
ন সাইদ তাকে ধরে রাখেন। এর আগে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর পর আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ নেওয়া হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে, তার মা খালেদা জিয়ার সামনে। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তার লাশ সেখানে পৌঁছালে কার্যালয়ের নীচতলায় আরাফাত রহমান কোকোর কফিন রাখা হয়। সেখানেই মা খালেদা জিয়া ছেলের মুখ শেষবারের মতো দেখেন। কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার নিজ অফিস কক্ষ থেকে তিনি সোয়া দুইটার দিকে নিচতলায় আসেন। মৃত সন্তানের মুখ চেপে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলেন মা খালেদা জিয়া। ছেলের মরদেহের পাশে আধাঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি। পুরো সময়ই খালেদা জিয়ার চোখ ছিল বহমান অশ্রুর ধারায় সিক্ত। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় কোকোর কফিন। অ্যাম্বুলেন্সটি গুলশান কার্যালয়ে এলে প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢোকানো হয়। এরপর নেতাকর্মীরা ধরাধরি করে খয়েরি রঙের কফিনটি নিচ তলার একটি কক্ষে নিয়ে রাখেন। কফিন খোলার পর একটি গিলাফ দিয়ে কোকোর মরদেহ ঢেকে দেওয়া হয় এবং তার স্ত্রী শামিলা রহমান সিঁথি দুই মেয়ে জাহিয়া ও জাইসাকে নিয়ে উপরে যান, যেখানে অপেক্ষা করছিলেন পুত্রশোকে কাতর খালেদা জিয়া। কিছুক্ষণ পর খালেদা জিয়ার দুই ভাই সাঈদ এস্কান্দার ও শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী দুই পাশ থেকে ধরে অশ্রুসিক্ত খালেদা জিয়াকে নিচে নামিয়ে আনেন। খালেদার দুই ছোট ভাইয়ের পরিবারের সদস্য, বড় ছেলে তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবালমান্দ বানু, জোবাইদার বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু এবং কোকোর শ্বশুড়বাড়ির লোকজনও সেখানে রয়েছেন। ওই কক্ষে আরবি হরফে লেখা একটি ব্যানার টানানো হয়েছে। পাশের কক্ষে জাতীয়তাবাদী উলামা দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সেলিম রেজা, প্রচারনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ কাশেমীর নেতৃত্বে সকাল থেকে কোরআন তেলাওয়াত চলছে। কোকোকে শেষবার দেখতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কের প্রবেশের পথ ও কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন। তবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ ও আত্মীয় স্বজন ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের জানাজায় অংশ নিতে বায়তুল মোকাররমে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘জালিম সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বায়তুল মোকাররমে কোকোর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। নেতাকর্মীদের সেদিকে যাওয়ার অনুরোধ করছি।’ এর আগে সকালে মালদ্বীপ ও ভুটানের কূটনীতিকরা গুলশান কার্যালয়ে এসে আরাফাত রহমান কোকোর জন্য রাখা শোকবইয়ে সই করেন। গত শনিবার দুপুরে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। এই তিনদিন সারা দেশের মসজিদে মসজিদে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল চলছে। এছাড়া মঙ্গলবার সারা দেশে কোকোর গায়েবানা জানাজা পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment