Thursday, November 20, 2014

সংস্কৃতিতে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী:Time News

সংস্কৃতিতে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২০ নভেম্বর, ২০১৪ ১৬:৩৭:৪৫ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি অপসংস্কৃতি যেন ঘাড়ে চেপে না বসে, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্র
ী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন নতুন অনেক প্রযুক্তি এসেছে। সবকিছুই এখন ডিজিটাল। আমাদের সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রেও পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। পুরোনো ঐতিহ্য আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। কিন্তু শুধু পুরোনো জিনিস ধরে রাখব, সামনে এগোব না, এই চিন্তাটা বাদ দিতে হবে। এ চিন্তা আমাদের এগোতে দেবে না। নইলে সেই “জলসা” ঘরের মতো আস্তে আস্তে সব ধসে ধসে পড়ে যাবে।’ শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমাদের পুরোনো ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে হবে। তবে নতুনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে করতে হবে। নতুনদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে। নতুনদের আকৃষ্ট করতে হলে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা সব সময় আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে জয় বাংলা স্লোগান বলি, এটা তো নজরুলের।’ এটা হয়তো অনেকে জানেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ঐতিহ্যগুলোকে সংরক্ষণ করেই আমাদের আধুনিকায়নের দিকে যেতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে যেতে হবে। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করছে আমাদের ছেলেমেয়েরা। এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের কাছে সংস্কৃতিকে সহজে পৌঁছে দিতে হবে।’ তাদের জন্য সে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সাংস্কৃতিক গবেষণার ওপর জোর দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশজ সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে। দেশজ সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে সামনে নিয়ে আসতে হবে।’ সাংস্কৃতিক বিকাশের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। কিন্তু শুধু পেটের ক্ষুধা মেটালে হবে না। মনের ক্ষুধাও মেটাতে হবে। সংস্কৃতি-সাহিত্যচর্চা মানুষের মনের খোরাক জোগায়। সংস্কৃতিচর্চা মানুষের মনকে আরো বিকশিত করে।’ সংস্কৃতির বিকাশে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের পেটে খাবার নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন আর খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই। আমরা মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। আমরা সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্য নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি।’ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পল্লিকবি জসীমউদদীনসহ বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিক ও শিল্পীদের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জেআই  

No comments:

Post a Comment