উপস্থিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, তাদের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা ২৫৩ ফুট গভীরে গিয়ে শিশুটির অস্তিত্ব পায়নি। মূলত তখনই অনানুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যায় সরকারি উদ্ধার তৎপরতা। এরপর বেসরকারিভাবে বেশ কয়েকজন লোহার খাঁচা তৈরি করে উদ্ধার কাজ চালালেও তাতে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। আটকে পড়া শিশুর সন্ধান ১৮ ঘণ্টায়ও মেলেনি। চার দফায় ব্যর্থ হয়ে উদ্ধার তৎপরতা প্রায় থমকে আছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে উৎসুক মানুষের ভিড় রয়েছেই। শত শত মানুষ এখনও শেষ দেখার অপেক্ষায় আছেন। প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ অপেক্ষা করে সারারাত অনেককেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতার চাপ কিছুটা কমলেও সংখ্যায় এখন তারা নেহায়েত কম নয়। এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমগুলোও সরব ছিল। প্রায় সব সম্প্রচার মাধ্যম সরাসরি উদ্ধার অভিযান প্রচার করে। ফলে যারা ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি তারা টেলিভিশনে ঘটনা দেখেছেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জানান, তারা শেষ চেষ্টা করে যাবেন। ক্ষীণ আশাটুকু থাকা পর্যন্ত তারা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাবেন। এদিকে নিখোঁজ শিশুটিকে নিয়ে একের পর এক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি গুজব। আবার কেউ বলছেন, গুজবই যদি হবে তাহলে পুনরায় উদ্ধার অভিযানের কী প্রয়োজন? শুক্রবার রাত পৌনে তিনটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান জানান, শিশুটির কোনো সন্ধান তারা পাননি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও রাতে বলেছেন, পাইপের ভেতর কোনো মানুষের অস্তিত্ব নেই। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা যে গর্তের ভেতর শিশুটি বেঁচে থাকার কথা বার বার জানিয়েছেন তা নিয়ে। তারা জানিয়েছিলেন, শিশুটি তার বাবার সাথে কথা বলেছে। ছুড়ে দেওয়া জুস খেয়েছে। এমনকি নিচে ফেলা রশি ঠিক মতো ধরতে পারছেনা বলে শিশুটি জানিয়েছিলো। রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে কিভাবে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের ভাষায় সেই জীবিত শিশুটি গুম (!) হয়ে গেল? এদিকে ফায়ার সার্ভিসের মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আলী আহমেদ খান শনিবার সকালে জানান, জিহাদকে উদ্ধারের সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে পাইপের ভেতর থেকে দেশীয় পদ্ধতিতে ময়লা-আবর্জনা বের করে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর মাধ্যমে আবর্জনার ভেতর কিংবা নীচে জিহাদ থাকলে তাকে উদ্ধার করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু জিহাদ পাইপ সংলগ্ন মাঠে খেলতে এসে পরিত্যক্ত ওই পাইপের ভেতর পড়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। মন্তব্য
Saturday, December 27, 2014
জিহাদকে উদ্ধারে ফের ফায়ার সার্ভিসের অভিযান:RTNN
জিহাদকে উদ্ধারে ফের ফায়ার সার্ভিসের অভিযান নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির পরিত্যক্ত পাইপের ভেতর গভীরে পড়ে যাওয়া শিশু জিহাদকে উদ্ধারের জন্য ফের অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শনিবার সকাল ৮টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এর আগে শুক্রবার বিকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে রাত ৩টার দিকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে
উপস্থিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, তাদের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা ২৫৩ ফুট গভীরে গিয়ে শিশুটির অস্তিত্ব পায়নি। মূলত তখনই অনানুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যায় সরকারি উদ্ধার তৎপরতা। এরপর বেসরকারিভাবে বেশ কয়েকজন লোহার খাঁচা তৈরি করে উদ্ধার কাজ চালালেও তাতে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। আটকে পড়া শিশুর সন্ধান ১৮ ঘণ্টায়ও মেলেনি। চার দফায় ব্যর্থ হয়ে উদ্ধার তৎপরতা প্রায় থমকে আছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে উৎসুক মানুষের ভিড় রয়েছেই। শত শত মানুষ এখনও শেষ দেখার অপেক্ষায় আছেন। প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ অপেক্ষা করে সারারাত অনেককেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতার চাপ কিছুটা কমলেও সংখ্যায় এখন তারা নেহায়েত কম নয়। এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমগুলোও সরব ছিল। প্রায় সব সম্প্রচার মাধ্যম সরাসরি উদ্ধার অভিযান প্রচার করে। ফলে যারা ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি তারা টেলিভিশনে ঘটনা দেখেছেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জানান, তারা শেষ চেষ্টা করে যাবেন। ক্ষীণ আশাটুকু থাকা পর্যন্ত তারা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাবেন। এদিকে নিখোঁজ শিশুটিকে নিয়ে একের পর এক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি গুজব। আবার কেউ বলছেন, গুজবই যদি হবে তাহলে পুনরায় উদ্ধার অভিযানের কী প্রয়োজন? শুক্রবার রাত পৌনে তিনটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান জানান, শিশুটির কোনো সন্ধান তারা পাননি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও রাতে বলেছেন, পাইপের ভেতর কোনো মানুষের অস্তিত্ব নেই। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা যে গর্তের ভেতর শিশুটি বেঁচে থাকার কথা বার বার জানিয়েছেন তা নিয়ে। তারা জানিয়েছিলেন, শিশুটি তার বাবার সাথে কথা বলেছে। ছুড়ে দেওয়া জুস খেয়েছে। এমনকি নিচে ফেলা রশি ঠিক মতো ধরতে পারছেনা বলে শিশুটি জানিয়েছিলো। রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে কিভাবে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের ভাষায় সেই জীবিত শিশুটি গুম (!) হয়ে গেল? এদিকে ফায়ার সার্ভিসের মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আলী আহমেদ খান শনিবার সকালে জানান, জিহাদকে উদ্ধারের সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে পাইপের ভেতর থেকে দেশীয় পদ্ধতিতে ময়লা-আবর্জনা বের করে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর মাধ্যমে আবর্জনার ভেতর কিংবা নীচে জিহাদ থাকলে তাকে উদ্ধার করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু জিহাদ পাইপ সংলগ্ন মাঠে খেলতে এসে পরিত্যক্ত ওই পাইপের ভেতর পড়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। মন্তব্য
উপস্থিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, তাদের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা ২৫৩ ফুট গভীরে গিয়ে শিশুটির অস্তিত্ব পায়নি। মূলত তখনই অনানুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যায় সরকারি উদ্ধার তৎপরতা। এরপর বেসরকারিভাবে বেশ কয়েকজন লোহার খাঁচা তৈরি করে উদ্ধার কাজ চালালেও তাতে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। আটকে পড়া শিশুর সন্ধান ১৮ ঘণ্টায়ও মেলেনি। চার দফায় ব্যর্থ হয়ে উদ্ধার তৎপরতা প্রায় থমকে আছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে উৎসুক মানুষের ভিড় রয়েছেই। শত শত মানুষ এখনও শেষ দেখার অপেক্ষায় আছেন। প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ অপেক্ষা করে সারারাত অনেককেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতার চাপ কিছুটা কমলেও সংখ্যায় এখন তারা নেহায়েত কম নয়। এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমগুলোও সরব ছিল। প্রায় সব সম্প্রচার মাধ্যম সরাসরি উদ্ধার অভিযান প্রচার করে। ফলে যারা ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি তারা টেলিভিশনে ঘটনা দেখেছেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জানান, তারা শেষ চেষ্টা করে যাবেন। ক্ষীণ আশাটুকু থাকা পর্যন্ত তারা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাবেন। এদিকে নিখোঁজ শিশুটিকে নিয়ে একের পর এক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি গুজব। আবার কেউ বলছেন, গুজবই যদি হবে তাহলে পুনরায় উদ্ধার অভিযানের কী প্রয়োজন? শুক্রবার রাত পৌনে তিনটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান জানান, শিশুটির কোনো সন্ধান তারা পাননি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও রাতে বলেছেন, পাইপের ভেতর কোনো মানুষের অস্তিত্ব নেই। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা যে গর্তের ভেতর শিশুটি বেঁচে থাকার কথা বার বার জানিয়েছেন তা নিয়ে। তারা জানিয়েছিলেন, শিশুটি তার বাবার সাথে কথা বলেছে। ছুড়ে দেওয়া জুস খেয়েছে। এমনকি নিচে ফেলা রশি ঠিক মতো ধরতে পারছেনা বলে শিশুটি জানিয়েছিলো। রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে কিভাবে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের ভাষায় সেই জীবিত শিশুটি গুম (!) হয়ে গেল? এদিকে ফায়ার সার্ভিসের মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আলী আহমেদ খান শনিবার সকালে জানান, জিহাদকে উদ্ধারের সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে পাইপের ভেতর থেকে দেশীয় পদ্ধতিতে ময়লা-আবর্জনা বের করে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এর মাধ্যমে আবর্জনার ভেতর কিংবা নীচে জিহাদ থাকলে তাকে উদ্ধার করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু জিহাদ পাইপ সংলগ্ন মাঠে খেলতে এসে পরিত্যক্ত ওই পাইপের ভেতর পড়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment