
হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। এর আগে আজ সকালে রায়ের জন্য ট্রাইব্যুনালের মঙ্গলবারের কার্য তালিকায় রাখা হয় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মামলা। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল এই মামলার কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে। জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও শিশির মো. মুনির। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও তুরিন আফরোজ। যুক্তি উপস্থাপন শেষে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, এ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত সবক’টি অভিযোগ প্রমাণে আমরা সক্ষম হয়েছি। আশা করছি তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনীত একটি অভিযোগেরও কোনো ভিত্তি নেই। রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে তার অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আশা করি তিনি খালাস পাবেন। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে প্রসিকিউশনের ১৯তম এবং সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এম ইদ্রিস আলীর জেরার মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় গত ৭ জুলাই। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আজহারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম। এর আগে ১২ নভেম্বর এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতন, আটক, অপহরণ, গুরুতর জখম ও অগ্নিসংযোগের ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটিতেও (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। গত বছরের ২৫ জুলাই এটিএম আজহারুলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন ৪টি ভলিউমে ৩শ’ পৃষ্ঠায় দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আজহারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে ৯ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদেশে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারের ঢাকার মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment