এর মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়, শরিক দল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরানের মত শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন। ধরপাকড়ে বাদ যাচ্ছেন না সাধারণ মানুষও। ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বিএনপি জোটের নেতাকর্মী এবং বেশিরভাগই নাশকতা করার সময় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি বিবিসি বাংলা-কে বলেছেন, ‘যাদের ধরা হচ্ছে তারা অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর তাদের গোয়েন্দা তথ্যের শক্ত ভিত্তিতেই ধরা হয়েছে।’ এই যখন অবস্থা তখন, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ। বার্ষিক এই কর্মসূচি অন্যতম লক্ষ্য পুলিশকে আরো জনগণের সেবা উপযোগী করে তোলা। কিন্তু এখন দেশজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনী দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে সারাদেশে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। তাই অনেকটা নির্ঘুম, বিশ্রামহীন সময় কাটছে পুলিশ সদস্যদের। পুলিশসহ আইনশৃঙ্কলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো বরাবরই অভিযোগ করছে, পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার, যে অভিযোগ আরো জোরাল হয়েছে সম্প্রতি। এমন প্রেক্ষাপটে পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের প্রশ্নটি আবারো সামনে চলে এসেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যখন যেটুকু দরকার হচ্ছে করছি। একটা নীতিমালা করা হচ্ছে আরো সংস্কারের জন্য যাতে করে পুলিশ আরো জনগণের বন্ধু হয়।’ রাজনৈতিক কাজে পুলিশকে ব্যবহারে বিরোধী দলের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যে সহিংসতা, পেট্রোল বোমা, জঙ্গি কর্মকাণ্ড এসব প্রতিরোধে পুলিশ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ধরপাকড় করছে।’ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, ‘যাদের ধরা হচ্ছে তারা অনেকেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত কিন্তু তাদের হাতে-নাতে ধরা হচ্ছে। তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ধরা হচ্ছে। তারা হুকুম দিয়ে বা অর্থ দিয়ে এগুলো করছে। কিংবা হাতে-নাতে ধরা পড়ছে।’ তিনি বলেন, এসব বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে তো ক্রমাগতভাবেই তো বাড়বে। পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগ প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান বলেন, মানুষের চাওয়া তো অনেক বেশি। সেজন্য লোকবল বাড়ানোসহ নানা সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলমান অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশি অভিযান জোরদার ছাড়াও সহিংসতাকারীদের ধরিয়ে দিতেও পুরস্কার ঘোষণা করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিসংযোগকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১,০০,০০০ টাকা এবং বোমা হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। একই ধরনের পুরস্কার ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, র্যাব এবং সীমান্ত বাহিনী বিজিবি। পুলিশ জানিয়েছে, অবরোধ চলাকালে ঢাকায় ১২০টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় এখনো পর্যন্ত ঢাকায় ৬৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী আহমেদ দাবি করছেন, সোমবার পর্যন্ত দেশজুড়ে বিরোধী জোটের সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে সেটির তাৎক্ষণিক পরিসংখ্যান সোমবার সরকারের দিক থেকে পাওয়া যায়নি। তবে গত ২১ জানুয়ারি সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অবরোধ শুরুর পর থেকে বিরোধী জোটের ৭,০০০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, দেশের যেসব জায়গায় বোমা হামলার ঘটনা বেশি হচ্ছে সেসব জায়গায় পুলিশ ও র্যাবের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। অনেক জায়গায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মন্তব্য
Tuesday, January 27, 2015
২৩ দিনে বিএনপি জোটের ১০,৫০০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার:RTNN
২৩ দিনে বিএনপি জোটের ১০,৫০০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: বিতর্কিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে ৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছে সারাদেশে ধড়পাকড়। বিগত ২৩ দিনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো অভিযান চলছে। লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০,৫০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করার দাবি করেছে বিএনপি জোট।
এর মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়, শরিক দল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরানের মত শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন। ধরপাকড়ে বাদ যাচ্ছেন না সাধারণ মানুষও। ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বিএনপি জোটের নেতাকর্মী এবং বেশিরভাগই নাশকতা করার সময় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি বিবিসি বাংলা-কে বলেছেন, ‘যাদের ধরা হচ্ছে তারা অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর তাদের গোয়েন্দা তথ্যের শক্ত ভিত্তিতেই ধরা হয়েছে।’ এই যখন অবস্থা তখন, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ। বার্ষিক এই কর্মসূচি অন্যতম লক্ষ্য পুলিশকে আরো জনগণের সেবা উপযোগী করে তোলা। কিন্তু এখন দেশজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনী দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে সারাদেশে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। তাই অনেকটা নির্ঘুম, বিশ্রামহীন সময় কাটছে পুলিশ সদস্যদের। পুলিশসহ আইনশৃঙ্কলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো বরাবরই অভিযোগ করছে, পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার, যে অভিযোগ আরো জোরাল হয়েছে সম্প্রতি। এমন প্রেক্ষাপটে পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের প্রশ্নটি আবারো সামনে চলে এসেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যখন যেটুকু দরকার হচ্ছে করছি। একটা নীতিমালা করা হচ্ছে আরো সংস্কারের জন্য যাতে করে পুলিশ আরো জনগণের বন্ধু হয়।’ রাজনৈতিক কাজে পুলিশকে ব্যবহারে বিরোধী দলের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যে সহিংসতা, পেট্রোল বোমা, জঙ্গি কর্মকাণ্ড এসব প্রতিরোধে পুলিশ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ধরপাকড় করছে।’ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, ‘যাদের ধরা হচ্ছে তারা অনেকেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত কিন্তু তাদের হাতে-নাতে ধরা হচ্ছে। তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ধরা হচ্ছে। তারা হুকুম দিয়ে বা অর্থ দিয়ে এগুলো করছে। কিংবা হাতে-নাতে ধরা পড়ছে।’ তিনি বলেন, এসব বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে তো ক্রমাগতভাবেই তো বাড়বে। পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগ প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান বলেন, মানুষের চাওয়া তো অনেক বেশি। সেজন্য লোকবল বাড়ানোসহ নানা সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলমান অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশি অভিযান জোরদার ছাড়াও সহিংসতাকারীদের ধরিয়ে দিতেও পুরস্কার ঘোষণা করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিসংযোগকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১,০০,০০০ টাকা এবং বোমা হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। একই ধরনের পুরস্কার ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, র্যাব এবং সীমান্ত বাহিনী বিজিবি। পুলিশ জানিয়েছে, অবরোধ চলাকালে ঢাকায় ১২০টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় এখনো পর্যন্ত ঢাকায় ৬৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী আহমেদ দাবি করছেন, সোমবার পর্যন্ত দেশজুড়ে বিরোধী জোটের সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে সেটির তাৎক্ষণিক পরিসংখ্যান সোমবার সরকারের দিক থেকে পাওয়া যায়নি। তবে গত ২১ জানুয়ারি সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অবরোধ শুরুর পর থেকে বিরোধী জোটের ৭,০০০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, দেশের যেসব জায়গায় বোমা হামলার ঘটনা বেশি হচ্ছে সেসব জায়গায় পুলিশ ও র্যাবের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। অনেক জায়গায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মন্তব্য
এর মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়, শরিক দল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরানের মত শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন। ধরপাকড়ে বাদ যাচ্ছেন না সাধারণ মানুষও। ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বিএনপি জোটের নেতাকর্মী এবং বেশিরভাগই নাশকতা করার সময় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি বিবিসি বাংলা-কে বলেছেন, ‘যাদের ধরা হচ্ছে তারা অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর তাদের গোয়েন্দা তথ্যের শক্ত ভিত্তিতেই ধরা হয়েছে।’ এই যখন অবস্থা তখন, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ। বার্ষিক এই কর্মসূচি অন্যতম লক্ষ্য পুলিশকে আরো জনগণের সেবা উপযোগী করে তোলা। কিন্তু এখন দেশজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনী দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে সারাদেশে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। তাই অনেকটা নির্ঘুম, বিশ্রামহীন সময় কাটছে পুলিশ সদস্যদের। পুলিশসহ আইনশৃঙ্কলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো বরাবরই অভিযোগ করছে, পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার, যে অভিযোগ আরো জোরাল হয়েছে সম্প্রতি। এমন প্রেক্ষাপটে পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের প্রশ্নটি আবারো সামনে চলে এসেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যখন যেটুকু দরকার হচ্ছে করছি। একটা নীতিমালা করা হচ্ছে আরো সংস্কারের জন্য যাতে করে পুলিশ আরো জনগণের বন্ধু হয়।’ রাজনৈতিক কাজে পুলিশকে ব্যবহারে বিরোধী দলের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যে সহিংসতা, পেট্রোল বোমা, জঙ্গি কর্মকাণ্ড এসব প্রতিরোধে পুলিশ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ধরপাকড় করছে।’ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, ‘যাদের ধরা হচ্ছে তারা অনেকেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত কিন্তু তাদের হাতে-নাতে ধরা হচ্ছে। তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ধরা হচ্ছে। তারা হুকুম দিয়ে বা অর্থ দিয়ে এগুলো করছে। কিংবা হাতে-নাতে ধরা পড়ছে।’ তিনি বলেন, এসব বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে তো ক্রমাগতভাবেই তো বাড়বে। পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগ প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান বলেন, মানুষের চাওয়া তো অনেক বেশি। সেজন্য লোকবল বাড়ানোসহ নানা সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলমান অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশি অভিযান জোরদার ছাড়াও সহিংসতাকারীদের ধরিয়ে দিতেও পুরস্কার ঘোষণা করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিসংযোগকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১,০০,০০০ টাকা এবং বোমা হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। একই ধরনের পুরস্কার ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, র্যাব এবং সীমান্ত বাহিনী বিজিবি। পুলিশ জানিয়েছে, অবরোধ চলাকালে ঢাকায় ১২০টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় এখনো পর্যন্ত ঢাকায় ৬৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী আহমেদ দাবি করছেন, সোমবার পর্যন্ত দেশজুড়ে বিরোধী জোটের সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে সেটির তাৎক্ষণিক পরিসংখ্যান সোমবার সরকারের দিক থেকে পাওয়া যায়নি। তবে গত ২১ জানুয়ারি সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অবরোধ শুরুর পর থেকে বিরোধী জোটের ৭,০০০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, দেশের যেসব জায়গায় বোমা হামলার ঘটনা বেশি হচ্ছে সেসব জায়গায় পুলিশ ও র্যাবের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। অনেক জায়গায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment