মাহমুদ। সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট আয়োজিত হরতালবিরোধী মানববন্ধন ও সমাবেশে মায়া বলেন, ‘বিএনপি গতকাল রবিবার বাসে আগুন দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। শান্তিপূর্ণ হরতালের নামে তারা বাসে আগুন দিয়েছে, পেট্রলবোমা মেরেছে।’ তিনি বলেন, সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের (বিএনপির) এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। মায়া বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মানুষ। শান্তিতে বিশ্বাস করি। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে আছি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মাঠে আছে। একই অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাস করলে বিএনপি অন্য নেতাদেরও গয়শ্বর-আলালের পরিণতি হবে। তিনি বলেন, হরতালের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে বিএনপি পার পাবে না। পরিণতি হবে ভয়াবহ। জনগণ হরতাল মেনে নেয়নি জানিয়ে কামরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। কারণ দেশে সুষ্ঠু রাজনীতির জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ দরকার। তিনি বলেন, খালেদা-তারেক রাজনীতিতে থাকলে সেটা সম্ভব না। এজন্য তাদের বিতাড়িত করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সংগঠনের সভাপতি আবদুল হক সবুজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক জামালা উদ্দিন প্রমুখ। এদিকে, অপর এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির ডাকা হরতালে ঢাকার চিত্র দেখলে মনে হবে না হরতাল চলছে। ঢাকাবাসীসহ বাংলাদেশের মানুষ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার সকালে বিএনপির ডাকা হরতালের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, দেশবাসী বিএনপির ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই। খালেদা জিয়া গাজীপুরে সমাবেশ না করতে পারার লজ্জা ঢাকতে হরতাল দিয়েছে। অথচ তাদের সেই হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি নিজ দলের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মীদের যেখানে পাবেন, সেখানেই গণধোলাই দিবেন। সাবেক এই বনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মীদের পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ করতে হবে। এরা ডাকাত-ছিনতাইকারীর চেয়ে ভয়ঙ্কর। এদের যেখানেই পাবেন, গণধোলাই দেবেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, শিক্ষক নেতা শাজাহান আলম সাজু প্রমুখ। এদিকে, সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার রাজপথের দখল নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, ওলামা লীগ, আওয়ামী সমর্থক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে একের পর এক হরতালবিরোধী মিছিল বের হয়। এসব মিছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, পুরানা পল্টন মোড়, স্টেডিয়াম এলাকা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা হরতালবিরোধী স্লোগান দেয়। এছাড়া হরতালের বিরুদ্ধে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে মিছিল করেছে আওয়ামী হকার্স লীগ। বেলা পৌনে ১২টার দিকে মিছিলটি ফার্মগেটে গিয়ে শেষ হয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় হরতালবিরোধী বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ করছে ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবলীগ। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহাগনর (উত্তর) যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবু। এতে উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদ ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুস সাত্তার মাসুদ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। মন্তব্য
Monday, December 29, 2014
হরতাল প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, দাবি আ.লীগের:RTNN
হরতাল প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, দাবি আ.লীগের নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ তিন নেতা। সোমবার সকাল থেকে রাজধানীতে হরতালবিরোধী কর্মসূচিতে এ দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ। সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট আয়োজিত হরতালবিরোধী মানববন্ধন ও সমাবেশে মায়া বলেন, ‘বিএনপি গতকাল রবিবার বাসে আগুন দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। শান্তিপূর্ণ হরতালের নামে তারা বাসে আগুন দিয়েছে, পেট্রলবোমা মেরেছে।’ তিনি বলেন, সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের (বিএনপির) এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। মায়া বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মানুষ। শান্তিতে বিশ্বাস করি। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে আছি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মাঠে আছে। একই অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাস করলে বিএনপি অন্য নেতাদেরও গয়শ্বর-আলালের পরিণতি হবে। তিনি বলেন, হরতালের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে বিএনপি পার পাবে না। পরিণতি হবে ভয়াবহ। জনগণ হরতাল মেনে নেয়নি জানিয়ে কামরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। কারণ দেশে সুষ্ঠু রাজনীতির জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ দরকার। তিনি বলেন, খালেদা-তারেক রাজনীতিতে থাকলে সেটা সম্ভব না। এজন্য তাদের বিতাড়িত করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সংগঠনের সভাপতি আবদুল হক সবুজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক জামালা উদ্দিন প্রমুখ। এদিকে, অপর এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির ডাকা হরতালে ঢাকার চিত্র দেখলে মনে হবে না হরতাল চলছে। ঢাকাবাসীসহ বাংলাদেশের মানুষ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার সকালে বিএনপির ডাকা হরতালের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, দেশবাসী বিএনপির ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই। খালেদা জিয়া গাজীপুরে সমাবেশ না করতে পারার লজ্জা ঢাকতে হরতাল দিয়েছে। অথচ তাদের সেই হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি নিজ দলের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মীদের যেখানে পাবেন, সেখানেই গণধোলাই দিবেন। সাবেক এই বনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মীদের পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ করতে হবে। এরা ডাকাত-ছিনতাইকারীর চেয়ে ভয়ঙ্কর। এদের যেখানেই পাবেন, গণধোলাই দেবেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, শিক্ষক নেতা শাজাহান আলম সাজু প্রমুখ। এদিকে, সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার রাজপথের দখল নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, ওলামা লীগ, আওয়ামী সমর্থক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে একের পর এক হরতালবিরোধী মিছিল বের হয়। এসব মিছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, পুরানা পল্টন মোড়, স্টেডিয়াম এলাকা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা হরতালবিরোধী স্লোগান দেয়। এছাড়া হরতালের বিরুদ্ধে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে মিছিল করেছে আওয়ামী হকার্স লীগ। বেলা পৌনে ১২টার দিকে মিছিলটি ফার্মগেটে গিয়ে শেষ হয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় হরতালবিরোধী বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ করছে ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবলীগ। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহাগনর (উত্তর) যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবু। এতে উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদ ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুস সাত্তার মাসুদ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। মন্তব্য
মাহমুদ। সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট আয়োজিত হরতালবিরোধী মানববন্ধন ও সমাবেশে মায়া বলেন, ‘বিএনপি গতকাল রবিবার বাসে আগুন দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। শান্তিপূর্ণ হরতালের নামে তারা বাসে আগুন দিয়েছে, পেট্রলবোমা মেরেছে।’ তিনি বলেন, সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের (বিএনপির) এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। মায়া বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মানুষ। শান্তিতে বিশ্বাস করি। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে আছি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মাঠে আছে। একই অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাস করলে বিএনপি অন্য নেতাদেরও গয়শ্বর-আলালের পরিণতি হবে। তিনি বলেন, হরতালের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে বিএনপি পার পাবে না। পরিণতি হবে ভয়াবহ। জনগণ হরতাল মেনে নেয়নি জানিয়ে কামরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। কারণ দেশে সুষ্ঠু রাজনীতির জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ দরকার। তিনি বলেন, খালেদা-তারেক রাজনীতিতে থাকলে সেটা সম্ভব না। এজন্য তাদের বিতাড়িত করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সংগঠনের সভাপতি আবদুল হক সবুজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক জামালা উদ্দিন প্রমুখ। এদিকে, অপর এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির ডাকা হরতালে ঢাকার চিত্র দেখলে মনে হবে না হরতাল চলছে। ঢাকাবাসীসহ বাংলাদেশের মানুষ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার সকালে বিএনপির ডাকা হরতালের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, দেশবাসী বিএনপির ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই। খালেদা জিয়া গাজীপুরে সমাবেশ না করতে পারার লজ্জা ঢাকতে হরতাল দিয়েছে। অথচ তাদের সেই হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি নিজ দলের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মীদের যেখানে পাবেন, সেখানেই গণধোলাই দিবেন। সাবেক এই বনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মীদের পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ করতে হবে। এরা ডাকাত-ছিনতাইকারীর চেয়ে ভয়ঙ্কর। এদের যেখানেই পাবেন, গণধোলাই দেবেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, শিক্ষক নেতা শাজাহান আলম সাজু প্রমুখ। এদিকে, সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার রাজপথের দখল নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, ওলামা লীগ, আওয়ামী সমর্থক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে একের পর এক হরতালবিরোধী মিছিল বের হয়। এসব মিছিল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, পুরানা পল্টন মোড়, স্টেডিয়াম এলাকা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা হরতালবিরোধী স্লোগান দেয়। এছাড়া হরতালের বিরুদ্ধে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে মিছিল করেছে আওয়ামী হকার্স লীগ। বেলা পৌনে ১২টার দিকে মিছিলটি ফার্মগেটে গিয়ে শেষ হয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় হরতালবিরোধী বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ করছে ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবলীগ। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহাগনর (উত্তর) যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবু। এতে উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদ ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুস সাত্তার মাসুদ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment