Tuesday, December 23, 2014

কায়সারের বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু:RTNN

কায়সারের বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন   ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের তেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই রায় পড়ে শোনানো হচ্ছে। কায়সারের বিরুদ্ধে রায়ে মোট ৮৪ পৃষ্ঠা রয়েছে। এর মধ্যে রায়ের সারসংক্ষ
েপ পড়ে শোনানো হচ্ছে। রায়ে অনুচ্ছেদ রয়েছে ১,৬৬১টি। এর আগে সকাল সাড়ে আটটার দিকে কায়সারকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ট্রাইব্যুনালের হাজতখানা থেকে বেলা ১১টার দিকে তাকে কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে বিচারপতিরা এজলাসের আসন গ্রহণ করেন। এরপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে রায় পড়া শুরু করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। গতকাল সোমবার রায়ের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করে এই ট্রাইব্যুনাল। জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের রায়ের দিন ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় যে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেখা যায়, তার ছিটে ফোটাও নেই আজ। শুধুমাত্র পুলিশ ট্রাইব্যুনালের ফটকে দায়িত্ব পালন করছে। সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মামলার কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করে গত ২০ আগস্ট রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল। এর আগে কায়সারের বিরুদ্ধে আনীত ১৬টি অভিযোগের বিষয়ে যুক্তিতর্ক পেশ করে  আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ। কায়সারের বিরুদ্ধে মামলায় গত ৭ আগস্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে প্রসিকিউশন। মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে কায়সারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে প্রসিকিউশন। সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করা হয়। কায়সারের বিরুদ্ধে গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি এবং ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। গত বছরের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়া হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে বর্তমানে রাজধানীতে ছেলের বাসায় রয়েছেন কায়সার। কায়সার হচ্ছেন দ্বিতীয় কোনো আসামি শর্তসাপেক্ষে যিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামিন পেয়েছেন। এর আগে বিএনপি নেতা আবদুল আলীম শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন। মন্তব্য      


No comments:

Post a Comment