রতিবাদীর জন্য চূড়ান্ত অপমানের, যারা ২০১১ সালে আরব বসন্তের সূচনা পর্ব থেকে শেষ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন। মোবারক হয়তো মুক্ত হয়ে যাবেন। আর বিচার বঞ্চিত হবেন সরকার কর্তৃক দশকের পর দশক নিহত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা। হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ছিল সেগুলো পদ্ধতিগত কারণের উপর ভিত্তি করে রায় দেয়া হয়েছে। খালাস দেয়া হয়েছে তার নিরাপত্তা প্রধান এবং অর্ধডজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারাকেও। সেই সাথে দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে মোবারকের দুই ছেলে ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সম্পদশালী ব্যবসায়ীকে। গত মে মাসে কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের জেল দেয়া হয়েছিল মোবারককে। কিন্তু বিচারকরা বলছেন, ২০১১ সাল থেকে হিসেবে করলে সেই সাজা তিনি এরই মধ্যে ভোগ করেছেন। আইনানুযায়ী সরকারি কৌঁসুলীরা চাইলে মিশরের উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন। কিন্তু সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট (২০১৩ সালে যিনি মিশরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে অপসারণ করে ক্ষমতা দখল করেছেন) আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি সেটা উড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও বর্তমানে মুরসি এবং তার দল মুসলিম ব্রাদারহুডের হাজার হাজার সমর্থক জেল খাটছেন। সিসি বলেছেন, ‘মিশরকে সামনে তাকাতে হবে, পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই’। মিশরের প্রেসিডেন্ট বা সরকারি ভাষার প্রায় একই রকম প্রতিধ্বনি শোনা গেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টেও। সিসির ভাষা অত্যাচারিত জনগণকে গলা টিপে নিচে বসিয়ে দেয়ার মতোই শোনাচ্ছে। এই সিসিই বলেছিলেন,আরব বসন্ত চলার সময় নিহতদের ব্যাপারে একটি সরকারি পর্যালোচনা হবে। কোনো সন্দেহ নেই যে, এজন্যই অনেক মিশরীয় তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তবে মোবারকের রায়ের পর প্রায় চার বছর ধরে অস্থিরতার সাথে যুদ্ধ করা মিশরীয়রা চরম হতাশ। মোবারকের রায়ের পর আবারও রাস্তায় নেমেছে মিশরের মানুষ। নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে এরই মধ্যে দু’জন প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে সারাদেশে যেভাবে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে যতটা ভেবেছে তার চাইতে অনেক বেশি বেগ পেতে হবে সিসিকে। প্রতিবাদ সমস্যার সাথে অর্থনীতির চরম অবনতি, সিনাই বিদ্রোহ এবং ইসলামিক স্টেটের মতো বড় ও ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন সিসি। মিশরের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়সই ২৫ বছরের নিচে। বহু তরুণ কর্মসংস্থান, শিক্ষা, বাসস্থান ও বৃহত্তর স্বাধীনতার দাবি নিয়ে আবর বসন্তে শামিল হয়েছিলেন। কিন্তু সেই আকাঙ্খা থেকে তারা এখনো অনেক দূরে। অস্থিতিশীলতা, নিপীড়ন এবং জবাবদিহিতার অভাব শুধু আরো অসন্তোষ উৎপাদন করে। মোবারকের রায়ে অসন্তোষ বাড়ার আরো একটি রাস্তা করে দিল এবং মিশরীয় সমাজের চিরকালীন আশাকে বিলম্বিত করার সাথে সাথে তাকে অনেক দূরে ঠেলে দিল। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধ, ভাষান্তর মোহাম্মদ রেজা মন্তব্য
Monday, December 8, 2014
আরব বসন্তের শেষ পাতাটিও বন্ধ:RTNN
রতিবাদীর জন্য চূড়ান্ত অপমানের, যারা ২০১১ সালে আরব বসন্তের সূচনা পর্ব থেকে শেষ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন। মোবারক হয়তো মুক্ত হয়ে যাবেন। আর বিচার বঞ্চিত হবেন সরকার কর্তৃক দশকের পর দশক নিহত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা। হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ছিল সেগুলো পদ্ধতিগত কারণের উপর ভিত্তি করে রায় দেয়া হয়েছে। খালাস দেয়া হয়েছে তার নিরাপত্তা প্রধান এবং অর্ধডজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারাকেও। সেই সাথে দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে মোবারকের দুই ছেলে ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সম্পদশালী ব্যবসায়ীকে। গত মে মাসে কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের জেল দেয়া হয়েছিল মোবারককে। কিন্তু বিচারকরা বলছেন, ২০১১ সাল থেকে হিসেবে করলে সেই সাজা তিনি এরই মধ্যে ভোগ করেছেন। আইনানুযায়ী সরকারি কৌঁসুলীরা চাইলে মিশরের উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন। কিন্তু সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট (২০১৩ সালে যিনি মিশরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে অপসারণ করে ক্ষমতা দখল করেছেন) আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি সেটা উড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও বর্তমানে মুরসি এবং তার দল মুসলিম ব্রাদারহুডের হাজার হাজার সমর্থক জেল খাটছেন। সিসি বলেছেন, ‘মিশরকে সামনে তাকাতে হবে, পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই’। মিশরের প্রেসিডেন্ট বা সরকারি ভাষার প্রায় একই রকম প্রতিধ্বনি শোনা গেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টেও। সিসির ভাষা অত্যাচারিত জনগণকে গলা টিপে নিচে বসিয়ে দেয়ার মতোই শোনাচ্ছে। এই সিসিই বলেছিলেন,আরব বসন্ত চলার সময় নিহতদের ব্যাপারে একটি সরকারি পর্যালোচনা হবে। কোনো সন্দেহ নেই যে, এজন্যই অনেক মিশরীয় তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তবে মোবারকের রায়ের পর প্রায় চার বছর ধরে অস্থিরতার সাথে যুদ্ধ করা মিশরীয়রা চরম হতাশ। মোবারকের রায়ের পর আবারও রাস্তায় নেমেছে মিশরের মানুষ। নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে এরই মধ্যে দু’জন প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে সারাদেশে যেভাবে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে যতটা ভেবেছে তার চাইতে অনেক বেশি বেগ পেতে হবে সিসিকে। প্রতিবাদ সমস্যার সাথে অর্থনীতির চরম অবনতি, সিনাই বিদ্রোহ এবং ইসলামিক স্টেটের মতো বড় ও ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন সিসি। মিশরের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়সই ২৫ বছরের নিচে। বহু তরুণ কর্মসংস্থান, শিক্ষা, বাসস্থান ও বৃহত্তর স্বাধীনতার দাবি নিয়ে আবর বসন্তে শামিল হয়েছিলেন। কিন্তু সেই আকাঙ্খা থেকে তারা এখনো অনেক দূরে। অস্থিতিশীলতা, নিপীড়ন এবং জবাবদিহিতার অভাব শুধু আরো অসন্তোষ উৎপাদন করে। মোবারকের রায়ে অসন্তোষ বাড়ার আরো একটি রাস্তা করে দিল এবং মিশরীয় সমাজের চিরকালীন আশাকে বিলম্বিত করার সাথে সাথে তাকে অনেক দূরে ঠেলে দিল। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধ, ভাষান্তর মোহাম্মদ রেজা মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment