৩৬ দফা কাঠমান্ডু ঘোষণা ও জ্বালানী চুক্তি; সার্ক সমাপণী মো: কামরুজ্জামান, নেপালের কাঠমন্ডু থেকে টাইম নিউজ বিডি, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪ ১৭:৩৭:৩২ ছত্রিশ দফা কাঠমন্ডু ঘোষণার মধ্য দিয়ে নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুর সিটি হলে রাষ্ট্রীয় সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হলো ১৮ তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সমাপণী অনুষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় আধাঘন্টা পরে শুরু হয় দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ফোরামের দুইদিনের সম্মেলনের সমাপণী। নেপালের
সময় বিকেল ৪টার পরিবর্তে সমাপণী সম্মেলন শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৪টায় নেপালের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরপরই নেপালের প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপনী সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। শুরুতে সার্কভূক্ত আট দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জ্বালানী সহযোগিতা চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক (Agreement of Energy Cooperation Framework) স্বাক্ষর করেন। এরপর নেপালের প্রধানমন্ত্রী সমাপণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। এরপরই পরবর্তী ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ সমাপণী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। নেপালের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এরপরই নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সমাপণী সম্মেলনের শুরুতে সার্কভূক্ত আট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা এরআগে প্রথমে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সমাপনী অধিবেশনে যোগ দিতে সিটি হলে আসেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা তাকে স্বাগত জানান। এর পরপরই সমাপণী সম্মেলনে যোগ দিতে সিটি হলে আসেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরীন তবগে এবং তার সাথে সাথেই সিটি হলে প্রবেশ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পরপরই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবেশ করেন সিটি হলে। শেখ হাসিনার অনেকটা সাথে সাথেই সিটি হলে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২৫ মিনিট পরে সমাবেশ স্থলে আসেন মালদ্বীপের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ ইয়ামেন আবদুল গাইয়ুম। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৩০ মিনিট পরে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহেন্দা রাজা পাকসে সম্মেলন স্থলে পৌছান। কাঠমাণ্ডু ঘোষণায় দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবাধ বাণিজ্য চালু, সার্ক উন্নয়ন তহবিল, যোগাযোগ, জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ, সাগর অর্থনীতি, ২০১৫ সাল-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অভিবাসন, পর্যটন, সন্ত্রাসবাদ, সুশাসন, সার্ক সচিবালয়সহ সার্কের প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার মতো বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এসেছে। ঘোষণায় দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সার্ক নেতারা নিজেদের সহযোগিতা জোরদারে অঙ্গীকার করবেন। এ লক্ষ্যে তাঁরা সহযোগিতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, নিরাপত্তা, অবকাঠামো, যোগাযোগ খাতের বিভিন্ন প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবং নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে- ফলাফলভিত্তিক এমন প্রকল্প, কর্মসূচি ও কার্যক্রম নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কাঠমাণ্ডু ঘোষণায় ইতিপূর্বে সই হওয়া চুক্তি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সার্ক সচিবালয়ের ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কাঠমান্ডুর মিডিয়া সেন্টার থেকে
No comments:
Post a Comment