‘ধর্মগুরু’ রামপালের রাজকীয় জীবন আন্তর্জাতিক ডেস্ক আরটিএনএন হিসার: ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী রামপাল দাস ছিলেন একজন জুনিয়র প্রকৌশলী। কাজে উদাসীনতার কারণে ২০০০ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়। অথচ বর্তমানে তিনি শত কোটি রুপির মালিক। ‘সারগুরু রামপাল জি মহারাজা’ নামে তার যে ডেরা বা আশ্রম আছে তার মূল্য ১০০ কোটি রুপির কাছাকাছি। ৬৩ বছর বয়সী রামপালের রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। বিএমডব্লিউ থেকে মার্সিডিজ রয়েছে
তার গাড়িবহরে। হরিয়ানায় ১২ একর জমির ওপর তার আশ্রম বা আখড়া প্রতিষ্ঠিত। ২০০৬ সালে একটি খুনের মামলায় বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নতুন করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হতে পারে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হতে পারে। পুলিশের সাথে সংঘর্ষের জের ধরে আশ্রমে ‘বাবার কমান্ডো’ নামে পরিচিত ৫ নারী ও এক শিশু মারা যায়। রামপালের সশস্ত্র অনুসারী ক্যাডাররা প্রাথমিকভাবে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম হয়। পুলিশ জানায়, রামপালের আশ্রমের প্রাচীর ৩০ ফুট উচু এবং ২ ফুট চওড়া। গুরুত্বপূর্ণ ভক্তদের জন্য রামপালের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ রয়েছে। তার ভাষণ দেয়ার জন্য যে লেকচার হল রয়েছে তা এলইডি স্ক্রীন সমৃদ্ধ। ফেসবুকে তার পেজ রয়েছে, ইউটিউবে রয়েছে তার নিজস্ব চ্যানেল। রামপালের অনুসারীর সংখ্যা ২৫ লাখ বলে ধারণা করা হয়। এরা হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, পাঞ্জাব ও দিল্লির বাসিন্দা। এসব জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে রামপালের। ২০০৬ সালে হরিয়ানায় তার প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে একজন খুন হলে তিনি তার আশ্রম সরিয়ে বর্তমান স্থানে নিয়ে আসেন। এখন এর পাশেই আরো একটি আশ্রম তৈরি করা হচ্ছে। এক কৃষক পরিবারের জন্ম হয় রামপালের। গত চার বছরে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে ৪৩ বার সমন জারি করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। সূত্র: এনডিটিভি মন্তব্য pay per click
No comments:
Post a Comment