অতিকথনের ঘটনাকে রাজনৈতিক সংঘাতের পূর্ভাবাস মনে করছেন অনেকেই। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কোনো সংকট তৈরি হবে না। জাতীয় সংসদের হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেছেন, বিএনপির কর্মীরা আন্দোলন করে, কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষ যোগ দেয় না। কারণ তারা সুখে আছে। সামনে সংকট তৈরি হবে বলে আমার মনে হয় না। বিএনপি সূত্র জানায়, ২ জানুয়ারি ছাত্রদলের সমাবেশ এবং ৩ ও ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করবে ২০ দল। সমাবেশ করতে না দিলে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে হরতালের পাশাপাশি অবরোধ কর্মসূচিও বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এদিন বিএনপি-জামায়াত জোট রাজপথে বড় ধরনের শোডাউন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। জানা গেছে, ধর্মীয় দলগুলো লতিফ সিদ্দিকীর ইস্যুকে সামনে নিয়ে রাজপথে সোচ্চার হবে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট কাজে লাগাতে চায় ২০ দলীয় জোট। আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক সমাগম রাখার প্রস্তুতি নিতে তৃণমূলপর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই দিন বিএনপি-জামায়াত জোট যাতে কোনো এলাকায় সভা সমাবেশের নামে ‘নৈরাজ্য’ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ৫ জানুয়ারি দলের পক্ষ থেকে ‘গণতন্ত্র রক্ষা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে নতুন বছরে ‘হারানো’ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে জেল-জুলুম উপেক্ষা করে সবাইকে আন্দোলনের শরিক হতে বলেছেন তিনি। আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। তারা যে আচরণ করছে, তার ফল হবে ভয়াবহ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খান বলেন, “বর্তমানে আমরা সংঘাতের মধ্যেই আছি। এভাবে চললে দেশের রাজনীতি আরো বড় সংঘাতের দিকেই যাবে।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচন ক্রটিমুক্ত তো নয়ই, কিন্তু তা নিয়ে সহিংসতায় লিপ্ত হওয়া যৌক্তিক নয়। দুই দলকেই সমঝোতা বা আলোচনার জায়গায় পৌঁছাতে হবে। তবে সবকিছু মিলিয়ে এক ধরনের সংকট তো হবেই।” সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা প্রধান ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, “সংকটের বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একটি রাজনৈতিক উত্তাপ সৃষ্টি হবে।” সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া, প্রসাশনের ১৪৪ ধারা জারি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এতে করে সমাধান হয় না বরং রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। এভাবে চলতে থাকলে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি আরো অস্থিতিশীল ও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।” নতুন বার্তা/নিমা/জবা
Thursday, January 1, 2015
সমঝোতা না হলে সংকটের পথে দেশ! :Natun Barta
ঢাকা: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের কঠোর আন্দোলনের হুমকি, কর্মসূচি ঘোষণা, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর পাল্টা কর্মসূচিতে রাজনীতির মাঠে গরম বাতাস বইছে। দুই দলের এমন মুখোমুখি অবস্থানে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। জনমনেও কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশে একটি বড় সংকট দেখা দেবে। গাজীপুরে ২০ দলের সমাবেশ করতে না দেয়া, সরকার দলের নেতাদের
অতিকথনের ঘটনাকে রাজনৈতিক সংঘাতের পূর্ভাবাস মনে করছেন অনেকেই। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কোনো সংকট তৈরি হবে না। জাতীয় সংসদের হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেছেন, বিএনপির কর্মীরা আন্দোলন করে, কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষ যোগ দেয় না। কারণ তারা সুখে আছে। সামনে সংকট তৈরি হবে বলে আমার মনে হয় না। বিএনপি সূত্র জানায়, ২ জানুয়ারি ছাত্রদলের সমাবেশ এবং ৩ ও ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করবে ২০ দল। সমাবেশ করতে না দিলে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে হরতালের পাশাপাশি অবরোধ কর্মসূচিও বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এদিন বিএনপি-জামায়াত জোট রাজপথে বড় ধরনের শোডাউন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। জানা গেছে, ধর্মীয় দলগুলো লতিফ সিদ্দিকীর ইস্যুকে সামনে নিয়ে রাজপথে সোচ্চার হবে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট কাজে লাগাতে চায় ২০ দলীয় জোট। আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক সমাগম রাখার প্রস্তুতি নিতে তৃণমূলপর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই দিন বিএনপি-জামায়াত জোট যাতে কোনো এলাকায় সভা সমাবেশের নামে ‘নৈরাজ্য’ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ৫ জানুয়ারি দলের পক্ষ থেকে ‘গণতন্ত্র রক্ষা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে নতুন বছরে ‘হারানো’ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে জেল-জুলুম উপেক্ষা করে সবাইকে আন্দোলনের শরিক হতে বলেছেন তিনি। আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। তারা যে আচরণ করছে, তার ফল হবে ভয়াবহ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খান বলেন, “বর্তমানে আমরা সংঘাতের মধ্যেই আছি। এভাবে চললে দেশের রাজনীতি আরো বড় সংঘাতের দিকেই যাবে।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচন ক্রটিমুক্ত তো নয়ই, কিন্তু তা নিয়ে সহিংসতায় লিপ্ত হওয়া যৌক্তিক নয়। দুই দলকেই সমঝোতা বা আলোচনার জায়গায় পৌঁছাতে হবে। তবে সবকিছু মিলিয়ে এক ধরনের সংকট তো হবেই।” সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা প্রধান ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, “সংকটের বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একটি রাজনৈতিক উত্তাপ সৃষ্টি হবে।” সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া, প্রসাশনের ১৪৪ ধারা জারি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এতে করে সমাধান হয় না বরং রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। এভাবে চলতে থাকলে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি আরো অস্থিতিশীল ও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।” নতুন বার্তা/নিমা/জবা
অতিকথনের ঘটনাকে রাজনৈতিক সংঘাতের পূর্ভাবাস মনে করছেন অনেকেই। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কোনো সংকট তৈরি হবে না। জাতীয় সংসদের হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেছেন, বিএনপির কর্মীরা আন্দোলন করে, কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষ যোগ দেয় না। কারণ তারা সুখে আছে। সামনে সংকট তৈরি হবে বলে আমার মনে হয় না। বিএনপি সূত্র জানায়, ২ জানুয়ারি ছাত্রদলের সমাবেশ এবং ৩ ও ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করবে ২০ দল। সমাবেশ করতে না দিলে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে হরতালের পাশাপাশি অবরোধ কর্মসূচিও বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এদিন বিএনপি-জামায়াত জোট রাজপথে বড় ধরনের শোডাউন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। জানা গেছে, ধর্মীয় দলগুলো লতিফ সিদ্দিকীর ইস্যুকে সামনে নিয়ে রাজপথে সোচ্চার হবে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট কাজে লাগাতে চায় ২০ দলীয় জোট। আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক সমাগম রাখার প্রস্তুতি নিতে তৃণমূলপর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই দিন বিএনপি-জামায়াত জোট যাতে কোনো এলাকায় সভা সমাবেশের নামে ‘নৈরাজ্য’ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ৫ জানুয়ারি দলের পক্ষ থেকে ‘গণতন্ত্র রক্ষা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে নতুন বছরে ‘হারানো’ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে জেল-জুলুম উপেক্ষা করে সবাইকে আন্দোলনের শরিক হতে বলেছেন তিনি। আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। তারা যে আচরণ করছে, তার ফল হবে ভয়াবহ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খান বলেন, “বর্তমানে আমরা সংঘাতের মধ্যেই আছি। এভাবে চললে দেশের রাজনীতি আরো বড় সংঘাতের দিকেই যাবে।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচন ক্রটিমুক্ত তো নয়ই, কিন্তু তা নিয়ে সহিংসতায় লিপ্ত হওয়া যৌক্তিক নয়। দুই দলকেই সমঝোতা বা আলোচনার জায়গায় পৌঁছাতে হবে। তবে সবকিছু মিলিয়ে এক ধরনের সংকট তো হবেই।” সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা প্রধান ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, “সংকটের বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একটি রাজনৈতিক উত্তাপ সৃষ্টি হবে।” সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া, প্রসাশনের ১৪৪ ধারা জারি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এতে করে সমাধান হয় না বরং রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। এভাবে চলতে থাকলে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি আরো অস্থিতিশীল ও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।” নতুন বার্তা/নিমা/জবা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment