Monday, January 19, 2015

জিয়াউর রহমানের ৭৯তম জন্মবার্ষিকী আজ:Time News

জিয়াউর রহমানের ৭৯তম জন্মবার্ষিকী আজ সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫ ০২:০২:৪১ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৭৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতা মনসুর রহমান ও মাতা জাহানারা খাতুন ওরফে রানীর পাঁচ সন্তানের মধ্যে জিয়াউ
র রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তার ডাকনাম কমল। শহীদ প্রেসিডেন্টে জিয়াউর রহমানের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুগান্তকারী অবদানের জন্য জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে তাকে স্মরণ করবে। জিয়াউর রহমানের পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়। ভারতবর্ষ বিভক্ত হওয়ার পর তার পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে যান। তখন জিয়া কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করে করাচি একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। ওই স্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডিজে কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানের বর্বর হানাদার বাহিনী যখন নিরীহ বাঙালির উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে, তখন চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এ মহানায়ক। চট্টগ্রাম থেকে বেতারে প্রচারিত তার এ ঘোষণায় মুক্তিকামী জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও আশান্বিত করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জেড ফোর্সের প্রধান ছিলেন জিয়াউর রহমান। জেড ফোর্সের এই অধিনায়ককে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সংঘটিত সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশে একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থা বাতিল করে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। সব রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দেন। বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেন। তার উদ্যোগেই ১৯৭৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ছোট-বড় সব দল। সংবিধানে শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’এবং রাষ্ট্র ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস যুক্ত করেছিলেন তিনিই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠনের মধ্যদিয়ে দেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির সূচনা করেন। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের নতুন দর্শন উপস্থাপন করেন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়ে দেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে যান। তার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি দেশের মানুষের প্রিয় দল হিসেবে ’৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ, ’৯১ সালের পঞ্চম সংসদ ও ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ এবং ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। দেশ ও জাতি গঠনে জিয়াউর রহমানের এসব অবদানের কারণেই তিনি জাতির মধ্যে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। মিশে থাকবেন এ জাতির সমগ্র অস্তিত্বের সঙ্গে। প্রতি বছর বিএনপি দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকী জাঁকজমকভাবে পালন করলেও এ বছর রাজনৈতিক প্রতিকূল অবস্থার কারণে সাদামাটাভাবেই পালন করতে হচ্ছে জন্মদিন। দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসনের ৭৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ১১ টায় বিএনপি’র উদ্যোগে শেরেবাংলা নগরস্থ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। পুস্পার্ঘ্য অর্পণ অনুষ্ঠানে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া জন্মদিন উপলক্ষে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করবে। এমএইচ/এমকে


No comments:

Post a Comment