈরাচার আইয়ুব সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। মিছিল-সমাবেশের ওপর আরোপ করা হয় ১৪৪ ধারা। সেই নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন কলা ভবন (বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি খানিক দূরে যেতে না যেতেই পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়েন আসাদ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটিকে পালন করা হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সকাল ৯টায় মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন আসাদের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনাও অনুষ্ঠিত হবে। এএইচ
No comments:
Post a Comment