Saturday, November 29, 2014

‘ইসলামোফোবিয়া’  নিয়ে এরদোগান-পোপের ঐকমত্য:RTNN

‘ইসলামোফোবিয়া’  নিয়ে এরদোগান-পোপের ঐকমত্য আন্তর্জাতিক ডেস্ক আরটিএনএন আঙ্কারা: পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান ‘ইসলামোফোবিয়া’ বা ইসলাম আতঙ্ক নিয়ে একমত পোষণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট  রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও  খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। তারা মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও মানবিক সংকটের দিকে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক যৌথ সংবাদ সম্
মেলনে এরদোগান বলেন,  গাজায় (ইসরাইলের) রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাদের ব্যাপারে বিশ্ব উদাসীনতা দেখিয়ে চলছে। এরদোগান বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ যেসব বিষয় নিয়ে পোপের সাথে তিনি আলোচনা করেছেন তার সবগুলোতেই তারা একমত পোষণ করেছেন। তিন দিনের সরকারি সফরে বর্তমান তুরস্ক অবস্থান করছেন পোপ ফ্রান্সিস, যে দেশটি এখন ক্রমশ ইসলামের দিকে ঝুঁকছে। এরদোগান বলেন, ‘আমাদের অঞ্চল ও বিশ্ব এই মুহূর্তে যখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন পোপের এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ তুর্কি নেতা বলেন, ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থাপনা আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি আগ্রাসন সম্পর্কে বিশ্ব কোনো স্পর্শকাতরতা দেখাচ্ছে না।  সম্প্রতি ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় সেখানে মৌলবাদী ইহুদিরা প্রায়ই অনুপ্রবেশ করছে। এরদোগান কট্টরপন্থী ইসলামিক স্টেট, বোকো হারাম ও আল-কায়েদার সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা করেন এবং বলেন দীর্ঘদিনের ভুল নীতির কারণে তাদের উত্থান হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বর্বরতা বিশ্ব ভুলে থাকতে চায় বলেই মনে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আইএস এখন প্রতিদিনই সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে। কিন্তু যে লোক সিরিয়ায় তার নিজ জনগণকে হত্যা করছে তাকে নিয়ে কেউ কথা বলছে।’ ‘সিরিয়ার যে ৭০ লাখ লোক দেশ ছেড়ে উদাস্তু হয়েছেন তাদের অবস্থা উপেক্ষিত থাকছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে।’ এরদোগান তার দেশের সন্ত্রাসী সংগঠন পিকেকের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা অন্তত ৫০ হাজার লোককে হত্যা করেছে। অথচ বিশ্ব তাদের ব্যাপারে মনযোগ দিচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে পোপ ফ্রান্সিস সংঘাতময় অঞ্চলের নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ার জন্য তুরস্কের প্রশংসা করেন। ‘তুরস্ক যথেষ্ট মহানুভবতা দেখিয়েছে এবং অনেক অভিবাসীকে গ্রহণ করেছে,’ বলেন পোপ। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আগে পোপ ফ্রান্সিস ও এরদোগান প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে একান্ত বৈঠক করেন। এরপর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তারা উপহার বিনিময় করেন। পোপ এরদোগানকে খ্রিস্টান ধর্মীয় চিত্রকর্ম উপহার দেন। এরদোগান তার প্রিয় নেতা ওসমানীয় শাসক সুলতান মাহমুদের একটি ছবি উপহার দেন। এতে লেখা সুলতান মাহমুদের শাসনামলে তিনি বসনিয়ার খ্রিস্টানদের অবাধে ধর্ম পালনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় পোপ ফ্রান্সিস আঙ্কারা পৌঁছালে তার যাতায়াতের পথে ২৭০০ পুলিশ সদস্যের প্রহরা বসানো হয় এবং তাকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে পৌঁছে দেয়া হয়। রাস্তায় বসানো হয় তুরস্ক ও ভ্যাটিকানের পতাকা। পোপের তুরস্ক সফরের খবর কাভার করতে আঙ্কারায় সমবেত হয়েছেন ১,০০০ সাংবাদিক। এর মধ্যে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকই প্রায় ৩০০। তুরস্ক সফরকারী পোপদের মধ্যে পোপ ফ্রান্সিস হচ্ছে চতুর্থ ব্যক্তি। মন্তব্য pay per click    

No comments:

Post a Comment