বুলেন্স থেকে কফিন নামিয়ে কার্যালয়ের নিচ তলায় আনা হয়। প্রচণ্ড ভিডের চাপে কার্যালয়ের সামনে ফটকের পাশে গ্লাস ভেঙে যায়। কক্ষে কোকোর মরদেহ আনার পর দৃশ্যপট সবার মন কেড়ে নেয়। প্রায় ১০ মিনিট পর দোতলা থেকে বেগম জিয়াকে হাতে ধরে নিয়ে আনা হয় নিচ তলায়। ক্রিম কালারের সুতি শাড়ি পরিহিতা বেগম জিয়া সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়ে তার ছোট দুই ভাইয়ের স্ত্রী ও কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিথি ছিলেন। কক্ষে বেগম জিয়ার প্রবেশ ও পরিবেশে সঙ্গে অনেকে নিজেদের আর সামালিয়ে রাখতে পারেনি। সবাই অশ্রুসজল ছিলেন। এরপরের দৃশ্যপট আরো বেদনাবিধুর। ছেলের কফিনের সামনে নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বেগম জিয়া। কখনো ঘুমড়ে কান্না আবার কখনো নাতনীকে জড়িয়ে কান্না। গুলশান কার্যালয়ের নিচ তলায় কোকোর কফিনে পাশে বসে রয়েছেন বেগম জিয়া। প্রায় সময় টিসু দিয়ে চোখ মুছছিলেন তিনি। সাদা কফিনে সাদা পোষাকে শুয়ে আছেন কোকো। মুখে দাঁড়ি। মা যখনই ছেলের দিকে তাঁকাচ্ছিলেন তখন কাঁদছিলেন শিশুর মতো। এযেন এক অন্যরকম দৃশ্য। বেগম জিয়া পাশের ছোট দুই ভাইয়ের স্ত্রী, কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিথি, দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া ছিলেন। নিচ তলায় পরিবার পরিজনের বাইরে কাউকে যেতে দেয়া হয়নি। পারিবারিকভাবে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন চলে অনেকক্ষন। কফিনের পাশে বসে দুই হাত তুলে ছেলের জন্য অশ্রুসজলে মোনাজাত করে খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবালমান্দ বানুসহ তাদের আত্বীয় স্বজরা ছাড়াও সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকন উর্ধবতন কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন। দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারি রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ প্রমুখ ছিলেন। এই সময়ে পাশের কক্ষে পবিত্র কোরান তেলোয়াত চলছিল। প্রায় ৩৫ মিনিট কফিনের পাশেই বসা ছিলেন বেগম। এরপর তার সামনে কফিনটি ঢেকে দেয়া হয়। সেটাও ছিলো অনেক বেদনা। কান্নার মধ্যেই বেগম জিয়া নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ছেলেকে বিদায় দিয়ে অজানার দেশে। একদিকে লাশের কফিন অ্যাম্বুলেন্সে এবং অন্যদিকে বেগম জিয়াকে ধরে নিয়ে দোতলায় তুলেছেন তার দুই ভাইয়ের বউ। ১৯৭০ সালে যথন স্বাধীনতার মুক্তি সংগ্রামে দেশের আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছিল, ঠিক ওই সময়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে আরাফাত রহমান কোকো জন্ম নেন। ছোট বলে মায়ের কাছে সবচেয় প্রিয় ছিল কোকো। যেকোনো আবদার মায়ের নিমিষেই পুরণ করতে হতো। আজ সেই প্রিয় পুত্রকে হারিয়ে বেগম জিয়া যেন কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। অর্থপাচারের মামলায় বাংলাদেশের আদালতে ছয় বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোকো স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে কুয়ালালামপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন বলে বিএনপি নেতারা জানান। বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার আরাফাত ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তখনকার কর্তৃপক্ষের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। এরপর মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় ২০১১ সালে ২৩ জুন আরাফতকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত; সেই সঙ্গে তাকে ১৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। তবে বিএনপির দাবি, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গত শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মারা যান কোকো। মৃত্যু সংবাদ শুনার পর থেকে গুলশানের কার্যালয়ে খালেদা জিয়া নিজে চেম্বারে শোকে কাতর হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরা প্রথম দিকে তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলেন। শনিবার থেকে তিনদিন যাবত বেগম জিয়ার সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠনেতারাও সাক্ষাৎ করতে পারেনি। সকালে গুলশানের কার্যালয়ে বেগম জিয়া ও কোকোর শশুড়বাড়ির আত্বীয় স্বজনরা আসেন। নতুন বার্তা/এসএ
Tuesday, January 27, 2015
ছেলের নিথর মুখ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন খালেদা জিয়া :Natun Barta
ঢাকা: ছেলের নিথর মুখ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন খালেদা জিয়া। দুই নাতনীর সঙ্গে দাদীর কান্না যেন একাকার হয়ে গেছে। পুরো পরিবেশটাই যেন কান্নার ভারে নুইয়ে পড়ার এক অজানা দেশের পরিবেশের মতো মনে হয়েছে। সেখানে যারা ছিলেন, তারাই এই দৃশ্যপট অনুধাবণ করতে পারবে। গুলশানের কার্যালয়ে ১টা ৪০ মিনিটের দিকে যখন আরাফাত রহমান কোকোর কফিন বহরকারী অ্যাম্বুলেন্স কার্যালয়ের ভেতরে আনা হয়। এরপর নেতাদের প্রচন্ড চাপের মধ্যে অ্যাম্
বুলেন্স থেকে কফিন নামিয়ে কার্যালয়ের নিচ তলায় আনা হয়। প্রচণ্ড ভিডের চাপে কার্যালয়ের সামনে ফটকের পাশে গ্লাস ভেঙে যায়। কক্ষে কোকোর মরদেহ আনার পর দৃশ্যপট সবার মন কেড়ে নেয়। প্রায় ১০ মিনিট পর দোতলা থেকে বেগম জিয়াকে হাতে ধরে নিয়ে আনা হয় নিচ তলায়। ক্রিম কালারের সুতি শাড়ি পরিহিতা বেগম জিয়া সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়ে তার ছোট দুই ভাইয়ের স্ত্রী ও কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিথি ছিলেন। কক্ষে বেগম জিয়ার প্রবেশ ও পরিবেশে সঙ্গে অনেকে নিজেদের আর সামালিয়ে রাখতে পারেনি। সবাই অশ্রুসজল ছিলেন। এরপরের দৃশ্যপট আরো বেদনাবিধুর। ছেলের কফিনের সামনে নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বেগম জিয়া। কখনো ঘুমড়ে কান্না আবার কখনো নাতনীকে জড়িয়ে কান্না। গুলশান কার্যালয়ের নিচ তলায় কোকোর কফিনে পাশে বসে রয়েছেন বেগম জিয়া। প্রায় সময় টিসু দিয়ে চোখ মুছছিলেন তিনি। সাদা কফিনে সাদা পোষাকে শুয়ে আছেন কোকো। মুখে দাঁড়ি। মা যখনই ছেলের দিকে তাঁকাচ্ছিলেন তখন কাঁদছিলেন শিশুর মতো। এযেন এক অন্যরকম দৃশ্য। বেগম জিয়া পাশের ছোট দুই ভাইয়ের স্ত্রী, কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিথি, দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া ছিলেন। নিচ তলায় পরিবার পরিজনের বাইরে কাউকে যেতে দেয়া হয়নি। পারিবারিকভাবে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন চলে অনেকক্ষন। কফিনের পাশে বসে দুই হাত তুলে ছেলের জন্য অশ্রুসজলে মোনাজাত করে খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবালমান্দ বানুসহ তাদের আত্বীয় স্বজরা ছাড়াও সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকন উর্ধবতন কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন। দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারি রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ প্রমুখ ছিলেন। এই সময়ে পাশের কক্ষে পবিত্র কোরান তেলোয়াত চলছিল। প্রায় ৩৫ মিনিট কফিনের পাশেই বসা ছিলেন বেগম। এরপর তার সামনে কফিনটি ঢেকে দেয়া হয়। সেটাও ছিলো অনেক বেদনা। কান্নার মধ্যেই বেগম জিয়া নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ছেলেকে বিদায় দিয়ে অজানার দেশে। একদিকে লাশের কফিন অ্যাম্বুলেন্সে এবং অন্যদিকে বেগম জিয়াকে ধরে নিয়ে দোতলায় তুলেছেন তার দুই ভাইয়ের বউ। ১৯৭০ সালে যথন স্বাধীনতার মুক্তি সংগ্রামে দেশের আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছিল, ঠিক ওই সময়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে আরাফাত রহমান কোকো জন্ম নেন। ছোট বলে মায়ের কাছে সবচেয় প্রিয় ছিল কোকো। যেকোনো আবদার মায়ের নিমিষেই পুরণ করতে হতো। আজ সেই প্রিয় পুত্রকে হারিয়ে বেগম জিয়া যেন কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। অর্থপাচারের মামলায় বাংলাদেশের আদালতে ছয় বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোকো স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে কুয়ালালামপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন বলে বিএনপি নেতারা জানান। বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার আরাফাত ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তখনকার কর্তৃপক্ষের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। এরপর মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় ২০১১ সালে ২৩ জুন আরাফতকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত; সেই সঙ্গে তাকে ১৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। তবে বিএনপির দাবি, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গত শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মারা যান কোকো। মৃত্যু সংবাদ শুনার পর থেকে গুলশানের কার্যালয়ে খালেদা জিয়া নিজে চেম্বারে শোকে কাতর হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরা প্রথম দিকে তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলেন। শনিবার থেকে তিনদিন যাবত বেগম জিয়ার সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠনেতারাও সাক্ষাৎ করতে পারেনি। সকালে গুলশানের কার্যালয়ে বেগম জিয়া ও কোকোর শশুড়বাড়ির আত্বীয় স্বজনরা আসেন। নতুন বার্তা/এসএ
বুলেন্স থেকে কফিন নামিয়ে কার্যালয়ের নিচ তলায় আনা হয়। প্রচণ্ড ভিডের চাপে কার্যালয়ের সামনে ফটকের পাশে গ্লাস ভেঙে যায়। কক্ষে কোকোর মরদেহ আনার পর দৃশ্যপট সবার মন কেড়ে নেয়। প্রায় ১০ মিনিট পর দোতলা থেকে বেগম জিয়াকে হাতে ধরে নিয়ে আনা হয় নিচ তলায়। ক্রিম কালারের সুতি শাড়ি পরিহিতা বেগম জিয়া সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়ে তার ছোট দুই ভাইয়ের স্ত্রী ও কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিথি ছিলেন। কক্ষে বেগম জিয়ার প্রবেশ ও পরিবেশে সঙ্গে অনেকে নিজেদের আর সামালিয়ে রাখতে পারেনি। সবাই অশ্রুসজল ছিলেন। এরপরের দৃশ্যপট আরো বেদনাবিধুর। ছেলের কফিনের সামনে নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বেগম জিয়া। কখনো ঘুমড়ে কান্না আবার কখনো নাতনীকে জড়িয়ে কান্না। গুলশান কার্যালয়ের নিচ তলায় কোকোর কফিনে পাশে বসে রয়েছেন বেগম জিয়া। প্রায় সময় টিসু দিয়ে চোখ মুছছিলেন তিনি। সাদা কফিনে সাদা পোষাকে শুয়ে আছেন কোকো। মুখে দাঁড়ি। মা যখনই ছেলের দিকে তাঁকাচ্ছিলেন তখন কাঁদছিলেন শিশুর মতো। এযেন এক অন্যরকম দৃশ্য। বেগম জিয়া পাশের ছোট দুই ভাইয়ের স্ত্রী, কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিথি, দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া ছিলেন। নিচ তলায় পরিবার পরিজনের বাইরে কাউকে যেতে দেয়া হয়নি। পারিবারিকভাবে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন চলে অনেকক্ষন। কফিনের পাশে বসে দুই হাত তুলে ছেলের জন্য অশ্রুসজলে মোনাজাত করে খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবালমান্দ বানুসহ তাদের আত্বীয় স্বজরা ছাড়াও সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকন উর্ধবতন কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন। দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারি রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ প্রমুখ ছিলেন। এই সময়ে পাশের কক্ষে পবিত্র কোরান তেলোয়াত চলছিল। প্রায় ৩৫ মিনিট কফিনের পাশেই বসা ছিলেন বেগম। এরপর তার সামনে কফিনটি ঢেকে দেয়া হয়। সেটাও ছিলো অনেক বেদনা। কান্নার মধ্যেই বেগম জিয়া নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ছেলেকে বিদায় দিয়ে অজানার দেশে। একদিকে লাশের কফিন অ্যাম্বুলেন্সে এবং অন্যদিকে বেগম জিয়াকে ধরে নিয়ে দোতলায় তুলেছেন তার দুই ভাইয়ের বউ। ১৯৭০ সালে যথন স্বাধীনতার মুক্তি সংগ্রামে দেশের আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছিল, ঠিক ওই সময়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে আরাফাত রহমান কোকো জন্ম নেন। ছোট বলে মায়ের কাছে সবচেয় প্রিয় ছিল কোকো। যেকোনো আবদার মায়ের নিমিষেই পুরণ করতে হতো। আজ সেই প্রিয় পুত্রকে হারিয়ে বেগম জিয়া যেন কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। অর্থপাচারের মামলায় বাংলাদেশের আদালতে ছয় বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোকো স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে কুয়ালালামপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন বলে বিএনপি নেতারা জানান। বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার আরাফাত ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তখনকার কর্তৃপক্ষের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। এরপর মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় ২০১১ সালে ২৩ জুন আরাফতকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত; সেই সঙ্গে তাকে ১৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। তবে বিএনপির দাবি, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গত শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মারা যান কোকো। মৃত্যু সংবাদ শুনার পর থেকে গুলশানের কার্যালয়ে খালেদা জিয়া নিজে চেম্বারে শোকে কাতর হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরা প্রথম দিকে তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলেন। শনিবার থেকে তিনদিন যাবত বেগম জিয়ার সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠনেতারাও সাক্ষাৎ করতে পারেনি। সকালে গুলশানের কার্যালয়ে বেগম জিয়া ও কোকোর শশুড়বাড়ির আত্বীয় স্বজনরা আসেন। নতুন বার্তা/এসএ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment