Tuesday, December 2, 2014

শ্রমবাজার সম্প্রসারণের মিশনে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী :Natun Barta

ঢাকা: মালয়েশিয়ার সারওয়াক স্টেটে শ্রমশক্তি রফতানি-সংক্রান্ত প্রটোকল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সে দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর নতুন পথ উন্মুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে তিন দিনের সফরে মালয়েশিয়া রওনা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ১২ হাজার শ্রমিক সেখানে কাজের সুযোগ পাবে। মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার সম্প্রসারণে প্রধানমন্ত্রীর এ সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টর
া। প্রবাসীরাও তাকিয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের দিকে। বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে। বিমানটি স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (মালয়েশীয় সময়) কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী হামজা জইনুদ্দিন, মানবসম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী শ্রী হাজী ইসমাইল হাজী আবদুল মুত্তালিব ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার একেএম আতিকুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। কুয়ালালামপুরের হোটেল গ্রান্ড হায়াত হোটেলের উদ্দেশ্যে যাত্রার পূর্বে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব-অনার প্রদান করা হবে। সফরকালীন সময় প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী বুধবার গ্রান্ড হায়াত হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে দুটি সমঝোতা স্মারক, একটি প্রটোকল এবং একটি চুক্তি সই হবে। মালয়েশিয়ার সারওয়াক স্টেটে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর পথ সুগম করার জন্য ২০১২ সালে দুই দেশের স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক কিছুটা সংশোধন করে একটি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হবে। পর্যটন খাত উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে ভিসা অব্যাহতি বিষয়ে একটি চুক্তি সই হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সফরের দ্বিতীয় দিনে মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। আগামী বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসবেন। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। এগুলো হচ্ছে_ মালয়েশিয়ায় আরো বেশি জনশক্তি রফতানি এবং বাংলাদেশে মালয়েশীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি। মালয়েশিয়া সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশে লাভজনক বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্র সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরির বিষয়টিও তুলে ধরা হবে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার বিকাশমান সারওয়াক স্টেটসহ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সরকারি মাধ্যমের পাশাপাশি বেসরকারি মাধ্যমেও জনশক্তি রফতানির পথ পুনরায় খোলার ব্যাপারে এ সফর থেকে ইতিবাচক ফল আশা করা হচ্ছে। বেসরকারি মাধ্যমে জনশক্তি নিতে মালয়েশীয় সরকারের বেশ কিছু কঠিন শর্ত রয়েছে। সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সফর সামনে রেখে এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের হিসাবে মালয়েশিয়া পঞ্চম বৃহত্তম রেমিট্যান্স আয়ের দেশ। বর্তমানে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। সে দেশের বিনিয়োগ প্রকল্পে প্রায় ১৭ হাজার বাংলাদেশি কর্মরত। নতুন বার্তা/বিজে/জবা


No comments:

Post a Comment