২০ দলীয় জোটের আন্দোলন কৌশল স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২৮ নভেম্বর, ২০১৪ ১৯:১৮:০৯ নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনেই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট পুনরায় নির্বাচন করতে চায়।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ও সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংলাপেও বসতে চায় জোট। সংলাপে বসার পরিবেশ তৈরিতে তারা সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা ও সময় দিতেও রাজি। সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে যে তারা গত এক বছর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর
মাধ্যমে আন্দোলন করেছে। নির্বাচনের স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকার এগিয়ে না আসলে আর শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সুযোগ থাকবে না।এরপর কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে। ২০ দলীয় জোট জানায়, কঠোর আন্দোলনে যাওয়া বা সমঝোতা হওয়ার সময়টা ঠিক কখন তা এখনও বিএনপি জোট জানে না। ২০ দলীয় জোটের সদস্য বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)’র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, "কেউ কেউ বলতে চাইছেন আমরা মার্চের মধ্যে নির্বাচন চাইছি; অনেকে আবার আন্দোলনেরও সময় বেঁধে দিচ্ছেন। এসব তথ্যের কোন সত্যতা নেই। আন্দোলন ও সংলাপ বিয়ের কোন কার্ডের মতো দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না।" পরিবেশ পরিস্থিতি উপরই নির্ভর করে আন্দোলনের ধরন। সময়মতো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। আগেই আমরা কোন কিছু প্রকাশ করছি না। সময় হলে আমরা সব বলে দেব। অন্যদিকে ২০ দলীয় জোট জানায়, তারা কঠোর ও জোরালো আন্দোলনে নামার জন্য কাজ করছে। জোরালো আন্দোলন শুরু হয়ে গেলে আর পেছনে ফেরা যাবে না। বিএনপি জোট চাইলে হরতাল দিয়ে দশটা গাড়ি ভাঙ্গতে পারে।কিন্তু এতে ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই। আমরা ক্ষতি চাই না, শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। জোটের সদস্য দলের একজন চেয়ারম্যান জানান, আমাদের কাছে মনে হয় না সরকার ৫ বছর পূর্ণ করতে পারবে। আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আচার আচরণে মনে হচ্ছে না জনমতের বিরুদ্ধে তারা ৫ বছর ক্ষমতায় থাকবেন। আমি মনে করি তিনি এক সময় সংলাপ ও সমঝোতা দুটোই করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জামায়াতকে না ছাড়লে আপনাদের সঙ্গে কোন সংলাপ হবে না সংলাপের আশা করছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, সংলাপের কোন বিকল্প নেই। তাছাড়া, জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বাংলাদেশে আসলে সরকার জানিয়েছিল, তারা আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করবেন এবং সকল দলের অশংগ্রহণ নিশ্চিত করে নির্বাচন করবেন। কিন্তু তারা একাই নির্বাচন করে। শুধু তাই নয় তারা এই নির্বাচনকে সংবিধানের নিয়ম রক্ষার নির্বাচন করছি এ কথাও বলেছেন। তখন নির্বাচন করার দুটি সুযোগ ছিল। একটি হলো ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করা আর অপরটি ছিল সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা। আমরা চেয়েছিলাম পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে। আমরা প্রস্তাব করা সত্ত্বেও সরকার তা করে নি। কিন্তু তারা সংসদের মেয়াদ থাকতেই নির্বাচন করলো। যার জন্য রাজনৈতিক অস্থিরতা ক্রমেই বেড়ে চলছে। আমরা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে সরকার গঠন করার প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। আমাদের প্রস্তাবের পর তোফায়েল আহমেদ সংসদে ২০ মিনিট বক্তৃতা করলেন। তিনি ওই সব উপদেষ্টাদের কতজন মারা গেছেন, কতজন রাজি নেই এসব তুলে ধরলেন। এক পর্যায়ে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে গেল। তখন আওয়ামী লীগেরও একটি প্রস্তাব দেয়া উচিত ছিল। যা নিয়ে আলোচনা করা যেত। পাল্টা-পাল্টি আলোচনায় একটি সমাধান হতো। সরকার সেটাও করলো না। তারা শুধু জামায়াতকে ছাড়তে বলে, কিন্তু জামায়াতের গত এক বছরের কর্মকাণ্ডে এমন খারাপ কিছু লক্ষ করা যায় নি যে কারণে জামায়াতকে ছাড়তে হবে। সরকার কেন জামায়াতকে সহ্যই করতে পারছে না? জামায়াত আমাদের জোটে আছে। আমাদের জোটে কে থাকবে আর কে থাকবে না সেটাতো আমরাই ঠিক করবো। অন্য দলের প্রধান, সরকার প্রধান বা প্রধানমন্ত্রীতো এটা ঠিক করবেন না। সরকার অপ্রয়োজনীয় কথা বলে সময় নষ্ট করছে। কিন্তু সমাধান চাইলে সরকারকে আলোচনায় আসতেই হবে। না হলে দেশে একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। আর এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। এমকে, এমএ
No comments:
Post a Comment