য়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে-নভেম্বর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ৭০ জন। নিরাপত্তা হেফাজতে মারা গেছে ৪৮ জন। রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে ১১৭ জন। ৮২টি অপহরণের ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ২৩ জনের। আর হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে ২২৮টি। পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, এসব অভিযোগের কিছু কিছু রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণে হলেও অধিকাংশ গুম, অপহরণ এবং ক্রসফায়ারের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, বর্তমানে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক ভালো। স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা তো মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরকে তো তৈরিই করা হয়েছে যাতে মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকে, মানবাধিকার যাতে নষ্ট না হয়।' তবে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি চরম উদ্বেগের। আসক (তদন্ত ও তথ্য সংরক্ষণ)-এর পরিচালক মোহাম্মাদ নুর খান বলেন, 'মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো দ্বারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন বেশি হচ্ছে। অবিলম্বে একটা কমিশন গঠন করতে হবে, তারা তদন্ত করবেন, সুপারিশ করবেন এবং আইনের আলোকে তাদের বিচার করবেন।' ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা এই প্রতিষ্ঠানগুলো যত নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে এবং দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করা সুযোগ পাবে ততই মানুষের অধিকার সংরক্ষিত হবে।' অবশ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বললেন, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'গত বছরের শেষ দিকে এসে আমরা যে একটা অসহিষ্ণু সময় অতিক্রম করেছি এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর অতর্কিতে হামলা হয়েছে, এগুলো এবছর আর হয়নি। তাই আমি মনে করি তুলনামূলকভাবে এবছর আমরা কিছুটা শান্ত সময় অতিক্রম করছি।' বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য বাংলাদেশ। তাই মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। নতুন বার্তা/জবা
Wednesday, December 10, 2014
মানবাধিকারের রক্ষকরাই এখন ভক্ষক! :Natun Barta
ঢাকা: মানবাধিকার নিশ্চিত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হলেও মানবাধিকার লঙ্ঘনে সবচেয়ে বেশি দায়ী তারাই। এমন অভিমত জানিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতার অভাবেই বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম ও অপহরণের মতো ঘটনা কমছে না। খবর সময় টেলিভিশনের। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অব্যাহতভাবেই উদ্বেগ জানিয়ে আসছে দেশি-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনগুলো। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযা
য়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে-নভেম্বর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ৭০ জন। নিরাপত্তা হেফাজতে মারা গেছে ৪৮ জন। রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে ১১৭ জন। ৮২টি অপহরণের ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ২৩ জনের। আর হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে ২২৮টি। পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, এসব অভিযোগের কিছু কিছু রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণে হলেও অধিকাংশ গুম, অপহরণ এবং ক্রসফায়ারের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, বর্তমানে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক ভালো। স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা তো মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরকে তো তৈরিই করা হয়েছে যাতে মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকে, মানবাধিকার যাতে নষ্ট না হয়।' তবে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি চরম উদ্বেগের। আসক (তদন্ত ও তথ্য সংরক্ষণ)-এর পরিচালক মোহাম্মাদ নুর খান বলেন, 'মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো দ্বারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন বেশি হচ্ছে। অবিলম্বে একটা কমিশন গঠন করতে হবে, তারা তদন্ত করবেন, সুপারিশ করবেন এবং আইনের আলোকে তাদের বিচার করবেন।' ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা এই প্রতিষ্ঠানগুলো যত নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে এবং দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করা সুযোগ পাবে ততই মানুষের অধিকার সংরক্ষিত হবে।' অবশ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বললেন, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'গত বছরের শেষ দিকে এসে আমরা যে একটা অসহিষ্ণু সময় অতিক্রম করেছি এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর অতর্কিতে হামলা হয়েছে, এগুলো এবছর আর হয়নি। তাই আমি মনে করি তুলনামূলকভাবে এবছর আমরা কিছুটা শান্ত সময় অতিক্রম করছি।' বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য বাংলাদেশ। তাই মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। নতুন বার্তা/জবা
য়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে-নভেম্বর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ৭০ জন। নিরাপত্তা হেফাজতে মারা গেছে ৪৮ জন। রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে ১১৭ জন। ৮২টি অপহরণের ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ২৩ জনের। আর হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে ২২৮টি। পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, এসব অভিযোগের কিছু কিছু রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কারণে হলেও অধিকাংশ গুম, অপহরণ এবং ক্রসফায়ারের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দাবি, বর্তমানে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক ভালো। স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা তো মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরকে তো তৈরিই করা হয়েছে যাতে মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকে, মানবাধিকার যাতে নষ্ট না হয়।' তবে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি চরম উদ্বেগের। আসক (তদন্ত ও তথ্য সংরক্ষণ)-এর পরিচালক মোহাম্মাদ নুর খান বলেন, 'মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো দ্বারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন বেশি হচ্ছে। অবিলম্বে একটা কমিশন গঠন করতে হবে, তারা তদন্ত করবেন, সুপারিশ করবেন এবং আইনের আলোকে তাদের বিচার করবেন।' ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা এই প্রতিষ্ঠানগুলো যত নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে এবং দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করা সুযোগ পাবে ততই মানুষের অধিকার সংরক্ষিত হবে।' অবশ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বললেন, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'গত বছরের শেষ দিকে এসে আমরা যে একটা অসহিষ্ণু সময় অতিক্রম করেছি এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর অতর্কিতে হামলা হয়েছে, এগুলো এবছর আর হয়নি। তাই আমি মনে করি তুলনামূলকভাবে এবছর আমরা কিছুটা শান্ত সময় অতিক্রম করছি।' বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য বাংলাদেশ। তাই মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। নতুন বার্তা/জবা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment