দ্ধেও কথা বলেন। আন্দোলনে তৃনমূলের নেতারা মাঠে থাকলেও ঢাকাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা আত্মগোপনে থেকে নিজেদের সম্পদ রক্ষা করেন। এছাড়া প্রায় সব বক্তাই অভিযোগ করছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের যোগাযোগের মাধ্যমকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে দলের মধ্যে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী কাজ করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্র নেতারা দলের অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সচেতন থেকে এদের হাত থেকে বিএনপিকে বাঁচাতে হবে। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আন্দোলনের মাঠে থাকতে হবে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাবেক ছাত্রনেতাসহ তৃনমূলের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের আশঙ্কা, আন্দোলনের নামার আগে এইসব সংকট চিহ্নিত করে দৃশ্যমান সমাধান না হলে আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনে ডাকসু ৯০’র ডাকসু এবং সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় কনভেনশনে’ সাবেক ছাত্রনেতারা তাদের এইসব মতামত তুলে ধরেন। এর আগে পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে সকাল ১০টা ১০মিনিটে এই কনভেনশন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। সারাদেশে আন্দোলন হলেও ঢাকা কেন ‘ব্যর্থ’ হয়েছে সেই প্রশ্ন তোলেন সাবেক এই নেতারা। টাঙ্গাইল জেলার ফরহাদ ইকবাল বলেন, “ঢাকার নেতাদের বলতে হবে তারা রাজপথে থাকবেন কিনা? তৃণমূলে আমরা প্রস্তুত ঢাকার নেতারা সংগঠিত হতে হবে।” খুলনা আসা একজন নেতা বলেন, “হাতে চুরি পড়ে লুকিয়ে থেকে আন্দোলন হবে না। দলের মধ্যে আওয়ামী জাতায়তাবাদীদের প্রতিরোধ করতে হবে। এদেরকে দিয়ে এই স্বৈরাচারের পতন ঘটানো যাবে না।” ঢাকা মহানগরকে শক্তিশালী করতে সংগ্রাম কমিটি গঠন পরামর্শ দেন ময়মনসিংহ জেলার মোতাহার হোসেন। খুলনার ছাত্রনেতা সফিকুল আলম তুহিন বলেন, “খালেদা জিয়া গুলশানে বাসভবনে অবরুদ্ধ আর তারেক রহমান বিদেশে নির্বাসনে থাকবেন এটা আমরা দেখতে চাই না।” দ্রুত আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণার দাবি জানিয়ে যশোরের সাবেরুল হক সাবু বলেন, “এখানে আপোষ নয়, লড়াই করতে হবে। ৫ জানুয়ারির আন্দোলন ঘিরে ঢাকার নেতারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। তৃণমুল প্রস্তুত রয়েছে, এখন ঢাকা থেকে আন্দোলনের সুত্রপাত করতে হবে।” সিলেটের সাবেক একজন ছাত্র নেতা বলেন, “কেন্দ্র থেকে কোনো কমিটি তৃনমুল নেতৃত্বে চাপিয়ে দিলে হবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।” ইডেন কলেজেন সাবেক ভিপি ও সাবেক সাংসদ হেলেন জেরিন খান বলেন, “৫ জানুয়ারি হেরে যাওয়ার এর জন্য শেখ হাসিনা দায়ি নয়। আমরাই এর জন্য দায়ি। ২৪ বছর রাজনীতি করছি, সামনের কাতারে থাকার চেষ্টা করেছি। দু:খ হয়, গত তিন বছরেও ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। অথচ প্রায় ৫০ জনের মতো লোক প্রতিনিয়ত ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।” তিনি বলেন, “আন্দোলনে যারা দায়িত্বপালনে ব্যর্থ হবে তাদেরকে আগে ধরতে হবে। গুটি কয়েক নেতা দলকে কুক্ষিগত করে রাখবে এটি হবেনা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।” সাবেক সংসদ আসিফা আশরাফি পাপিয়া কনভেনশনের আয়োজকদের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “আন্দোলনের ডাক দিলে মাঠে থাকবেন কিনা? পুলিশের লাঠির বাড়ি খেয়ে স্কয়ার, ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে লাশ হতে পারবেন কিনা? ৯০ দশকের মতো রাজপথে থাকতে পারবেন কিনা? আমান, খোকন, নাজিম আপনারা শহীদ জিহাদ হতে পারবেন কিনা?” বরিশালের ছাতনেতা মাহবুবুল হক নান্নু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “অনেক দিন ধরে গুলশান যাই না। কারণ সেখানে ব্যবসায়ীদের মর্যাদা বেশি। আর তারেক রহমানকে যারা গালি দেয় তাদের মূল্যায়ন করা হয়।” এদিকে সাবেক নেতারা যখন এসব বক্তব্য দেন তখন কেন্দ্রীয় নেতাদের বিব্রত হতে দেখা গেছে। তারা বারবার বক্তাদের নিজেদের সমালোচনা না করে সরকার বিরোধী আন্দোলন কি করে সফল করা যাবে সেই বক্তব্য রাখার অনুরোধ করেন। কিন্তু তা না শুনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য চালিয়ে যান। জাতীয় কনভেশনের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান তার বক্তব্যে বলেন, “২৪ বছর আগে এই জায়গায় সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের কনভেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।” বর্তমান সময়ে ৯০এর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। দুপুর দুইটায় প্রধান অতিথি হিসেবে কনভেনশনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশ থেকে প্রায় দুই হাজার সাবেক ও বর্তমান ছাত্ররা নেতা এই কনভেশনে যোগ দিচ্ছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি, জিএস ও জেলা পর্যায়ের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা এই কনভেশনে অংশ নিয়েছেন। নতুন বার্তা/বিইউ/জিহ
Thursday, December 18, 2014
সাবেক ছাত্রনেতাদের ঢাকা ও কেন্দ্রের ওপর ক্ষোভ, বিব্রত বিএনপি :Natun Barta
ঢাকা: মূল দল বিএনপির বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে নিজেদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক ভিপি ও জিএসরা। যারা সবাই ছাত্রদলের ব্যানারে নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাবেক নেতাদের অভিযোগ, দলের কমিটিতে তাদের রাখা হয় না। মাঠের নেতাদের বাদ দিয়ে ঢাকা থেকে কমিটি করা হয়। এতে বরং চাটুকার, আমলা আর ব্যবসায়ীদের থাকে একচ্ছত্র আধিপত্য। অনেক নেতা বিএনপির ‘গুলশান’ সিন্ডিকেটের বিরু
দ্ধেও কথা বলেন। আন্দোলনে তৃনমূলের নেতারা মাঠে থাকলেও ঢাকাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা আত্মগোপনে থেকে নিজেদের সম্পদ রক্ষা করেন। এছাড়া প্রায় সব বক্তাই অভিযোগ করছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের যোগাযোগের মাধ্যমকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে দলের মধ্যে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী কাজ করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্র নেতারা দলের অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সচেতন থেকে এদের হাত থেকে বিএনপিকে বাঁচাতে হবে। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আন্দোলনের মাঠে থাকতে হবে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাবেক ছাত্রনেতাসহ তৃনমূলের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের আশঙ্কা, আন্দোলনের নামার আগে এইসব সংকট চিহ্নিত করে দৃশ্যমান সমাধান না হলে আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনে ডাকসু ৯০’র ডাকসু এবং সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় কনভেনশনে’ সাবেক ছাত্রনেতারা তাদের এইসব মতামত তুলে ধরেন। এর আগে পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে সকাল ১০টা ১০মিনিটে এই কনভেনশন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। সারাদেশে আন্দোলন হলেও ঢাকা কেন ‘ব্যর্থ’ হয়েছে সেই প্রশ্ন তোলেন সাবেক এই নেতারা। টাঙ্গাইল জেলার ফরহাদ ইকবাল বলেন, “ঢাকার নেতাদের বলতে হবে তারা রাজপথে থাকবেন কিনা? তৃণমূলে আমরা প্রস্তুত ঢাকার নেতারা সংগঠিত হতে হবে।” খুলনা আসা একজন নেতা বলেন, “হাতে চুরি পড়ে লুকিয়ে থেকে আন্দোলন হবে না। দলের মধ্যে আওয়ামী জাতায়তাবাদীদের প্রতিরোধ করতে হবে। এদেরকে দিয়ে এই স্বৈরাচারের পতন ঘটানো যাবে না।” ঢাকা মহানগরকে শক্তিশালী করতে সংগ্রাম কমিটি গঠন পরামর্শ দেন ময়মনসিংহ জেলার মোতাহার হোসেন। খুলনার ছাত্রনেতা সফিকুল আলম তুহিন বলেন, “খালেদা জিয়া গুলশানে বাসভবনে অবরুদ্ধ আর তারেক রহমান বিদেশে নির্বাসনে থাকবেন এটা আমরা দেখতে চাই না।” দ্রুত আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণার দাবি জানিয়ে যশোরের সাবেরুল হক সাবু বলেন, “এখানে আপোষ নয়, লড়াই করতে হবে। ৫ জানুয়ারির আন্দোলন ঘিরে ঢাকার নেতারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। তৃণমুল প্রস্তুত রয়েছে, এখন ঢাকা থেকে আন্দোলনের সুত্রপাত করতে হবে।” সিলেটের সাবেক একজন ছাত্র নেতা বলেন, “কেন্দ্র থেকে কোনো কমিটি তৃনমুল নেতৃত্বে চাপিয়ে দিলে হবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।” ইডেন কলেজেন সাবেক ভিপি ও সাবেক সাংসদ হেলেন জেরিন খান বলেন, “৫ জানুয়ারি হেরে যাওয়ার এর জন্য শেখ হাসিনা দায়ি নয়। আমরাই এর জন্য দায়ি। ২৪ বছর রাজনীতি করছি, সামনের কাতারে থাকার চেষ্টা করেছি। দু:খ হয়, গত তিন বছরেও ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। অথচ প্রায় ৫০ জনের মতো লোক প্রতিনিয়ত ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।” তিনি বলেন, “আন্দোলনে যারা দায়িত্বপালনে ব্যর্থ হবে তাদেরকে আগে ধরতে হবে। গুটি কয়েক নেতা দলকে কুক্ষিগত করে রাখবে এটি হবেনা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।” সাবেক সংসদ আসিফা আশরাফি পাপিয়া কনভেনশনের আয়োজকদের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “আন্দোলনের ডাক দিলে মাঠে থাকবেন কিনা? পুলিশের লাঠির বাড়ি খেয়ে স্কয়ার, ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে লাশ হতে পারবেন কিনা? ৯০ দশকের মতো রাজপথে থাকতে পারবেন কিনা? আমান, খোকন, নাজিম আপনারা শহীদ জিহাদ হতে পারবেন কিনা?” বরিশালের ছাতনেতা মাহবুবুল হক নান্নু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “অনেক দিন ধরে গুলশান যাই না। কারণ সেখানে ব্যবসায়ীদের মর্যাদা বেশি। আর তারেক রহমানকে যারা গালি দেয় তাদের মূল্যায়ন করা হয়।” এদিকে সাবেক নেতারা যখন এসব বক্তব্য দেন তখন কেন্দ্রীয় নেতাদের বিব্রত হতে দেখা গেছে। তারা বারবার বক্তাদের নিজেদের সমালোচনা না করে সরকার বিরোধী আন্দোলন কি করে সফল করা যাবে সেই বক্তব্য রাখার অনুরোধ করেন। কিন্তু তা না শুনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য চালিয়ে যান। জাতীয় কনভেশনের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান তার বক্তব্যে বলেন, “২৪ বছর আগে এই জায়গায় সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের কনভেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।” বর্তমান সময়ে ৯০এর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। দুপুর দুইটায় প্রধান অতিথি হিসেবে কনভেনশনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশ থেকে প্রায় দুই হাজার সাবেক ও বর্তমান ছাত্ররা নেতা এই কনভেশনে যোগ দিচ্ছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি, জিএস ও জেলা পর্যায়ের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা এই কনভেশনে অংশ নিয়েছেন। নতুন বার্তা/বিইউ/জিহ
দ্ধেও কথা বলেন। আন্দোলনে তৃনমূলের নেতারা মাঠে থাকলেও ঢাকাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা আত্মগোপনে থেকে নিজেদের সম্পদ রক্ষা করেন। এছাড়া প্রায় সব বক্তাই অভিযোগ করছেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের যোগাযোগের মাধ্যমকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে দলের মধ্যে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী কাজ করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্র নেতারা দলের অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সচেতন থেকে এদের হাত থেকে বিএনপিকে বাঁচাতে হবে। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আন্দোলনের মাঠে থাকতে হবে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাবেক ছাত্রনেতাসহ তৃনমূলের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের আশঙ্কা, আন্দোলনের নামার আগে এইসব সংকট চিহ্নিত করে দৃশ্যমান সমাধান না হলে আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনে ডাকসু ৯০’র ডাকসু এবং সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় কনভেনশনে’ সাবেক ছাত্রনেতারা তাদের এইসব মতামত তুলে ধরেন। এর আগে পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে সকাল ১০টা ১০মিনিটে এই কনভেনশন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। সারাদেশে আন্দোলন হলেও ঢাকা কেন ‘ব্যর্থ’ হয়েছে সেই প্রশ্ন তোলেন সাবেক এই নেতারা। টাঙ্গাইল জেলার ফরহাদ ইকবাল বলেন, “ঢাকার নেতাদের বলতে হবে তারা রাজপথে থাকবেন কিনা? তৃণমূলে আমরা প্রস্তুত ঢাকার নেতারা সংগঠিত হতে হবে।” খুলনা আসা একজন নেতা বলেন, “হাতে চুরি পড়ে লুকিয়ে থেকে আন্দোলন হবে না। দলের মধ্যে আওয়ামী জাতায়তাবাদীদের প্রতিরোধ করতে হবে। এদেরকে দিয়ে এই স্বৈরাচারের পতন ঘটানো যাবে না।” ঢাকা মহানগরকে শক্তিশালী করতে সংগ্রাম কমিটি গঠন পরামর্শ দেন ময়মনসিংহ জেলার মোতাহার হোসেন। খুলনার ছাত্রনেতা সফিকুল আলম তুহিন বলেন, “খালেদা জিয়া গুলশানে বাসভবনে অবরুদ্ধ আর তারেক রহমান বিদেশে নির্বাসনে থাকবেন এটা আমরা দেখতে চাই না।” দ্রুত আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণার দাবি জানিয়ে যশোরের সাবেরুল হক সাবু বলেন, “এখানে আপোষ নয়, লড়াই করতে হবে। ৫ জানুয়ারির আন্দোলন ঘিরে ঢাকার নেতারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। তৃণমুল প্রস্তুত রয়েছে, এখন ঢাকা থেকে আন্দোলনের সুত্রপাত করতে হবে।” সিলেটের সাবেক একজন ছাত্র নেতা বলেন, “কেন্দ্র থেকে কোনো কমিটি তৃনমুল নেতৃত্বে চাপিয়ে দিলে হবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।” ইডেন কলেজেন সাবেক ভিপি ও সাবেক সাংসদ হেলেন জেরিন খান বলেন, “৫ জানুয়ারি হেরে যাওয়ার এর জন্য শেখ হাসিনা দায়ি নয়। আমরাই এর জন্য দায়ি। ২৪ বছর রাজনীতি করছি, সামনের কাতারে থাকার চেষ্টা করেছি। দু:খ হয়, গত তিন বছরেও ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। অথচ প্রায় ৫০ জনের মতো লোক প্রতিনিয়ত ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।” তিনি বলেন, “আন্দোলনে যারা দায়িত্বপালনে ব্যর্থ হবে তাদেরকে আগে ধরতে হবে। গুটি কয়েক নেতা দলকে কুক্ষিগত করে রাখবে এটি হবেনা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।” সাবেক সংসদ আসিফা আশরাফি পাপিয়া কনভেনশনের আয়োজকদের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “আন্দোলনের ডাক দিলে মাঠে থাকবেন কিনা? পুলিশের লাঠির বাড়ি খেয়ে স্কয়ার, ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে লাশ হতে পারবেন কিনা? ৯০ দশকের মতো রাজপথে থাকতে পারবেন কিনা? আমান, খোকন, নাজিম আপনারা শহীদ জিহাদ হতে পারবেন কিনা?” বরিশালের ছাতনেতা মাহবুবুল হক নান্নু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “অনেক দিন ধরে গুলশান যাই না। কারণ সেখানে ব্যবসায়ীদের মর্যাদা বেশি। আর তারেক রহমানকে যারা গালি দেয় তাদের মূল্যায়ন করা হয়।” এদিকে সাবেক নেতারা যখন এসব বক্তব্য দেন তখন কেন্দ্রীয় নেতাদের বিব্রত হতে দেখা গেছে। তারা বারবার বক্তাদের নিজেদের সমালোচনা না করে সরকার বিরোধী আন্দোলন কি করে সফল করা যাবে সেই বক্তব্য রাখার অনুরোধ করেন। কিন্তু তা না শুনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য চালিয়ে যান। জাতীয় কনভেশনের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান তার বক্তব্যে বলেন, “২৪ বছর আগে এই জায়গায় সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের কনভেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।” বর্তমান সময়ে ৯০এর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। দুপুর দুইটায় প্রধান অতিথি হিসেবে কনভেনশনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশ থেকে প্রায় দুই হাজার সাবেক ও বর্তমান ছাত্ররা নেতা এই কনভেশনে যোগ দিচ্ছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি, জিএস ও জেলা পর্যায়ের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা এই কনভেশনে অংশ নিয়েছেন। নতুন বার্তা/বিইউ/জিহ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment