য়ার পথে নাজিরহাটে বাধা দেয় হানাদারবাহিনী। এখানে দু'পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। বাঙলার দামাল ছেলেদের আক্রমনে টিকতে না পেরে পিছু হটে পাক বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধারা যতই ঢাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, পাকিস্তানি জেনারেলদের মনোবল ততই ভেঙে পড়ছিল। এদিকে উত্তরদিক থেকে জেনারেল নাগরার বাহিনী ও কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সন্ধ্যায় পাকিস্তানি হানদার বাহিনীর প্রতিরোধ ব্যর্থ করে দিয়ে কালিয়াকৈর এসে পৌঁছায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের নিয়মিত বাহিনীর সর্বপ্রথম ইউনিট হিসেবে ২০-ইবি ঢাকার শীতলক্ষ্যার পূর্বপাড়ে মুড়াপাড়ায় পৌঁছায়। পূর্বদিকে ডেমরা ফেরির দিকে অগ্রসরমাণ ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানি প্রতিরোধের মুখে পড়ে। সমুদ্রপথে শত্রুদের পালানোর সুযোগ কমে যাওয়ায় ঢাকায় পাকিস্তানি হানাদারদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। অবশেষে ঢাকা চূড়ান্ত লড়াইয়ের স্থল বলেই চিহ্নিত হতে থাকে। ঢাকার আকাশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে থাকায় তারা পাকিস্তানি সামরিক অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। পাকিস্তানি বাহিনীর একমাত্র ভরসা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ। কিন্তু এ কাজেও ব্যর্থ; যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৃহৎ সামরিক নৌযান ২৪ ঘণ্টা নিশ্চল রাখার পর এদিন সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এ দিন রাতে নিয়াজি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল হামিদের কাছে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার অনুরোধ জানান। ১৪ ডিসেম্বর নিয়াজিকে পাঠানো বার্তায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান লেখেন, 'পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় সমরাভিযান বন্ধ করে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর এবং অন্যান্য জনসাধারণ যারা দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণের লক্ষ্য হতে পারে, তাদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভারতকে অনুরোধ করার জন্য আমি ইতোমধ্যেই জাতিসংঘে তৎপরতা চালিয়েছি।' বিজয়ের দু’দিন আগে ১৩ ডিসেম্বর জেগে ওঠে পুরো বাংলাদেশ। মুক্তিবাহিনী ভারতীয় মিত্রবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে ঢাকার দিকে। চারদিক থেকে আসতে শুরু করে বিজয়ের বার্তা। বাঙালির দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম আর ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধ তখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। গেরিলা যোদ্ধারা একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানিদের ভিত নড়িয়ে দেয়। পাকিস্তানি সেনারা তাদের পরিচালনাকারী বিদেশী বন্ধু আর এ দেশের রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা তখন কেবল পরাজয়ের ক্ষণ গণনায় ব্যস্ত। আর বাঙালী জাতি এগিয়ে যাচ্ছে বিজয়ের দিকে। এমআর/ এআর
Saturday, December 13, 2014
ঢাকা দখলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি:Time News
ঢাকা দখলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি মাসউদুর রহমান টাইম নিউজ বিডি, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০৯:৪০:২৯ ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১। সারাদেশে উড়ছে বাঙালী জাতির বিজয় নিশান। বিভিন্ন স্থানে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে ঢাকা দখলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে মুক্তিপাগল বাঙালী। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিশ্চিত পরাজয় জেনে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যায় মেতে ওঠে পাক বাহিনী। একাত্তরের এদিন চতুর্থ বেঙ্গল চট্টগ্রামের দিকে যাও
য়ার পথে নাজিরহাটে বাধা দেয় হানাদারবাহিনী। এখানে দু'পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। বাঙলার দামাল ছেলেদের আক্রমনে টিকতে না পেরে পিছু হটে পাক বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধারা যতই ঢাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, পাকিস্তানি জেনারেলদের মনোবল ততই ভেঙে পড়ছিল। এদিকে উত্তরদিক থেকে জেনারেল নাগরার বাহিনী ও কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সন্ধ্যায় পাকিস্তানি হানদার বাহিনীর প্রতিরোধ ব্যর্থ করে দিয়ে কালিয়াকৈর এসে পৌঁছায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের নিয়মিত বাহিনীর সর্বপ্রথম ইউনিট হিসেবে ২০-ইবি ঢাকার শীতলক্ষ্যার পূর্বপাড়ে মুড়াপাড়ায় পৌঁছায়। পূর্বদিকে ডেমরা ফেরির দিকে অগ্রসরমাণ ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানি প্রতিরোধের মুখে পড়ে। সমুদ্রপথে শত্রুদের পালানোর সুযোগ কমে যাওয়ায় ঢাকায় পাকিস্তানি হানাদারদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। অবশেষে ঢাকা চূড়ান্ত লড়াইয়ের স্থল বলেই চিহ্নিত হতে থাকে। ঢাকার আকাশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে থাকায় তারা পাকিস্তানি সামরিক অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। পাকিস্তানি বাহিনীর একমাত্র ভরসা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ। কিন্তু এ কাজেও ব্যর্থ; যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৃহৎ সামরিক নৌযান ২৪ ঘণ্টা নিশ্চল রাখার পর এদিন সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এ দিন রাতে নিয়াজি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল হামিদের কাছে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার অনুরোধ জানান। ১৪ ডিসেম্বর নিয়াজিকে পাঠানো বার্তায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান লেখেন, 'পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় সমরাভিযান বন্ধ করে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর এবং অন্যান্য জনসাধারণ যারা দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণের লক্ষ্য হতে পারে, তাদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভারতকে অনুরোধ করার জন্য আমি ইতোমধ্যেই জাতিসংঘে তৎপরতা চালিয়েছি।' বিজয়ের দু’দিন আগে ১৩ ডিসেম্বর জেগে ওঠে পুরো বাংলাদেশ। মুক্তিবাহিনী ভারতীয় মিত্রবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে ঢাকার দিকে। চারদিক থেকে আসতে শুরু করে বিজয়ের বার্তা। বাঙালির দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম আর ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধ তখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। গেরিলা যোদ্ধারা একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানিদের ভিত নড়িয়ে দেয়। পাকিস্তানি সেনারা তাদের পরিচালনাকারী বিদেশী বন্ধু আর এ দেশের রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা তখন কেবল পরাজয়ের ক্ষণ গণনায় ব্যস্ত। আর বাঙালী জাতি এগিয়ে যাচ্ছে বিজয়ের দিকে। এমআর/ এআর
য়ার পথে নাজিরহাটে বাধা দেয় হানাদারবাহিনী। এখানে দু'পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। বাঙলার দামাল ছেলেদের আক্রমনে টিকতে না পেরে পিছু হটে পাক বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধারা যতই ঢাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, পাকিস্তানি জেনারেলদের মনোবল ততই ভেঙে পড়ছিল। এদিকে উত্তরদিক থেকে জেনারেল নাগরার বাহিনী ও কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সন্ধ্যায় পাকিস্তানি হানদার বাহিনীর প্রতিরোধ ব্যর্থ করে দিয়ে কালিয়াকৈর এসে পৌঁছায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের নিয়মিত বাহিনীর সর্বপ্রথম ইউনিট হিসেবে ২০-ইবি ঢাকার শীতলক্ষ্যার পূর্বপাড়ে মুড়াপাড়ায় পৌঁছায়। পূর্বদিকে ডেমরা ফেরির দিকে অগ্রসরমাণ ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানি প্রতিরোধের মুখে পড়ে। সমুদ্রপথে শত্রুদের পালানোর সুযোগ কমে যাওয়ায় ঢাকায় পাকিস্তানি হানাদারদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। অবশেষে ঢাকা চূড়ান্ত লড়াইয়ের স্থল বলেই চিহ্নিত হতে থাকে। ঢাকার আকাশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে থাকায় তারা পাকিস্তানি সামরিক অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। পাকিস্তানি বাহিনীর একমাত্র ভরসা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ। কিন্তু এ কাজেও ব্যর্থ; যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৃহৎ সামরিক নৌযান ২৪ ঘণ্টা নিশ্চল রাখার পর এদিন সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এ দিন রাতে নিয়াজি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল হামিদের কাছে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার অনুরোধ জানান। ১৪ ডিসেম্বর নিয়াজিকে পাঠানো বার্তায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান লেখেন, 'পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় সমরাভিযান বন্ধ করে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর এবং অন্যান্য জনসাধারণ যারা দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণের লক্ষ্য হতে পারে, তাদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভারতকে অনুরোধ করার জন্য আমি ইতোমধ্যেই জাতিসংঘে তৎপরতা চালিয়েছি।' বিজয়ের দু’দিন আগে ১৩ ডিসেম্বর জেগে ওঠে পুরো বাংলাদেশ। মুক্তিবাহিনী ভারতীয় মিত্রবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে ঢাকার দিকে। চারদিক থেকে আসতে শুরু করে বিজয়ের বার্তা। বাঙালির দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম আর ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধ তখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। গেরিলা যোদ্ধারা একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানিদের ভিত নড়িয়ে দেয়। পাকিস্তানি সেনারা তাদের পরিচালনাকারী বিদেশী বন্ধু আর এ দেশের রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা তখন কেবল পরাজয়ের ক্ষণ গণনায় ব্যস্ত। আর বাঙালী জাতি এগিয়ে যাচ্ছে বিজয়ের দিকে। এমআর/ এআর
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment